চলতি বছর সপ্তাহখানেক আগেই বাংলাদেশে মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করেছে। এটি ধীরে ধীরে সারাদেশসহ পুরো উপমহাদেশজুড়ে বিস্তৃতি লাভ করবে। আগামীকাল (মঙ্গলবার) একটি লঘুচাপটি তৈরি হতে পারে। এর ফলে টানা তিনদিন ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
সোমবার (২৬ মে) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগ পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে এবং আরও অগ্রসর হওয়ার অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। আগামী ২৭ মে উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এ অবস্থায় ২৯ মে থেকে দেশের অধিকাংশ জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
এদিকে, বেসরকারি আবহাওয়াবিষয়ক ওয়েবসাইট আবহাওয়া ডটকমের প্রধান আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ ফেসবুকে জানান, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার উপকূলে শনিবার পৌঁছে গেছে। অর্থাৎ, শনিবার বা রোববার থেকে বাংলাদেশে বর্ষাকাল শুরু হতে যাচ্ছে। উল্লেখ্য যে, ঐতিহাসিকভাবে বর্ষাকালের উত্তর-পশ্চিমমুখী মৌসুমি বায়ুপ্রবাহ কক্সবাজার জেলায় পৌঁছে ৩১ মে বা ১ জুনে। অর্থাৎ ২০২৫ সালের মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের প্রবেশ করা শুরু করলো প্রায় ৮ দিন পূর্বে।
তিনি আরও বলেন, আগামী ২৭ অথবা ২৮ মে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ভারতের ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উপকূলে একটি লঘুচাপ অথবা নিম্নচাপ সৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাবে আগামী ২৯, ৩০, ও ৩১ মে রংপুর, ময়মনিসংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে রেকর্ড-ব্রেকিং পরিমাণে বৃষ্টির প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে।
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, এই তিন দিনে বাংলাদেশের ও ভারতের আসাম ও মেঘালয় রাজ্যের ওপরে ৫০০ মিলিমিটারের বেশি পরিমাণে বৃষ্টির আশঙ্কা করা যাচ্ছে। লঘুচাপ বা নিম্নচাপটি যদি খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে প্রবেশ করে তাহলে রংপুর বিভাগ ও ময়মনিসংহ বিভাগের জেলাগুলোর ওপরে ভারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আর যদি বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের ওপর দিয়ে প্রবেশ করে তাহলে চট্টগ্রাম বিভাগ ও সিলেট বিভাগের জেলাগুলোর ওপরে ভারি বৃষ্টি হবে।
আরটিভি/আরএ