• ঢাকা সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
গুগল ম্যাপে যেভাবে চিনবেন জাতীয়-আঞ্চলিক মহাসড়ক
স্মার্টফোন ব্যবহারের সময় চোখ নিরাপদ রাখার ৬ কৌশল
স্মার্টফোন হলো হাতের মোবাইল কম্পিউটিং যন্ত্র।এটি এখন নিত্যদিনের সঙ্গী। এর শক্তিশালী হার্ডওয়্যার সক্ষমতা এবং বিস্তৃত মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম, যেগুলো মূল সুবিধা; যেমন ফোন কল, বা টেক্সট বার্তার সাথে সাথে আরও বেশি সফটওয়্যার, ইন্টারনেট (ওয়েব ব্রাউজিং সহযোগে) এবং মাল্টিমিডিয়া সুবিধা (ক্যামেরা, মোবাইল গেমিং) ইত্যাদি প্রদান করে।  বর্তমানে বিভিন্ন কাজে স্মার্টফোন ব্যবহারের পাশাপাশি বিনোদন মাধ্যমেও পরিণত হয়েছে এটি। তবে দীর্ঘ সময় স্মার্টফোনের নীল আলোতে থাকা চোখের জন্য ক্ষতিকর। যে কারণে দৈনন্দিন জীবনে স্মার্ট এ ডিভাইস ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশকিছু বিষয় মেনে চলা উচিত। কিছু কৌশল মেনে চললে চোখ নিরাপদে রাখা যায়। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এর প্রতিবেনে স্মার্টফোন ব্যবহারের সময় চোখ নিরাপদ রাখার কৌশল জানিয়েছে। চলুন জেনে নেয়া যাক সেই কৌশলগুলো। ২০/২০/২০ নিয়ম অনুসরণ করা স্মার্টফোন ব্যবহারের সময় চোখ নিরাপদ রাখতে ২০/২০/২০ নামে একটি নিয়ম রয়েছে। এ নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ২০ মিনিট পরপর ব্যবহারকারীকে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ডের জন্য অন্তত ২০ ফুট দূরের কিছু দেখতে হবে। এ পদ্ধতি চোখকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে। স্মার্টফোনের উজ্জ্বলতা যেকোনো স্মার্টফোন কেনার আগে চোখের সুরক্ষায় এতে কী কী ফিচার রয়েছে সে বিষয়ে জানতে হবে। বেশি ব্রাইটনেস সুবিধা দেয়—এমন ডিভাইস কেনা ভালো। তবে স্মার্টফোনের ব্রাইটনেস লেভেল এমন রাখতে হবে, যাতে ফোনে সব সময় ভালোভাবে ছবি বা ভিডিও আরামে দেখা যায়। নীল আলোর নিঃসরণ কমানো স্মার্টফোনের পর্দা থেকে বেরোনো নীল আলো চোখের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এ জন্য ফোনের ডিসপ্লে সেটিংস থেকে ব্লু লাইট ফিল্টার চালু করে রং ও উজ্জ্বলতা যতটা সম্ভব কমিয়ে রাখতে হবে। এতে স্মার্টফোনের পর্দা থেকে কম নীল আলো বের হবে, ফলে চোখের ক্ষতি হবে না। নাইট মোড চালু নাইট মোডে স্মার্টফোনের পর্দার পটভূমি সাধারণত কালো রঙের হয় এবং লেখাগুলো সাদা দেখায়। ফলে অন্ধকারে অতিরিক্ত আলো ছাড়াই পর্দার লেখা বা ছবি ভালোভাবে দেখা যাওয়ায় চোখের ওপর চাপ পড়ে না। বর্তমানে বেশির ভাগ স্মার্টফোনে নাইট মোড সুবিধা রয়েছে। নিয়মিত চোখের পলক ফেলা নিয়মিত পলক ফেলার ফলে চোখের আর্দ্রতা বজায় থাকে এবং চোখের ওপর চাপ কমে। স্মার্টফোন ব্যবহারের সময় প্রতি আধা ঘণ্টায় ১০ থেকে ২০ বার ১ সেকেন্ড সময় ধরে চোখের পলক ফেলতে হবে। বিরতি নেওয়া দীর্ঘ সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে চোখের ওপর বেশ চাপ তৈরি হয়। পর্দায় কাটানো সময় বা স্ক্রিন টাইম নির্ধারণ করার মাধ্যমে স্মার্টফোন ব্যবহারের সময়সীমা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এ ছাড়া অপ্রয়োজনে স্মার্টফোন ব্যবহার থেকেও বিরত থাকতে হবে।
ভিজলেও নষ্ট হয় না এই ল্যাপটপ, পাবেন দেশেই
মোবাইল ডাটা দ্রুত শেষ না হওয়ার উপায়
আইফোনের বিক্রি কমেছে বিশ্বজুড়ে
হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার, নিয়ম না মানলেই অ্যাকাউন্ট ব্যান
গ্রামীণফোন গ্রাহকদের জন্য সুখবর
অবশেষে সব ধরনের রিচার্জে মেয়াদ বাড়িয়েছে মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন। বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, এখন থেকে গ্রামীণফোনের ২০ থেকে ৪৯ টাকা রিচার্জের ক্ষেত্রে মেয়াদ হবে ৩৫ দিন, যা আগে ছিল ১৫ দিন। ৫০ থেকে ১৪৯ টাকা রিচার্জের মেয়াদ ৩০ দিন থেকে বাড়িয়ে ৪৫ দিন এবং ১৫০ থেকে ২৯৯ টাকা রিচার্জের মেয়াদ ৪৫ দিন থেকে বাড়িয়ে ৬৫ দিন করা হয়েছে।  এ ছাড়া ২৯৯ টাকার বেশি যেকোনো রিচার্জের মেয়াদ হবে ৩৯৫ দিন। সব ধরনের প্রিপেইড গ্রাহক ইলেকট্রনিক রিচার্জ সিস্টেম (ইআরএস), মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) এবং অনলাইন রিচার্জের মাধ্যমে অফারগুলো উপভোগ করতে পারবেন। রিচার্জের মেয়াদকাল রিচার্জের দিন থেকে শুরু হবে।
দেখে নিন ফেসবুকে দিনে কত সময় কাটাচ্ছেন
ফেসবুক হলো মেটার মালিকানাধীন বিশ্ব-সামাজিক আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থার বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, যা ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়। এটিতে বিনামূল্যে সদস্য হওয়া যায়। ব্যবহারকারীগণ বন্ধু সংযোজন, বার্তা প্রেরণ এবং তাদের ব্যক্তিগত তথ্যাবলী হালনাগাদ ও আদান প্রদান করতে পারেন, সেই সাথে একজন ব্যবহারকারী শহর, কর্মস্থল, বিদ্যালয় এবং অঞ্চল-ভিত্তিক নেটওয়ার্কেও যুক্ত হতে পারেন।    সারাবিশ্বে বর্তমানে এই ফেসবুক ব্যবহার করছেন ২.৯৩ বিলিয়ন সক্রিয় ব্যবহারকারী। আপনিও তার মধ্যে একজন। নানান কাজে দিনের বেশিরভাগ সময়টা কাটাচ্ছেন ফেসবুকে। অনেকেই এই সময় কাজে লাগিয়ে ফেসবুক থেকে মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন।  আপনি প্রতিদিন কত সময় ধরে ফেসবুক ব্যবহার করছেন তা চাইলেই জানতে পারবেন- প্রথমে ফেসবুক অ্যাপ ওপেন করুন। এবার মূল ফিডের ডান দিকের ওপরে থাকা হ্যামবার্গার মেন্যুতে ক্লিক করতে হবে। এরপর ‘সেটিংস অ্যান্ড প্রাইভেসি’ তে ক্লিক করুন। এবার ‘ইওর টাইম অন ফেসবুক’ এ ট্যাপ করতে হবে। এরপর নতুন একটি ম্যানু ওপেন হবে, সেখানে ‘সি ইওর টাইম’ এ ট্যাপ করে দেখতে পারবেন প্রতিদিন ফেসবুক ব্যবহারে কত সময় ব্যয় হয়েছে তার রিপোর্ট।
