• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিল সাহিত্য পুরস্কার পেলেন সোহেল অটল
দাউদকান্দি সাহিত্য সংসদ আয়োজিত স্বরচিত কবিতা পাঠ
দাউদকান্দি সাহিত্য সংসদের আয়োজনে স্বরচিত কবিতা পাঠ ও সাহিত্য বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুরে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের আহ্বায়ক কবি আলী আশরাফ খানের সভাপতিত্বে এবং দাউদকান্দি সাহিত্য সংসদের প্রতিষ্ঠাতা ও সদস্য সচীব সাংবাদিক শরীফ প্রধানের সঞ্চালনায় কবিতা পাঠের আসরটি সম্পন্ন হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে কবিতা পাঠ করেন ছড়াকার খন্দকার আল মামুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ভয়েস আর্টিস্ট এসএম মিজান, গীতিকার ইউসুফ নাছির কবিতা পাঠ করেন। অন্যান্যের মধ্যে কবিতা পাঠ করেন, মোহাম্মদ শাহআলম সরকার, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, মো: কামরুল হাসান, মোহাম্মাদ আবু জাফর, রোকশানা আক্তার ও মহিউদ্দিন। স্বরচিত কবিতাগুলোর মধ্যে ছিলো, স্রস্টার দয়া ও মহিমার বর্ননা, তীব্রতাপদাহ, দাউদকান্দি আমার জন্ম ভূমি, আমি মুসলীম, কিশোর গেং, সমসাময়িক বিষয়, প্রেম ও প্রকৃতি নিয়ে। কবিতা পাঠ শেষে কামরুল হাসানের একক ও যৌথ লেখা ৩টি কবিতার বই  কবি আলী আশরাফ খানকে উপহার দেন।    
ধ্রুব এষ আইসিইউতে
স্মৃতিকথা / ‘চান উইল্ল্যে চান উইল্ল্যে, হালিয়ে ঈদ’
বুকার পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ
বইমেলায় ৬০ কোটি টাকার বই বিক্রি
‘ফারাক’ বইটি হতে পারে জীবন রক্ষার হাতিয়ার
কানাডার টরেন্টো শহরের স্থানীয় একটি হোটেলে প্রবাসী লেখক মোস্তফা আকন্দ ও নেসার আহমেদ প্রণীত ফারাক গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করেছেন অন্টারিওর প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্টের বিরোধীদলীয় উপনেতা বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত এমপিপি ডলি বেগম।  শনিবার (২ মার্চ) আলোচনা অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও কানাডা প্রবাসী আসমা আহমেদ। ডলি বেগম তার বক্তৃতায় বলেন, টরেন্টোতে বাংলাদেশীদের মধ্যে প্যারিন্টং একটি জটিল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ‘ফারাক’ বইটির লেখকদের আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। তারা কমিউনিটির জন্য নীরবে কাজ করে যাচ্ছেন। টরেন্টোতে বাঙালী যুবকদের আত্মহত্যা বিষয়ে তারা গবেষণা করেছেন কয়েক বছর আগে। খুব ভালো কাজ ছিলে সেটা।   তিনি আরও জানান, সম্পূর্ণ বাংলায় লিখিত ফারাক বইটি টরেন্টো বাঙালী কমিউনিটির প্যারেন্টসদের প্যারেন্টিং সমস্যা সমাধানে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। কমিউনিটির সবাইকে বইটি পড়া উচিত। ফারাক গ্রন্থটির ওপর আলোচনায় অংশ  নিয়ে  বাংলাদেশের জনপ্রিয় দৈনিক প্রথম আলোর প্রাক্তন সাংবাদিক ও টরেন্টো ভিত্তিক অনলাইন পত্রিকা নতুন দেশের সম্পাদক শওগাত আলী সাগর বলেন, ফারাক গ্রন্থটি লেখকদ্বয়ের প্যারেন্টিং বিষয়ের ওপর লিখিত একটি গবেষণামূলক গ্রন্থ যেখানে আমাদের প্যারেন্টিং এর চ্যালেঞ্জগুলোকে গল্পের ঢংয়ে সন্নিবেশিত করা হয়েছে। গল্পগুলো সুখপাঠ্য। পড়তে পড়তে মনে হবে আমি এই শহরেরই কোন গল্পের মধ্যে ঢুকে যাচ্ছি আর  মানসিক স্বাস্থ্য ও প্যারেন্টিং বিষয়ে শিখছি। এই শিক্ষণটা আমাদের ও আমাদের সন্তানদের মধ্যকার দূরত্ব কমাতে সাহায্য করবে। টরেন্টো প্রবাসী কবি, গল্পকার ও টরেন্টো ডিসট্রিক্ট স্কুল বোর্ডের স্পেশাল নিডস্ শিশুদের শিক্ষিকা সঙ্গীতা ইয়াসমিন বইটির ওপর আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, শুধু সন্তান জন্ম দিলেই বাবা-মা হওয়া যায়না। বাবা-মা হতে গেলেও কিছু দক্ষতা ও প্রশিক্ষণ থাকা দরকার হয়। ‘ফারাক’ অনেকটা গবেষণা-ধর্মী তথ্য সম্বলিত এবং বাস্তব ঘটনার প্রতিচ্ছবি নিয়ে রচিত গ্রন্থ। সেসব ঘটনা বিশ্লেষণ করলেই আমাদের মত হাজারো বাবা-মা অন্তত নিজেদেরকে প্রশ্ন করতে শিখবেন। এই গ্রন্থ পাঠে যদি নিজে থেকেই আমরা কিছু শিক্ষণ নিতে পারি সেটা আমাদের সবার জন্য মঙ্গল। না-ও যদি পারি, তবুও আমরা আমাদের মুদিত চক্ষুকে মুক্ত করতে পারি! সুস্থ থাক জগতের সব সন্তান। সুখি হোক পরিবার। ঘুচে যাক সব দূরত্ব! যেখানে আছে 'ফারাক'। টরেন্টোর আইনজীবী ব্যারিস্টার জাকির হোসেন বলেন, কোন বই যে এভাবে লেখা যায়, আমি  কখনো দেখিনি। বইটি প্যারেন্টিং এর ওপর লিখিত বই। কিন্তু লেখকদ্বয় গল্প বলেছেন আর প্যারেন্টিং শিখিয়েছেন। শেষে প্যারেন্টিংয়ের ওপর একাডেমিক আলোচনাও করেছেন। বইটি পড়া শুরু করলে আপনি শেষ না করে ছাড়তে পারবেন না। কমিউনিটির মানুষদের বইটি পড়া  উচিৎ। টরেন্টোর চিকিৎসক নিলান্জনা দত্ত বলেন, মোস্তফা আকন্দর লেখা আমার খুবই ভালো লাগে।  তিনি আমাদের সমাজের সমস্যাগুলোকে এমন সুন্দরভাবে তার লেখা গল্পে তুলে ধরেন যে, মনেই  হয়না এটা কোন তথ্যবহুল আলোচনা। আর বইটির সহ-লেখক নেসার আহমেদের প্রফেশনাল লেবেল  অনেক উঁচু। ফারাক বইটি সবাইকে পড়ার আহবান করছি। অন্টারিওর গুয়েলফ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ডক্টর মাহতাব শাওন বলেন, ফারাক নামটাই একটা সার্থক নাম। আপনারা বইটি পড়লেই বুঝতে পারবেন যে কেন এই নামটি রাখা হয়েছে? বইটির পটভূমি আমার জানা। যে গবেষণা লেখকদ্বয়কে বই লিখতে উৎসাহ যুগিয়েছে সেই গবেষণাটির সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা ছিল। কয়েক বছর আগের টরেন্টোর বাঙালী তরুণদের আত্মহত্যার কাড়ন অনুসন্ধানের গবেষণার মুল ফলাফল ছিল মা-বাবার সাথে সন্তানের যোগাযোগের অভাব’ বা প্যারেন্টিং ইস্যু। এ বিষয়টি কখনো আমাদের কমিউনিটিতে এড্রেস করা হয়নি। তিনি সবাইকে বইটির অষ্টম অধ্যায়টি ভালোভাবে পড়ার অনুরোধ করেন।  