একদিন হাতে রেখেই ইনিংস ব্যবধানে বড় জয় বাংলাদেশের
একটা ম্যাচ জিততে টাইগারদের অপেক্ষা করতে হয়েছে দীর্ঘ ১৪ মাস। সবশেষ এই মাঠেই ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। মাঝে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই টেস্টেই ইনিংস ব্যবধানে হার। ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের কাছে হেরে ভারত সফরেও দুই ম্যাচের সিরিজে ইনিংসে হারে মুমিনুলের দল। রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের কাছেও ইনিংস ব্যবধানে হারের পর নিজেদের ফিরে পাবার একমাত্র পথ ছিল এই জিম্বাবুয়ে। একমাত্র টেস্ট ম্যাচে ১০৬ রানে হারিয়ে আবারও জয়ে ফিরল বাংলাদেশ।
মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় সফরকারী জিম্বাবুয়ে। প্রথম ইনিংসে ক্রেইগ আরভিনের শতকে ২৬৫ রান তুলে জিম্বাবুয়ে। আরভিনের সঙ্গে অবশ্য ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন ওপেনার প্রিন্স মাসাভুরে।
এই ইনিংসে বাংলাদেশের পক্ষে সমান ৪টি করে উইকেট নেন নাঈম হাসান ও আবু জায়েদ রাহী।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস কাটে স্বপ্নের মতো। দীর্ঘ ২৫ মাস পর পাঁচশ রানের কোটা স্পর্শ করে টাইগাররা।
মুমিনুল হকের ১৩২ রানের পর মুশফিকুর রহিমের অনবদ্য ২০৩ রানে তৃতীয় দিনে বাংলাদেশ ইনিংস ঘোষণা করে ৬ উইকেটে ৫৬০ রান তুলে।
এতে জিম্বাবুয়ের সামনে লিড দাঁড়ায় ২৯৫ রানের। বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিনের দিনের শেষ সেশনে ৫ ওভার ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়ে হারিয়েছিল ৯ রানে ২ উইকেট।
আজ চতুর্থ দিনের খেলা শুরু হতেই তাইজুলের শিকার হোন ওপেনার কেভিন কাসুজা। ১০ ওভার চার বলের মাথায় মাত্র ১০ রানে সেকেন্ড স্লিপে ক্যাচ দেন মোহাম্মদ মিঠুনের হাতে। এর ছয় ওভার পর নাঈমের বলে তাইজুলের কাছে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ব্রেন্ডন টেইলর। দিনের শুরুর ধাক্কা সামলান অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন ও সিকান্দার রাজা।
যদিও বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি, জুটি ভাঙ্গে ৬০ রানে। ক্রেইগ আরভিনকে ৪৩ রানে ফেরেন রান আউটের শিকার হয়ে।
দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে জিম্বাবুয়েকে চেপে ধরে নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলামরা। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নেয়া নাঈম দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ৫ উইকেট।
শেষ দিকে সিকান্দার রাজা করেন ৩৭ রান। টাইমচেন মারুমার ৪১ ও টেন্ডাই চাকাবার ১৮ রান শুধু হারের ব্যবধানটাই কমিয়েছে। শেষমেশ ১৮৯ রানে থেমে যায় সফরকারীদের ইনিংস। ১০৬ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।দ্বিশতক তুলে ম্যাচ সেরা হয়েছেন মুশফিকুর রহিম।
এমআর/ওয়াই
মন্তব্য করুন