দিন যতো যাচ্ছে পরিবর্তন আসছে ক্রিকেট খেলায়। এবার বাদ গেলো না আইপিএলও। ভারতের এই লিগেও আনা হচ্ছে পরিবর্তন। ২০২৮ সাল থেকে নতুন ফরম্যাটে হবে এই প্রতিযোগিতা। চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে পরিকল্পনা। চলমান আইপিএলের মাঝে পরিবর্তনের কথা জানিয়ে দিলেন আইপিএল চেয়ারম্যান অরুণ ধুমল।
২০২৮ সাল থেকে আইপিএলে ৯৪টি করে ম্যাচ হবে। প্রতিযোগিতা চলবে ৬০ থেকে ৬৫ দিন। হোম-অ্যাওয়ে সিস্টেমে হবে আইপিএল। এমনই পরিকল্পনা করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি) পরের ফিউচার ট্যুর পোগ্রামে (এফটিপি) আইপিএলের জন্য আরও বেশি সময় বরাদ্দ করার আশ্বাসও দিয়েছে বলে বিসিসিআই কর্তাদের দাবি। সেই সাথে ২০২৮ সাল থেকে আইপিএলের নতুন সম্প্রচারস্বত্ত্বও বিক্রি করবে বোর্ড।
এখন আইপিএলের দলগুলিকে দু’টি গ্রুপে ভাগ করা হয়। গ্রুপ ‘এ’র দলগুলি পরস্পরের সঙ্গে দু’টি করে ম্যাচ খেলে হোম-অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে। গ্রুপ ‘বি’র দলগুলির সঙ্গে খেলে একটি করে ম্যাচ। তেমনই গ্রুপ ‘বি’র দলগুলি নিজেদের মধ্যে দু’টি করে ম্যাচ খেলে। গ্রুপ ‘এ’র দলগুলির সঙ্গে খেলে একটি করে ম্যাচ। ২০২৮ সাল থেকে কোনও গ্রুপ থাকবে না। প্রতিটি দল পরস্পরের সঙ্গে দু’টি করে ম্যাচ খেলবে। পুরো লিগ হবে হোম আর অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে। এর ফলে ম্যাচের সংখ্যা বাড়বে ২০টি।
এক সাক্ষাৎকারে আইপিএল চেয়ারম্যান অরুণ ধুমল বলেছেন, ‘‘আইপিএলের ফরম্যাট পরিবর্তন নিয়ে বোর্ডের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। আইসিসির সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে আমাদের। পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে। আইসিসির প্রতিযোগিতা, দ্বিপাক্ষিক সিরিজ, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট এবং টি-টোয়েন্টি লিগ নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের আগ্রহ পর্যালোচনা করা হবে। পুরো বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। সব কিছু চূড়ান্ত করার আগে আরও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। তবে গুরুত্ব দিয়েই আমরা ভাবছি। প্রতিযোগিতার অংশীদারেরা যাতে সর্বাধিক লাভবান হয়, সেটাই নিশ্চিত করা দরকার।’’
ধুমল আরও বলেন, ‘‘বাড়তি সময় খুব একটা প্রয়োজন নেই। ৭৪টি ম্যাচের জায়গায় ৮৪টি বা ৯৪টি হবে। প্রত্যেক দল পরস্পরের সঙ্গে হোম-অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে খেললে ৯৪টি ম্যাচ হবে। আইসিসির প্রতিযোগিতা এবং দ্বিপাক্ষিক সিরিজগুলোর জন্য পর্যাপ্ত সময় রাখতেই হবে। এখানে সময় কমানো খুব একটা সম্ভব নয়। তবে ক্রিকেট ক্রমশ বদলাচ্ছে। একটা সময় আমাদের হয়তো বিকল্প ভাবতেই হবে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘এ বছর প্রচুর ক্রিকেট রয়েছে। ভারতীয় দল অস্ট্রেলিয়ায় পাঁচ ম্যাচের সিরিজের পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলেছে। তার পর শুরু হয়েছে আইপিএল। তাই এ বার আইপিএলে ম্যাচের সংখ্যা বৃদ্ধির কথা ভাবা হয়নি। আমরা উপযুক্ত সময়ে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।’’
আইপিএলে ম্যাচের সংখ্যা বৃদ্ধির অন্যতম বড় বাধা হতে পারে ক্রিকেটারদের চাপ। ম্যাচের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে চাপও বাড়বে। যার ফলে বিদেশি ক্রিকেটাররা আগ্রহ হারাতে পারেন। বিশেষ করে এখনও যারা দেশের হয়ে খেলাকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে সেই খেলোয়াড়দের সময় বের করা কঠিন হয়ে যাবে। তাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সব দিক ভালো করে খতিয়ে দেখে তারপর সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন বিসিসিআই কর্তারা।
আরটিভি/এসকে