সমাজসেবা মূলক কাজের উদ্যোক্তা ড্যানিয়েল হাকিম সবাইকে ফারাক বইটি পড়তে অনুরোধ করে বলেন, সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের প্যারেন্টিং স্টাইল চেঞ্জ হয়নি। বাবা-মা ও সন্তানদের মধ্যে সম্পর্ক এর ফারাক তৈরিতে এটাই ভূমিকা রাখছে। বইটা আমাদের মধ্যে বিদ্যমান সেই দূরত্ব পুরনে সহায়তা করতে পারে। প্রথম আলোর প্রাক্তন সাংবাদিক ও কানাডা প্রবাসী লেখক সুব্রত নন্দী বলেন, আমরা আগে জানতামই না যে প্যারেন্টিং বলে একটি বিষয় আছে। যাদের ক্ষতি হয়ে গেছে তাদেরতো গেছেই। আর আমাদের যাদের এখনো সুযোগ আছে, তারা যদি গুড প্যারেন্টিং করতে পারি তাহলে আমাদের বাচ্চাদের ক্ষতি হবেনা। আমি মনে করি, সবাইকে বাচ্চাদেরকে সময় দিতে হবে। আমাদেরকে চাপিয়ে দেয়ার মানসিকতা পরিহার করতে হবে। টরেন্টোর বিশিষ্ট সমাজকর্মী মোস্তফা কামাল বলেন, বাবা মা হিসেবে আমাদের চিন্তার জায়গায় পরিবর্তন আনতে হবে। তারা যেভাবে চায় সে মোতাবেক সহায়তা করতে হবে। তাহলেই দূরত্ব কমবে। টরেন্টো ভিত্তিক অলাভজন দাতব্য সংস্থা বেঙ্গলী ইনফরমশেন এন্ড এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিসের (বিআইইএস) নির্বাহী পরিচালক ইমাম উদ্দিন বলেন, ‘ফারাক’ বইটিতে যে বিষয়গুলো তুলে আনা হয়েছে তার গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা যত টাকা পয়সার মালিকই হয়না কেন, বাচ্চারা যদি ঠিকমত বেড়ে না ওঠে তাহলে সব সম্পদ অর্জন বৃথা হয়ে যাবে। নিজের সন্তানদেরকে লালনপালন করতে গিয়ে তিনি কী কী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন, এবং তা তিনি কীভাবে মোকাবেলা করেছেন- তার বিবরণ তুলে ধরেন। সমাজকর্মী বদিউজ্জামান মুকুল বলেন, ‘এলিফ্যান্ট ইন দ্য রুম’ এখন আমাদের ঘরের মধ্যে হাতি। এটাকে আর গুরুত্বহীনভাবার অবকাশ নেই। সন্তানরা বাবা-মাকে হত্যা করছে। কেন? একটু ভাবুন। যেভাবে সন্তান লালন-পালন করছেন ঠিক আছে তো ? আপনি বাচ্চাদের নিয়ে সমস্যায় থাকলে ‘ফারাক’ বইটি আপনাকে সহায়তা করতে পারে। কারণ বইটির গল্পগুলো খুবই বাস্তব এবং আমার প্রফেশনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। টরেন্টোর নারী উদ্যোক্তা সাবিনা শারমিন বলেন, ‘ফারাক’ হতে পারে কারো কারো জন্য জীবন রক্ষার হাতিয়ার। আপনি আপনার ঘরের মধ্যে কোন দানবকে বড় করে তুলছেন নাতো? ঢাকার ঔশি মেয়েটি কেন তার বাবামাকে হত্যা করল? মুল কারণ প্যারেন্টিং। তার বাবা-মা তাকে কীভাবে মানুষ করেছেন। তাকে কতটুকু সময় দিয়েছেন? তা নিয়ে কী আমরা ভেবেছি? ফারাক কেন সৃষ্টি হল? অনেক প্রশ্ন।  নিজেকে প্রশ্ন করুন। টরেন্টো ডিসট্রিক্ট স্কুল বোর্ডের  শিক্ষক ডঃ ফখরুদ্দীন, লেবানিজ-আমেরিকান কবি ও দার্শনিক কাহলিল জিবরানের একটি কবিতার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, তোমাদের সন্তানেরা তোমাদের নয়। তারা সময়ের সন্তান। তারা তোমাদের মাধ্যমে পৃথিবীতে এসেছে।  তোমরা তোমাদের সন্তানদের নিজের সম্পত্তি মনে করিও না। অর্থাৎ সন্তান হলেই যে সব কিছু তাদের ওপর চাপিয়ে দিতে হবে তাদের মতামতের কোন দাম দেয়া যাবেনা-এটা ঠিক নয়। তারা ছোট হতে পারে কিন্তু তারাও সব বোঝে বলে তিনি মন্তব্য করেন। অন্টারিওর নিবন্ধিত সমাজকল্যাণ কর্মী ও উপন্যাসিক জাকারিয়া মুইনুদ্দিন বলেন, আমাদের বাঁচতে হলে জানতে হবে, অনুশীলন করতে হবে। মেন্টাল হেলথ খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্যারেন্টিং আমাদের শিখতে হবে। ফারাক প্যারেন্টিং শিখতে সহায়তা করবে নিশ্চয়ই। বইটির সহ-লেখক নেসার আহমেদ উপস্থিত অতিথিদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘ফারাক’ বইটি সময়োপযোগী বই। বইটি গল্প সমৃদ্ধ হলেও সবগুলো গল্পই সত্য ঘটনার ওপর ভিত্তি করে লেখা। সময়ের সাথে সাথে আমাদের নিজেদের প্যারেন্টিং স্টাইলে পরিবর্তন আনতেই হবে। বইটি আমাদের সেই পরিবর্তন আনতে সহায়কের ভূমিকা পালন করবে।  