এসির ‘টন’ কী? কেনার আগে জেনে নিন
তীব্র গরমে অতিষ্ঠ মানুষ। একটু প্রশান্তি পেতে সামর্থবানরা তো বটেই মধ্যবিত্তরাও মার্কেটে ছুটছেন এয়ার কন্ডিশনার বা এসি কিনতে। এজন্য যেকোনো টনের এসি কিনলেই হবে না। এসি কেনার সময় ঘরের মাপ অনুযায়ী কিনতে হবে। অনেকেই হয়তো এই টনের মানে বোঝেন না। আসলে এই টন এসির সাইজ বা ওজনকে বোঝায় না। ১ টন এসি মানে হলো ১২০০০ বিটিইউ/আওয়ার, ১.৫ টন মানে হলো ১৮০০০ বিটিইউ/আওয়ার, এভাবে বাড়তে থাকে। এক টনের একটি এসি প্রতি ঘণ্টায় ঘর থেকে ১২০০০ বিটিইউ তাপ শোষণ করতে পারে। দুই টন এসি থাকা মানে প্রতি ঘণ্টায় ২৪ হাজার বিটিইউ তাপ বের করে দেওয়া। আরও সোজা করে বললে, এক টন বরফ এক ঘণ্টায় একটা ঘরের তাপমাত্রা যতটা ঠান্ডা করবে, এক টন এসির কার্যক্ষমতাও একই। তার মানে যত বেশি টন মানের এসি; তত বেশি কুলিং ক্ষমতা। এক টন এসি কথাটা তাই এসির ওজন থেকে নয়, বরং আগের এক টন বরফ গলিয়ে বাতাস ঠান্ডা করার রীতি থেকে এসেছে। তবে আপনার ঘরের জন্য কত টনের এসি কিনবেন, তা নির্ণয়ের সময় ঘরের আকার জানার পাশাপাশি ঘরটি কততম ফ্লোরে অবস্থিত, সূর্যের তাপ দেয়ালের কোন পাশে লাগে, ঘরে কতজন মানুষ থাকবে, ঘরে কোনো হিটিং জিনিসপত্র যেমন- ওভেন বা আয়রন ব্যবহার করবেন কি না, জানালা, দরজা, পর্দা, সিলিং, ফ্লোর- এসবের হিট কন্ডাকটিভিটি কেমন এসব বিষয় বিবেচনা করতে হবে। আপনার ঘর যদি ১০০-১২০ স্কয়ার ফুট হয়, সেক্ষেত্রে ১ টন এসি যথেষ্ট। ১২০-১৫০ স্কয়ার ফুট ঘরের জন্য প্রয়োজন ১.৫ টন এসি, ১৫০-২৫০ স্কয়ার ফুট বা তার বেশি আয়তনের ঘরের জন্য প্রয়োজন ২ টন ক্ষমতার এসি। আবার ঘর যদি ২৫১-৪০০ স্কয়ার ফিট বা তার চেয়ে বেশি আয়তনের হয় তাহলে ২.৫ টন বা তার থেকে বেশি টন এসি কিনতে পারেন। এছাড়া অনলাইনে এসি কেনার ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ের দিকে বাড়তি খেয়াল রাখা দরকার। যেমন ডেলিভারি আর ইন্সটলেশন চার্জ কেমন, ওয়ারেন্টি ঠিকঠাক আছে কিনা এগুলো জেনে নেবেন।  এসি ব্যবহারের আগে আরও যা জানা দরকার দীর্ঘসময় এসি চালানো উচিত নয়। চালাতে হলে মাঝে কিছুক্ষণের বিরতি দিতে হবে। এসির আউটডোর ইউনিট এমন স্থানে রাখতে হবে যেন সেটা গাছ দিয়ে ঢাকা না থাকে। খোলামেলা ও বাতাস চলাচল করে এমন স্থানে রাখবেন এসির বাইরের অংশ। এসি বেশি ব্যবহৃত হলে ৬ মাসে একবার এবং কম ব্যবহৃত হলে বছরে একবার বিশেষজ্ঞ হাতে সার্ভিসিং করাতে হবে।
ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধের হুঁশিয়ারি মেটার
