ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে আম্পায়ারের সঙ্গে অসদাচরণ করে শাস্তি পাওয়া তাওহীদ হৃদয়ের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অবস্থান বারবার পরিবর্তিত হচ্ছে। কখনো ক্লাবের চাপে, আবার কখনো ক্রিকেটারদের কারণে তৃতীয়বারের মতো হৃদয়ের শাস্তি বদলেছে বিসিবি। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, হৃদয় তার বাকি এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা আগামী বছর প্রিমিয়ার লিগের প্রথম ম্যাচে ভোগ করবেন। যার কারণে চলমান সুপার লিগে মোহামেডানের হয়ে খেলতে তাওহীদ হৃদয়ের আর কোনো বাধা রইল না।
সুপার লিগে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে খেলতে মাঠে নামে হৃদয়। সেই সঙ্গে পান অধিনায়কত্বের দায়িত্ব। এরপর সেই ইস্যু অনেকদূর পর্যন্ত গড়িয়ে যায়। নতুন করে সেই শাস্তি পুনঃবহাল হয় হৃদয়ের। শুক্রবার ( ২৫ এপ্রিল) তিনটি বিষয় নিয়ে ক্রিকেটাররা বিসিবি সভাপতির সঙ্গে বৈঠকে বসেন। তামিম ইকবালের নেতৃত্বে একদল ক্রিকেটার মিরপুরে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাওহীদ হৃদয়ের শাস্তি নিয়ে আলোচনা করেন। সেখানে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমুল আবেদীন এবং আম্পায়ার্স ও মিডিয়া কমিটির প্রধান ইফতেখার রহমানও উপস্থিত ছিল। এরপরই হৃদয়ের শাস্তি এক বছর পিছিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেয় বিসিবি।
এদিন সন্ধ্যায় পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি জানিয়েছে, ‘গত ১৯ এপ্রিল আম্পায়ার্স কমিটির ইস্যুকৃত শাস্তি বাতিলের সেই সিদ্ধান্তের পর দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পুনঃবহাল করা হয়েছে। এর আগে শাস্তি প্রদানের সিদ্ধান্তটি টেকনিক্যাল গাইডলাইন অনুসারেই দেওয়া হয়েছিল, সেটি এখনও বৈধ এবং এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক পরবর্তী আদেশটি (নিষেধাজ্ঞা বাতিল) অবৈধ হয়ে গেছে।’
হৃদয়ের শাস্তি এক বছর পর কার্যকর হবে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘পরবর্তী আদেশ অকার্যকর হওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরির পর সভা হয়েছে, যেখানে বিষয়টি আবারও বিবেচনায় নিয়ে টেকনিক্যাল কমিটি ম্যাচ নিষিদ্ধের প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা কার্যকর হবে ১২ মাস পরে (পরবর্তী ডিপিএলের শুরুতে)।’
আরটিভি/এসকে/এস