মোস্তফা আকন্দ বইটির ওপর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, আমরা সবাই আমাদের বাচ্চাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ চাই। কিন্তু নতুন দেশ নতুন সময়ের চাহিদারে সাথে তাল মিলিয়ে আমরা নিজেরা নিজেদের পরিবর্তন করতে ইস্ততঃবোধ করি। ফলে আমাদের সাথে আমাদের সন্তানদের ফারাক তৈরি হয়। নতুন দেশের রীতিনীতি ও সংস্কৃতির সাথে নিজেদের খাপ খাওয়াতে না পারলে আমরা পিছিয়ে পড়ব। বিদেশী সংস্কৃতি ও আমাদের সংস্কৃতির চাপে আমাদের বাচ্চারা স্যান্ডউইচ বেবি হিসেবে বেড়ে উঠবে অথবা হারিয়ে যাবে। আমাদেরকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমরা কী করবো।কারণ বাচ্চাদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। বইটি বাবা-মায়েদের পয়েন্টিং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহায়ক হবে সন্দেহ নেই। আলোচনা অনুষ্ঠানে আরো মতামত ব্যক্ত করেন,  বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টর এডভোকেট ও কানাডা প্রবাসী আক্তার মোসাম্মাৎ, ক্যানবাংলা টেলিভিশনের কর্নধর ড, মো. হুমায়ন কবির চৌধুরী, পিল ডিসট্রিক্ট স্কুল বোর্ডের সিনিয়র শিক্ষক এমডি হাসান তারিক, বিশিষ্ট নারী উদ্যোক্তা সেলিমা আহমেদ, আবাসন ব্যবসায়ী নাসিমা পারভীন ও মেফিল্ড হাইস্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী মেহরীন মুস্তারীসহ অনেক।
বইমেলায় যারা পেলেন গুণীজন স্মৃতি পুরস্কার
রাজধানীতে আয়োজিত এবারের অমর একুশে বইমেলা শেষ হলো শনিবার। সমাপনী অনুষ্ঠানে ২০২৩ সালে প্রকাশিত বিষয় ও মানসম্মত সর্বাধিক সংখ্যক বই প্রকাশের জন্য গুণীজন স্মৃতি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। মূলত, মানসম্মত সর্বাধিক সংখ্যক বই প্রকাশ, নান্দনিক স্টল এবং শৈল্পিক ও গুণমান বিচারে এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।      শনিবার (২ মার্চ) বিকেলে সমাপনী অনুষ্ঠানে গুণীজন স্মৃতি পুরস্কার হস্তান্তর করা হয়েছে। গুণীজন স্মৃতি পুরস্কার পেলেন-২০২৩ সালে প্রকাশিত বিষয় ও গুণমানসম্মত সর্বাধিক সংখ্যক বই প্রকাশের জন্য কথাপ্রকাশকে ‘চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার-২০২৪’ দেওয়া হয়েছে। ‘মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার ২০২৪’ পেয়েছে ৩টি প্রকাশনী সংস্থা। ২০২৩ সালে প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে শৈল্পিক ও গুণমান বিচারে সেরা বই বিভাগে মনজুর আহমদ রচিত একুশ শতকে বাংলাদেশ : শিক্ষার রূপান্তর গ্রন্থের জন্য প্রথমা প্রকাশন, মঈন আহমেদ রচিত যাত্রাতিহাস : বাংলার যাত্রাশিল্পের আদিঅন্ত গ্রন্থের জন্য ঐতিহ্য এবং আলমগীর সাত্তার রচিত কিলো ফ্লাইট প্রকাশের জন্য জার্নিম্যান বুকস এই পুরস্কার