তথ্য-প্রযুক্তি খাতে ২০২১ সালের এক আইন কার্যকর করতে চাইছে ভারত সরকার। সে আইন অনুসারে হোয়াটসঅ্যাপকে তার এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন নীতি ভঙ্গ করে ইউজারদের তথ্য ও তাদের বার্তাগুলো দিতে বলা হয়েছে সরকারকে। কিন্তু ভারত সরকারের এ নির্দেশনা মানতে রাজি নয় হোয়াটসঅ্যাপের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা। আর তাই তারা আইনটিকে চ্যালেঞ্জ করে দ্বারস্ত হয়েছে আদালতের।  দিল্লি হাইকোর্টে মেটার মুখপাত্র তেজস করিয়া স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, আমাদের যদি এনক্রিপশন ভাঙতে বলা হয় তাহলে হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ করতে হবে। কারণ, মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে শুধুমাত্র তার গোপনীয়তা নীতির জন্য।  প্রসঙ্গত এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন হলো এমন একটি প্রাইভেসি ফিচার যা অনেক বছর ধরেই হোয়াটসঅ্যাপ তার ব্যবহারকারীদের দিয়ে আসছে। এটির সুবিধা হল প্রেরক বা সেন্ডার যা পাঠাচ্ছেন তিনি এবং যিনি রিসিভ করছেন অর্থাৎ প্রাপক- এ দুজন ছাড়া আর কেউ জানতে পারবে না। সেটা মেসেজই হোক কিংবা ছবিই হোক। হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি পলিসিতেও এই ফিচারের উল্লেখ করা হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, ভারত সরকারের নতুন আইটি নিয়মে হোয়াটসঅ্যাপকে চ্যাটগুলো ট্রেস করতে এবং বার্তাগুলো যারা পাঠিয়েছেন তাদের শনাক্ত করতে বলা হয়েছে। কিন্তু এটি তাদের প্রাইভেসি পলিসি বা এনক্রিপশন ব্যবস্থাকে দুর্বল করে। পাশাপাশি ভারতীয় সংবিধানের অধীনে ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা নীতি লঙ্ঘন করে। তাই তারা এই এনক্রিপশন ভাঙতে পারবে না। কিন্তু ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের যুক্তি হচ্ছে, অনলাইন সুরক্ষা নিশ্চিতে এবং ক্ষতিকর কনটেন্ট রুখতে মূল ব্যক্তিকে শনাক্ত করা জরুরি। যারা সমাজে ভুয়া তথ্য ও বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে তাদের চিহ্নিত করা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলোর দায়িত্ব। সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, ট্রেস করার জন্য কিছু মেকানিজম বা প্রযুক্তি আনা উচিত। তবে বিষয়টির জটিলতা বুঝতে পেরে প্রাইভেসি ও শনাক্তকরণের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার কথা জানিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, হোয়াটসঅ্যাপের সবচেয়ে বড় বাজার ভারত। ফেসবুক মালিকাধীন এই অ্যাপের ৯০ কোটির বেশি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী রয়েছে ভারতে। সুতরাং, দেশটিতে যদি অ্যাপটি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে এটা একটা বড় ঘটনা হবে। অবশ্য, ভারতের বাজার ছাড়ার ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি মেটার পক্ষ থেকে। 
টিকটক নিষিদ্ধে বিল পাস যুক্তরাষ্ট্রের
যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে আনা একটি বিল অনুমোদন করেছে দেশটির সিনেট। বিলটি এখন স্বাক্ষরের জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে যাবে এবং তার স্বাক্ষরের পর এটি আইনে পরিণত হবে। বিলের শর্ত অনুযায়ী, টিকটকের চীনা মালিক প্রতিষ্ঠান, বাইটড্যান্সকে যুক্তরাষ্ট্রে নিজেদের শেয়ার আগামী ছয় মাসের মধ্যে বিক্রি করে দিতে হবে। অন্যথায় যুক্তরাষ্ট্রে এই অ্যাপটি ব্লক করে দেওয়া হবে। আর এমনটি হলে বাধ্যতামূলকভাবে টিকটক বিক্রির বিষয়ে চীনা কর্তৃপক্ষের অনুমোদন চাইতে হবে বাইটড্যান্সের। তবে বেইজিং ইতোমধ্যেই শক্তভাবে এর বিরোধিতা করেছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে চারটি বিলের একটি প্যাকেজের সঙ্গে এ বিলটি পাস হয়েছিলো। ওই প্যাকেজে ইউক্রেন, ইসরায়েল, তাইওয়ান এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারদের জন্য সামরিক সহায়তা সংক্রান্ত বিষয়ও ছিল। জানা গেছে, চালুর অল্প সময়ের মধ্যেই তরুণদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠা ভিডিও শেয়ারের অ্যাপটি নিষিদ্ধের জন্য গত শনিবার প্রস্তাব উঠলে তা বড় ধরনের সমর্থন লাভ করে সিনেটে। সেখানে ৭৯ জন সিনেটর প্রস্তাবের পক্ষে আর ১৮ জন তার বিরুদ্ধে ভোট দেন। উল্লেখ্য, বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি ব্যবহারকারী আছে টিকটকের। তবে এখন এর সঙ্গে চীনা সরকারের যোগসূত্র এবং এর ব্যবহারকারীদের তথ্য উপাত্তের নিরাপত্তা নিয়ে ক্রমশ প্রশ্ন উঠছে। সূত্র: বিবিসি  
তথ্য সুরক্ষায় কোলোসিটির হাইব্রিড ক্লাউড পরিসেবা
স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণে দেশের ব্যবসা-শিল্পের প্রযুক্তিগত প্রসারকে আরো গতিশীল করতে কোলোসিটি দেশে প্রথমবারের মতো হাইব্রিড ক্লাউড পরিসেবা নিয়ে এসেছে যা মাইক্রোসফট আয্যুর স্টাক হাব এবং ডেল টেকনোলজিস এর ইন্ট্রিগ্রেটেড প্লাটফর্ম। অ্যয্যুর স্টাক হাব মাইক্রোসফট অ্যয্যুরের এক্সটেনশন সার্ভিস এবং বাংলাদেশে একমাত্র কোলসিটি ডেটাসেন্টারে স্থাপন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সেমিনারে এই সেবার বিস্তারিত জানানো হয়। কোলোসিটি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমাদ ইস্পাহানি বলেন, প্রযুক্তির এই যুগে তথ্য সংরক্ষণ ও নিরাপত্তায় ডেটা সেন্টার এবং ক্লাউড পরিসেবার গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের এই ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে বিশ্বমানের হাইব্রিড ক্লাউড পরিসেবা কোলোসিটি ক্লাউড একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। মাইক্রোসফট অ্যযূর স্টাকহাব এবং ডেল টেকনোলজির সমন্বয়ে আমরা বাংলাদেশে বিশ্বমানের একটি হাইব্রিড ক্লাউড সলিউশন নিয়ে এসেছি