• ঢাকা রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
মাঠে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে জেলের মৃত্যু 
গণমানুষের নেতা থেকে আজ বিশ্বনেতায় পরিণত শেখ হাসিনা : শেখ পরশ
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, গণমানুষের নেতা থেকে আজকে বিশ্বনেতায় পরিণত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার কর্মের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন যে, একমাত্র শেখ হাসিনা এই বাংলাদেশের জন্য অপরিহার্য। শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। শনিবার (১৮ মে) দুপুরে পিরোজপুর সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় মাঠে পিরোজপুর জেলা যুবলীগ আয়োজিত ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। শেখ পরশ বলেন, যুবলীগকে যেকোনো মূল্যে বঙ্গবন্ধু কন্যার অর্জনসমূহ নির্ণয় করতে হবে এবং মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র আমাদের রাজপথে মোকাবিলা করতে হবে। তিনি একজন আত্মপ্রত্যয়ী মানবতাবাদী এবং দূরদর্শী নেতৃত্ব হিসেবে নিজেকে সারা বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। যুবলীগের চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপি-জামায়াত সরকার এ দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটিয়েছিল আর শেখ হাসিনার সরকার জঙ্গিবাদ নির্মূল করে দিয়েছে। ক্ষমতার লোভে মিথ্যাচার এবং অপরাজনীতি বন্ধ করেন। বিএনপির অপরাজনীতির একটা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে পরনির্ভর রাজনীতি। বিএনপি এ দেশের জনগণের বদলে বিদেশি শক্তির ওপর নির্ভর করে। তার অন্যতম কারণ কোনো জাতীয় সংকটে তারা কখনোই জনগণের পাশে দাঁড়ায়নি। যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল আহসান গাজীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। সম্মেলনে জেলা যুবলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান ফুলুর সভাপতিত্বে অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আফজাল হোসেন। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাঈনুল হোসেন খান নিখিল। সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি এ কে এম এ আউয়াল, পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পিরোজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন মহারাজ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কানাই লাল বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মুহম্মদ বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, উপদপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপগ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক শেখ নবীরুজ্জামান বাবু ও আইটি সম্পাদক এস আই আহম্মেদ সৈকত প্রমুখ।
‘জাল ভোট পড়লেই কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হবে’
স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চান অপু, দরকার সাহায্যের
তিন দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি ও পুষ্টি মেলা সম্পন্ন, পাঁচ কৃষক পুরস্কৃত
ঝালকাঠিতে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে বেদম পিটুনি
রিভলবারসহ বেতাগী উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আটক
বরগুনার বেতাগী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দোয়াত কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী নাহিদ মাহমুদ হোসেন লিটুকে অবৈধ রিভলবারসহ আটক করেছে পুলিশ। এ সময় ওই গাড়ির চালক মো. সজীবকেও আটক করা হয়। সোমবার (১৩ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বেতাগী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রাসেল স্কয়ার নামক এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমান। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দোয়াত কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী নাহিদ মাহমুদ হোসেন লিটু তার নির্বাচনী প্রচারণায় একটি গাড়িতে উপজেলার বিবিচিনি ইউনিয়নের দেশান্তরকাঠীর ডিসিরহাট বাজার নামক এলাকায় উঠান বৈঠকের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। এ সময় পৌরসভার রাসেল স্কয়ার নামক এলাকায় তার গাড়িটি তল্লাশি করলে চালকের সিটের নিচ থেকে পুরাতন কাপড়ে মোড়ানো একটি অবৈধ রিভলবার উদ্ধার করা হয়। পরে এ ঘটনায় চেয়ারম্যান প্রার্থী নাহিদ মাহমুদ হোসেন লিটু ও গাড়িচালক সজীবকে আটক করা হয়। এ বিষয়ে বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, উদ্ধারকৃত রিভলবারের লাইসেন্স দেখতে চাইলে নাহিদ মাহমুদ হোসেন লিটু তা দেখাতে পারেননি। তবে তার কাছে একটি শটগানের লাইসেন্স ছিল। পরে গাড়িতে লাইসেন্স ছাড়া রিভলবারের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চালক সজীবসহ তাকে আটক করা হয়।
