ফরাসি ওপেনে শুক্রবার(৬জুন) ফাইনালে ওঠেন আলকারাজ। তিনি হারিয়ে দেন লোরেঞ্জো মুসেত্তিকে। সেই ম্যাচের আগে আলকারাজ সম্মান জানালেন রাফায়েল নাদালকে।
স্পেনের টেনিস তারকা ১৪ বার ফরাসি ওপেন জিতেছিলেন। ফিলিপ শঁতিয়ে কোর্টে তার পায়ের ছাপ রেখে সম্মান জানিয়েছিলেন ফরাসি ওপেন কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (৬জুন) সেই পায়ের ছাপের ছবি তুলে রাখেন আলকারাজ। ম্যাচের সময় যদিও সে সব নিয়ে ভাবেননি তিনি। মুসেত্তির বিরুদ্ধে যদিও বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিলেন প্রথম দিকে। পরে মুসেত্তি ম্যাচ ছেড়ে দেওয়ায় ফাইনালে ওঠেন আলকারাজ। রবিবার সিনারের বিরুদ্ধে খেলবেন তিনি।
এদিকে, ফরাসি ওপেনের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিলেন নোভাক জোকোভিচ। শনিবার (৭ জুন) দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ইয়ানিক সিনারের কাছে স্ট্রেট সেটে হারলেন জোকোভিচ। খেলার ফল সিনারের পক্ষে ৬-৪, ৭-৫, ৭-৬।
৩ ঘণ্টা ১৬ মিনিটের লড়াই শেষে হার মানেন জোকোভিচ। বিশ্বের এক নম্বর সিনারের বিরুদ্ধে হেরে এবারের ফরাসি ওপেন থেকে বিদায় নিতে হয় তাকে। সেই ম্যাচ শেষে জোকোভিচ যে ভাবে দর্শকদের উদ্দেশে হাত নাড়ছিলেন, তাতেই তার বিদায়ের ইঙ্গিত ছিল।
পরে জোকোভিচ সাংবাদিকদের বলেন, “এখানে আমার খেলা শেষ ম্যাচ হয়তো এটা। জানি না আমি আর এখানে খেলতে আসতে পারব কি না। সেই কারণেই ম্যাচ শেষে আবেগ গ্রাস করেছিল। যদি রোল গারজে এটাই আমার শেষ ম্যাচ হয়ে থাকে, তা হলে সেটা খুবই ভাল একটা ম্যাচ ছিল। সমর্থকদের যে ভালবাসা পেয়েছি, তা অসাধারণ।”
জোকোভিচ কি আর খেলবেন? তিনি বলেন, “আমি কি আরও খেলতে চাই? হ্যাঁ, আমি চাই। কিন্তু এক বছরের মধ্যে আমি আবার এখানে ফিরতে পারব? জানি না। এই মুহূর্তে এই টুকুই বলতে পারব।”
ম্যাচের পর সিনার বলেন, “গ্র্যান্ড স্ল্যামের মতো মঞ্চে জোকোভিচের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে নামাটাই আমার কাছে একটা গর্বের ব্যাপার। অসাধারণ লেগেছে খেলতে পেরে। নিজের সেরা টেনিসটা বের করে আনতে হয়েছে। জোকোভিচ দেখাল যে, কেন আমাদের মতো সব তরুণ খেলোয়াড়ের কাছে ও আদর্শ। এই বয়সে ও যা করছে তাকে অসাধারণ বললেও কম বলা হয়। বাকি মৌসুমের জন্য শুভেচ্ছা রইল। আমরা ভাগ্যবান যে এখনও জোকোভিচকে এই উচ্চমানের টেনিস খেলতে দেখছি।”
আরটিভি/এসকে