যা বাংলাদেশে হোস্টেড। সেবাটি বাংলাদেশে ডিজিটাল ব্যবসায়িক পরিবর্তনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশে পরিণত হবে। কোলোসিটি সেবার মান উন্নয়ন এবং গ্রাহক সেবায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এতে স্থানীয় ব্যবসাগুলো সাশ্রয়ী খরচে ডেটা সুরক্ষিত রেখে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সক্ষম হবে। কোলোসিটি লিমিটেডের কোলোসিটির বিক্রয় ও বিপণন প্রধান মো. আল-ফুয়াদ বলেন, ইন্টারকানেক্টেড এই বিশ্বে ব্যবসা পরিচায়নায় তথ্যের নিরাপত্তা এবং কমপ্লায়েন্সের গুরুত্বকে অবজ্ঞা করার কোনো সুযোগ নেই। তথ্যের নিরাপত্তা বিধানে সবশেষ প্রযুক্তির প্রয়োগ এখন সময়ের দাবি।  কোলোসিটি সেই কাজটি করতে দেশে প্রথমবারের মতো মাইক্রোসফট অ্যযূর স্টাকহাব এবং ডেল টেকনোলজির সমন্বয়ে হাইব্রিড ক্লাউড সুবিধা নিয়ে এসেছে যা আর্ন্তজাতিক মানদন্ড মেনে ব্যবসার ডিজিটাল রুপান্তরকে ত্বরাণিত করতে সহযোগিতা করবে। মাইক্রোসফট অ্যযূর যখন ডেল টেকনোলজির সাথে ইন্টিগ্রেটেড করা হয় তখন সিএস, সিসিএম, পিসিআই ডিএসএস এবং ফেডআরএএমপি’র মতো নিয়ন্ত্রক কাঠামোর জন্য একটি কমপ্লায়েন্ট হোস্টিং অবকাঠামো তৈরি হয়। তিনি বলেন, সেবার মান যাচাইয়ে ১৫ দিনের ফ্রি ট্রায়াল অথবা পিওসি করার সুযোগ দিচ্ছে কোলোসিটি যা কোনো প্রতিষ্ঠানকে জেনে-বুঝে সিদ্ধান্ত গ্রহনের সুযোগ দেয়। কোলোসিটি মনে করে, ডেল এবং মাইক্রোসফটের ইন্টিগ্রেটেড এই সেবার মাধ্যমে ব্যবসায়িক আইটি কাঠামোতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। ভবিষ্যতে এর পরিধি আরো বাড়াতে কোলোসিটি লিমিটেড এই ক্লাউডের রেপ্লিকা বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলে বসানোর পরিকল্পনা আছে কোলোসিটির। আয়োজনে ডেল, মাইক্রোসফট, কোলোসিটির উর্দ্ধতন কর্মকর্তাসহ দেশের প্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন শ্রেণীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কোলোসিটি লি. দেশের প্রথম টায়ার-৩ স্ট্যান্ডার্ড বাণিজ্যিক পাবলিক ডাটা সেন্টার এবং হোস্টিং সলিউশন কোম্পানি যা ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশে কাজ করছে।
হোয়াটসঅ্যাপে ইন্টারনেট ছাড়াই পাঠানো যাবে ছবি-ভিডিও-ডকুমেন্ট
বিশ্বজুড়ে বর্তমানে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছে মেটার হোয়াটসঅ্যাপ। এই অ্যাপের মেসেঞ্জার হলো একটি আন্তর্জাতিকভাবে উপলব্ধ ফ্রিওয়্যার, ক্রস-প্ল্যাটফর্ম, সেন্ট্রালাইজড ইন্সট্যান্ট মেসেজিং এবং ভয়েস-ওভার-আইপি পরিষেবা। হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের পাঠ্য এবং ভয়েস বার্তা পাঠাতে, ভয়েস এবং ভিডিও কল করতে এবং ছবি, নথি, ব্যবহারকারীর অবস্থান এবং অন্যান্য শেয়ার করতে দেয়। হোয়াটসঅ্যাপের