মাছিকে বন্ধু বানিয়ে মাসে লাখ টাকা আয় মিজানুরের 
বহু রোগের জীবাণুবাহক হিসেবে সবার কাছে বিরক্তিকর একটি পতঙ্গ মাছি। সেই মাছি চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ভোলার মিজানুর রহমান ।  যেখানে মাছির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে মানুষ আয়ত্ব করে নানা পদ্ধতি। তবে সেই মাছিকে না তাড়িয়ে তাদের লালন-পালনে রাখা হয়েছে দেড় ডজন শ্রমিক ।  বহু প্রজাতির মাছির মধ্যে পরিবেশের জন্য উপকারী ‘ব্লাক সোলজার ফ্লাই’ জাতের মাছি । যা বন্ধু মাছি নামেও পরিচিত। প্রতিদিন খামারে উৎপাদন হচ্ছে ১০০-১৫০ কেজি লার্ভা । এর প্রতি কেজি লার্ভা বিক্রি হয় ৪০-৪৫ টাকা।  ক্ষুদে বিজ্ঞানী মিজানুর রহমান স্বল্প পরিসরে শুরু করেন মাছ চাষ। তবে বাজারে মাছের খাবারের দাম বেশি হওয়ায় খাবার উৎপাদনে  বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজতে থাকেন । পরে জানতে পারেন ব্লাক সোলজার ফ্লাই মাছির লার্ভা চাষের কথা ।  বন্ধু মাছি চাষে তৈরি হচ্ছে মাছের প্রোটিন জাতীয় খাবার। একদিকে বাজারে প্রচলিত মাছে খাদ্যের চেয়েও এর দাম অনেকাংশেই কম অপরদিকে মাছির এ লার্ভা প্রাকৃতিক হওয়ায় মাছও দ্রুত বৃদ্ধি পায়।  কালো রংয়ের এসব মাছি পোকা হিসেবেও পরিচিত। তবে এটি আকারে মাছির তুলনায় কিছুটা লম্বা। এই মাছির  জীবন চক্র  ৪৫ দিনের। শুরুতে সংগ্রহ করা হয় পচনশলি বর্জ, সেখানে রাখা হয়  মাছির লার্ভা । বর্জ খাইয়ে লার্ভাগুলো ধাপে ধাপে বড় করে তোলা হয়। লার্ভাগুলো যখন কালো বর্ণ ধারন করে তখন সেটি কয়েকদিনের মধ্যে মাছিতে পরিনত হয়। ওই মাছি গুলোকে প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাখা হয় লাভ বক্সে। একটা বালতি তার উপর দুইপাশে থাকে থাকে সাজানো কাঠের টুকরো। কিছুদিন পর ওই কাঠের টুকরোর ফাকে গিয়ে ডিম পেড়ে জমিয়ে রাখে। সেখান থেকে ধারালো ছুরি দিয়ে ডিম সংগ্রহ করে  হ্যাচারিতে সংরক্ষন করা হয়।২-৩ দিনের মধ্যে সেই ডিম থেকে বের হয় ছোট ছোট লার্ভা । লার্ভাগুলোকে পরবর্তীতে খামারের অন্য একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে রাখা হয়। আর খাবার হিসেবে দেয়া হয় পচনশীল বর্জ্য। ছোট লার্ভাগুলো সেখানের খাবার খেয়ে বড় হয়, কয়েকদিনে পরিপূর্ণ মাছিতে রূপান্তরিত হয়।  মাছির লার্ভায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আমিষ এই যা মাছের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে জানান ভোলা জেলার মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব । মাছ, হাঁস- মুরগীর বিকল্প ফিড হিসেবে এ জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে বন্ধু মাছির লার্ভা। জীবাণুবাহক এই মাছি চাষ ভবিষ্যতে আশীর্বাদে রূপ নেবে, সেইসঙ্গে  কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বেকার যুবকদের, এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের । তথ্য ও ভিডিও: অমিতাভ অপু। 
মনপুরায় চেয়ারম্যান পদে ৪ জনসহ ৯ জনের মনোনয়ন দাখিল
ভোলার মনপুরায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জনসহ ৯ জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছেন। এ ছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেন। বৃহস্পতিবার (৯ মে) মনোনয়ন দাখিল করার শেষ দিনে অনলাইনে ৯ জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জহিরুল ইসলাম। তফসিল অনুসারে চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও হাজীর হাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহরিয়ার চৌধুরী দ্বীপক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগ যুগ্মসম্পাদক ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. অলিউল্ল্যাহ কাজল ও উপজেলা যুবলীগের সদস্য মো. ছিদ্দিকুর রহমান। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান রাশেদ মোল্লা ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. সালাউদ্দিন হেলাল। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন, বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারভীন আক্তার রেবু, হাজীর হাট ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত সদস্য থেকে সদ্য পদত্যাগ করা ইয়াসমিন জাহান মিনু ও আমেনা বেগম। উল্লেখ্য, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের চতুর্থ ধাপে ৫ জুন অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী ১২ মে মনোনয়ন যাচাই বাছাই, ১৩ থেকে ১৫ মে মনোনয়ন বাছাইয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল, আপিল নিষ্পত্তি ১৬ থেকে ১৮ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৯ মে ও ২০ মে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে।
