নতুন বাংলাদেশে ফারুক আহমেদের বোর্ডের নেতৃত্বে চলতি বছরের শুরুতেই মাঠে গড়িয়েছিল বিপিএলের ১১তম আসর। নানা উদ্যোগ দেখে ভালো কিছুর প্রত্যাশা করেছিল দর্শকরা। কিন্তু সেখানে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে বিসিবি। টিকিট বিতর্কের পর পেমেন্ট ইস্যুতে বিপিএলের ইমেজকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো।
পেমেন্ট না পাওয়ায় অনুশীলন বয়কট করেছিলেন রাজশাহীর ক্রিকেটাররা। এ ছাড়াও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে বিদেশি ক্রিকেটার ছাড়া মাঠে নেমেছিল দলটি। যা নিয়ে রীতিমতো সমালোচনার ঝড় উঠেছিল।
সেই ঝড়ে চাপে পড়েছিল বিসিবি ও রাজশাহীর ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক। এরপরই ৭৫ শতাংশ পেমেন্ট পান তাসকিন-এনামুলরা। তবে বাকি ২৫ শতাংশের জন্য একটি নিদিষ্ট সময় নির্ধারণ করেছিলেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। কিন্তু সেই সময় পার হয়ে গেলেও সম্পূর্ণ পেমেন্ট পাননি ক্রিকেটাররা।
আরটিভিকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুর্বার রাজশাহীর একজন গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। তিনি বলেন, আমরা ৭৫ শতাংশ পেমেন্ট পেয়েছি। এখনও বাকি আছে। কিন্তু এটা কবে দিবে এটার কোনো তথ্য নেই। টিমের গ্রুপে এটা নিয়ে ম্যাসেজ দিলেও কোনো রেসপন্স করে না।
তিনি আরটিভিকে আরও জানান, ক্রীড়া উপদেষ্টা যে সময় নির্ধারণ করে ছিলেন সেটাতে কোনো লাভ হয়নি। রোজার মধ্যে পেমেন্ট দেওয়ার কথা থাকলেও, আমরা তা পায়নি।
কথায় আছে কারও পৌষ মাস আর কারও সর্বনাশ। সেটা যেন মিলে গেল দুর্বার রাজশাহী ও খুলনা টাইগার্সের ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে। বিপিএলের যখন পেমেন্ট ইস্যু নিয়ে বিতর্ক চলছিল। তখন অন্য সব দলের মতো খুলনা টাইগার্সের ক্রিকেটারদের কাছে জানতে চাওয়া হয় তাদের পেমেন্ট নিয়ে। কিন্তু সে সময় মিডিয়ার সমানে চুপছিলেন মিরাজরা।
আর সেটাই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে খুলনা টাইগার্সের ক্রিকেটারদের জন্য। বিপিএলে মাত্র ৫০ শতাংশ পেমেন্ট পেয়েছে তারা। সেই হিসেবে সবচেয়ে দুর্বল ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খেলেও বাজিমাত করেছে তাসকিনরা। কারণ, টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার প্রায় ৪ মাস অতিক্রম করলেও পুরো পেমেন্ট পাননি মিরাজ-নাঈমরা। সম্প্রতি আরটিভিকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন খুলনার সিনিয়র ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস।
নতুন বাংলাদেশে কেমন বিপিএল চান এই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে ইমরুল কায়েস বলেন, বিপিএলে ফ্র্যাঞ্চাইজির মান ভালো হতে হবে। আপনি এমন কাউকে দল দিবেন না যে শুধু লাভের জন্য এখানে এসেছে। দিন শেষে ক্রিকেটারদের পেমেন্টটা বড় ইস্যু এটা ঠিক সময়ে করতে হবে।
এরপরই তাকে প্রশ্ন করা হয় খুলনা টাইগার্স আপনাদের সম্পূর্ণ পেমেন্ট করেছে? জবাবে আরটিভিকে কায়েস বলেন, নাহ আমি ফুল পেমেন্ট পায়নি। আমি ৫০ শতাংশ পেমেন্ট পেয়েছি। আমার দলের সবাই এরকম।
ম্যানেজমেন্ট কোনো সময় নিয়েছে কিনা জানতে চাইলে এই বাঁ-হাতি ব্যাটার বলেন, এ বিষয়ে কোনো কিছুই জানায়নি। কবে দিবে বা দিবে কিনা কিছুই জানিনা।
উল্লেখ্য, বিপিএলে পেমেন্ট ইস্যুতে আলোচনায় ছিল দুটি দল। একটি দুর্দান্ত রাজশাহী এবং অন্যটি চিটাগং কিংস।
আরটিভি/এসআর/এআর