ক্লায়েন্ট অ্যাপ্লিকেশন মোবাইল ডিভাইসে চলে এবং কম্পিউটার থেকে অ্যাক্সেস করা যায়। তুমুল জনপ্রিয় হওয়ায় একের পর এক ফিচার এনেছে হোয়াটসঅ্যাপ। সম্প্রতি সাড়া ফেলা বেশ কয়েকটি ফিচারের পর এবার অফলাইনে শেয়ারের করার ফিচার আনছে হোয়াটসঅ্যাপ। এই ফিচারের মাধ্যমে আপনি চাইলে ইন্টারনেট ছাড়াও হোয়াটসঅ্যাপে ছবি, ভিডিও ও বিভিন্ন ডকুমেন্ট আদান-প্রদান করতে পারবেন।  বুধবার (২৪ এপ্রিল) তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট অ্যান্ড্রয়েড অথরিটির প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে। গত ২২ এপ্রিল এ সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি মেটার মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ নতুন এক ফিচার নিয়ে কাজ করছে। এই ফিচারের মাধ্যমে অফলাইনে ফাইল ও ডকুমেন্ট ট্রান্সফার করা যাবে। এই সুবিধা আসতে চলেছে শিগগিরই, পরীক্ষা শুরু করে দিয়েছে মেটা। এতে আরও বলা হয়েছে, অফলাইনে শেয়ার হওয়া ফাইল সম্পূর্ণ অ্যান্ড-টু-অ্যান্ড এনক্রিপটেড থাকবে অর্থাৎ প্রাইভেসি নিয়েও নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন। তা জানতে পারবেন না অন্য কেউ। ব্যভহারকারীদের ভরসা পেতে এনক্রিপট হওয়া খুবই জরুরি বলে মনে করা হচ্ছে। এই ফিচার সম্পর্কিত একটি স্ক্রিনশট ফাঁস হয়েছে। তবে ফিচারের ছোট্ট একটি টুইস্ট রয়েছে। সেটি আবার কী? জানা গেছে, আপনার কাছাকাছি সেই ডিভাইস থাকতে হবে এবং তাতে অফলাইন ফাইল-শেয়ারিং ফিচার চালু থাকতে হবে। তবেই এই ফিচার কাজ করবে। ফাইল শেয়ারিং ফিচার বর্তমানে সব অ্যানড্রয়েড ফোনেই পাওয়া যায়। যেভাবে হোয়াটসঅ্যাপে ইন্টারনেট ছাড়াই ফাইল ও ছবি শেয়ার করবেন স্ক্যান করে ব্লুটুথ ও শেয়ার ইট অ্যাপের মাধ্যমে দ্রুত এক ফাইল যেমন এক ফোন থেকে আর এক ফোনে চলে যায়। অফলাইন ফাইল শেয়ারিং ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে কোনো রকম ইন্টারনেটের প্রয়োজন পড়ে না। সেই ফিচার কাজে লাগিয়েই হোয়াটসঅ্যাপের এই সিস্টেম কাজ করবে। এটি অন অথবা অফ ও করা যাবে, তবে এক্ষেত্রে কয়েকটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে। হোয়াটসঅ্যাপকে আপনার ফোনের গ্যালারি, ফাইল ও ডকুমেন্ট অ্যাক্সেস করার অনুমতি না দিলে এই ফিচার কাজ করবে না।  হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, ইউজারের নম্বর গোপন থাকবে এবং শেয়ার করা ফাইলগুলো এনক্রিপট করা হবে। ফিচারটি ইউজারদের অনেক ডেটা এবং সময় বাঁচাবে। বর্তমানে ফিচারটি পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে এবং বেটা ভার্সনে চালু হয়েছে। দ্রুত সব অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস ডিভাইসে ফিচারটি চালু হবে এজন্য অবশ্যই হোয়াটসঅ্যাপ সবশেষ ভার্সনে আপডেট করে নিতে হবে।