বরগুনার তালতলীতে চেয়ারম্যান পদে লড়বেন স্বামী-স্ত্রী 
বরগুনার তালতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন এক দম্পতি। তারা হলেন, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজবী উল কবির জোমাদ্দার এবং তার স্ত্রী সুমী আক্তার। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে এ উপজেলায় মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে বৃহস্পতিবার চেয়ারম্যান পদে ৪ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। অন্য দুজন হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মিন্টু এবং উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মিয়া মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক।   উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান রেজবী উল কবির জোমাদ্দার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মিন্টু সম্পর্কে আপন মামাতো-ফুফাতো ভাই। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিগত ২ মাস যাবৎ একে অপরের প্রতি প্রতিহিংসামূলক কথাবার্তা ও আচার আচরণ করে আসছেন। এমনকি দুজনই জীবন বাজি রেখে এ নির্বাচনে নেমেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়রা জানান, এ নির্বাচনে মূলত প্রার্থী ৪ জন হলেও লড়াই হবে ত্রিমুখী। তবে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজবী উল কবির জোমাদ্দার প্রার্থী হওয়ার পর তার স্ত্রী সুমী আক্তার প্রার্থী হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতার সম্ভাবনা থাকায় প্রশাসনের সতর্ক দৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী। এ দিকে তালতলী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন, চেয়ারম্যান পদে এক দম্পতিসহ চারজন প্রার্থী হয়েছেন। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে এ উপজেলায় ভোট হবে ৫ জুন।
লালমোহনে প্রতিপক্ষ প্রার্থীদের গায়ে হাত তোলার হুমকি আ.লীগ নেতার 
তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচন ঘিরে ভোলার লালমোহনে একজন প্রার্থীর পক্ষে বক্তব্য দিতে গিয়ে অন্য প্রার্থীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি দিদারুল ইসলাম অরুণের বিরুদ্ধে। ইতোমধ্যে তার সাড়ে ৮ মিনিটের বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কিনা তা নিয়েও ভোটারদের মধ্যে দেখা দিয়েছে সংশয় ও শঙ্কা। অনিরাপদ বোধ করছেন প্রার্থীরাও।  ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে শোনা যায়, লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি দিদারুল ইসলাম অরুণ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আক্তার হোসেন হাওলাদারের পক্ষে বক্তব্য দিচ্ছেন। এ সময় প্রতিপক্ষ কয়েকজন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তাদের কর্মীদের বিরুদ্ধে হুংকার দেন তিনি। প্রার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলছেন, দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে গিয়ে আপনারা নির্বাচন করছেন, কত বড় বুকের পাটা। আপনারা ঘুঘু দেখছেন ঘুঘুর ফাঁদ দেখেননি। যারা দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে গিয়ে নির্বাচন করবে তাদের গায়ে হাত উঠতে দেরি হবে না। তাদের দলের সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হবে বলেও হুমকি দেন তিনি। এ সময় ভোটকেন্দ্রে দলীয় প্রার্থী ছাড়া আর কোনো প্রার্থীর স্থান হবে না বলেও হুংকার দেন আওয়ামী লীগের উপজেলা সহসভাপতি দিদারুল ইসলাম অরুণ।     টানা দুই বারের উপজেলা চেয়ারম্যান, ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিনকে হুংকার দিয়ে বলেন ‘তুই একটা মিথ্যা বাদী। তুই বেটা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করছিস। কত বড় বুকের পাটা।’ এবার উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও মার্কা না থাকা সত্ত্বেও স্থানীয় এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের নাম ভাঙিয়ে প্রতিপক্ষকে নানা হুমকি-ধমকি দিয়ে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল ইসলাম অরুণ।  