২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর বুয়েনস এইরেসে নিজ বাসায় মারা যান আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ডিয়াগো ম্যারাডোনা। মৃত্যুর প্রায় ৪ বছর পর সৃষ্টি হয়েছে নতুন রহস্য। ম্যারাডোনার চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত আটজন পেশাদার চিকিৎসাকর্মীর মধ্যে সাতজনের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগে মামলা করা হয়। আগামী সপ্তাহে তাদের বিচার শুরু হবে।
বুয়েনস এইরেসের সান ইসিদ্রোতে শুরু হতে যাওয়া চার মাসব্যাপী এই বিচারিক কার্যক্রমে ম্যারাডোনার পরিবার এবং চিকিৎসকসহ ১০০ জনের বেশি সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন বলে জানা গেছে। বিচারে অভিযুক্তরা দোষী সাব্যস্ত হলে কারাবাসের সাজা হতে পারে ৮ থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত।
শুক্রবার (৭ মার্চ) বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার ম্যারাডোনা মাঠ ও মাঠের বাইরে সমানভাবে আলোচিত ছিলেন। আর্জেন্টিনাকে প্রায় একক কৃতিত্বে ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জেতানো ম্যারাডোনা দীর্ঘদিন কোকেন ও মদ্যপানে আসক্ত ছিলেন। কিংবদন্তি এ ফুটবলার ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর বুয়েনস এইরেসে নিজ বাসায় মারা যান।
ময়নাতদন্তে ম্যারাডোনার স্বাভাবিক মৃত্যুর কথা জানা যায়। তবে ম্যারাডোনা শেষ সময়ে সঠিক চিকিৎসা ও পরিচর্যা পেয়েছেন কি না, তা নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক। এর পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী সময়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মেডিকেল বোর্ডও গঠন করা হয়।
মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদনে জানা যায়, মৃত্যুর আগে শেষ ১২ ঘণ্টায় তীব্র যন্ত্রণায় ভোগেন ম্যারাডোনা। সে সময় পর্যাপ্ত চিকিৎসা পাননি। এমনকি ঠিক সময়ে হাসপাতালে নেওয়া হলে ম্যারাডোনা বেঁচে যেতে পারতেন বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।
এরপর ২০২৩ সালে আর্জেন্টিনার আপিল আদালত জানান, চিকিৎসায় নিয়োজিত নিউরোসার্জন লিওপোল্ডো লুকু, মনোবিদ অগাস্তিনা কোসাচোভসহ আরও ছয়জনকে ম্যারাডোনার মৃত্যুর বিষয়ে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
অভিযুক্ত নার্সদের মধ্যে গিজেলা দাহিয়ানা মাদ্রিদ জুরির মাধ্যমে তার বিচারিক কার্যক্রম আলাদাভাবে আয়োজনের আবেদন করেছিলেন। ফলে আলাদাভাবে তার বিচারিত প্রক্রিয়া শুরু হবে আগামী জুলাইয়ে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বাসায় ম্যারাডোনাকে ‘বেপরোয়া’ ও ‘অপ্রতুল’ চিকিৎসাসেবা প্রদানের অভিযোগ তুলেছেন কৌঁসুলিরা।
আরটিভি/এসআর