তিনি বলেন, এই নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বিপক্ষে গেলে বরদাশত করা হবে না। যারা দলের বাইরে যাবে তাদের দলীয় সব পদ-পদবি থেকে বরখাস্ত করা হবে। এ সময় অন্যপ্রার্থী ও তাদের সহযোগীদের হুমকি দিয়ে  তিনি আরও বলেন, বড় ভাই গিয়াস উদ্দিন বীর মুক্তিযোদ্ধা (চেয়ারম্যান প্রার্থী)। তার গায়ে হাত দিতে একটু দেরি কবরো। কিন্তু আপনাদের গায়ে হাত তুলতে দেরি হবে না। এছাড়া আরেক উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আকতারুজ্জামান টিটবকে হুমকি দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা অরুণ বলেন, ‘টিটব কেন, টিটবের বাপও কেন্দ্রে থাকতে পারবে না। আমরা বদরপুরের মানুষ, আমাদের কথা পরিষ্কার’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন আরটিভিকে বলেন, আমাদের নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারের নির্বাচনকে দলের সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। কিন্তু আমাদের দলেরই একজন নেতা অরুণ সাহেব, তিনি প্রধানমন্ত্রীর নীতির বিরোধিতা করে বক্তব্য দিয়েছেন। একজনের পক্ষ নিয়ে অন্য প্রার্থীদের হুমকি-ধমকি দিয়েছেন, গায়ে হাত তোলার কথা বলেছেন। সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক হলো, প্রচারণা সভায় অরুণ সাহেবের এমন বক্তব্য দেওয়ার সময় চেয়ারম্যান প্রার্থী আক্তার সাহেব পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনি কোনো বাধা দেননি। আমি মনে করি এমন বক্তব্য দিয়ে নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই এবং অভিযুক্ত প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল চাই। ইতোমধ্যে আমি এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, আমি একজন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা। যুদ্ধ করার সময় আমার পায়ে গুলি লেগেছে। আমাকে উদ্দেশ করে এমন হুমকিমূলক বক্তব্য দিয়ে শুধু আমাকেই অপমান করা হয়নি, সকল মুক্তিযোদ্ধাকে অপমানিত করা হয়েছে।  উল্লেখ্য, ভোলার লালমোহনে আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিত হচ্ছে তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এতে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন। এবারের নির্বাচনে মাঠে নেই বিএনপি। তাই নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক ও উৎসব মুখর করতে আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলীয় মার্কা দেওয়া হয়নি। দল থেকে একাধিক প্রার্থী হলেও দলের কোনো আপত্তি নেই। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে দলীয় এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন।
হাসপাতালে মরদেহ ফেলে পালিয়ে গেলেন স্বামী
পটুয়াখালীর বাউফলের মোসা. তাকিয়া বেগম (১৯) নামের এক নববধূর মরদেহ হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে গেলেন স্বামী ও তার আত্মীয়-স্বজনরা। স্ত্রীর মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর তারা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে দেয়।  মঙ্গলবার (৭ মে) বিকেলে জেলার বাউফল উপজেলার বিলবিলাস গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোসা. তাকিয়া বেগমের চাচাতো ভাই মো. সোহরাব হোসেন বলেন, প্রায় এক বছর আগে বাউফলের বিলবিলাস এলাকার ফজলু গাজীর ছেলে মিরাজ গাজীর সঙ্গে পারিবারিকভাবে সূর্যমণি ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের হোসেন হাওলাদারের মেয়ের তাকিয়ার বিয়ে হয়ে। বিয়ের ৫ মাস পর থেকে চাচতো বোন বলতো, স্বামী যখন ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরে তখন যৌতুকের জন্য মাদক সেবন করে নির্মম নির্যাতন করতো। আগে যদি জানতাম ছেলে মাদকাসক্ত তাহলে বোনকে বিয়ে দিতাম না। তিনি আরও বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে আমরা কিছু বলিনি। ভাবতাম স্বামী-স্ত্রীর বিষয় তেমন কোনো ঘটনা ঘটবে না। ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল ১০টায় মিরাজ গাজী নির্মম নির্যাতন করে তাকিয়ার শরীরের মাংস থেতলে ফেলে। এ সময় তার হাত ভেঙে যায়। সে অজ্ঞান হয়ে পড়লে তার গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে ক্ষত সৃষ্টি করে, আত্মহত্যার চেষ্টার নাটক সাজায় স্বামী মিরাজ গাজী। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকিয়াকে মৃত ঘোষণা করলে স্বামীসহ তার অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনরা মরদেহ হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। আমরা জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি, যাতে আর কোনো বাবা তার মেয়ে না হারায় আর কোনো ভাই যাতে তার বোনকে না হারায়।  এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই হত্যা না আত্মহত্যা নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।