পেয়েছে। ২০২৩ সালে প্রকাশিত শিশুতোষ বইয়ের মধ্য থেকে গুণমান বিচারে সর্বাধিক গ্রন্থ প্রকাশের জন্য ময়ূরপঙ্খিকে ‘রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার-২০২৪’ দেওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালের অমর একুশে বইমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্য থেকে নান্দনিক অঙ্গসজ্জায় সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে, অন্যপ্রকাশ (প্যাভিলিয়ন), নিমফিয়া পাবলিকেশন (২-৪ ইউনিট) এবং বেঙ্গল বুকস (১ ইউনিট)। এসব প্রতিষ্ঠানকে শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার ২০২৪’ এর জন্য ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আজ ছিল অমর একুশে বইমেলার ৩১তম দিন। ছুটির দিন হিসেবে মেলা শুরু হয় সকাল ১১টায় এবং চলে রাত ৯টা পর্যন্ত । আজ নতুন বই এসেছে ১৪৯টি। এ পর্যন্ত (২রা ফেব্রুয়ারি থেকে ২রা মার্চ পর্যন্ত) নতুন বই এসেছে ৩৭৫১টি। সমাপনী অনুষ্ঠানে সম্প্রতি বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
বইমেলায় ৬০ কোটি টাকার বই বিক্রি
রাজধানীতে আয়োজিত চলতি বছরের (২০২৪) অমর একুশে বইমেলায় ৬০ কোটির বেশি টাকার বই বিক্রি হয়েছে, যা ২০২৩ সালের তুলনায় অন্তত ১৩ কোটি টাকা বেশি। গত বছর মেলায় ৪৭ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছিল । শনিবার (২ মার্চ) বিকেলে অমর একুশে বইমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান বাংলা একাডেমির উপ-পরিচালক শাহেদ মমতাজ। অমর একুশে বইমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। সম্মানিত অতিথি ছিলেন নবনিযুক্ত সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। নবনিযুক্ত সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান রাজধানীর বেইলি রোডে নিহতদের স্মরণ করে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। এ সময় তিনি বলেন, গত ১ ফেব্রুয়ারি বইমেলার উদ্বোধনী আয়োজনে এসেছিলাম। জীবনে চিন্তাও করিনি বইমেলার সমাপনী আয়োজনে আমি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে হাজির হবো। তিনি বলেন, আমি কোনো প্রতিশ্রুতি দিতে চাই না। কোনো প্রমিজে বিশ্বাস করি না, কাজ দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করতে চাই। প্রতিশ্রুতি তো ভঙ্গ হয়ে যায়। আমরা সবাই মিলে যদি একটি টিমওয়ার্ক করতে পারি, তাহলে কাজটি ভালো হবে।’ তিনি আরও বলেন, বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বইমেলা এখন ঐতিহ্য হয়ে গেছে। এই বইমেলা সরানোর বিষয়ে কথা উঠেছে। আমরা কোনো না কোনো ব্যবস্থা করে বইমেলা এখানে রাখার ব্যবস্থা করবো। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, সারা পৃথিবী ঘুরে এসেও এমন একটি বইমেলা খুঁজে পাবেন না। এ বইমেলা আমাদের আবেগের মেলা, জাতিসত্তার মেলা। এই বইমেলা জাতি হয়ে ওঠার বইমেলা, আমাদের মাটি ও মানুষকে ভালোবাসার বইমেলা। চলতি বছরের (২০২৪) অমর একুশে বইমেলায় বই প্রকাশিত হয়েছে ৩ হাজার ৭৫১টি। গত বছর প্রকাশিত হয় ৩ হাজার ৭৩০টি বই।  
শেষ সময়ে প্রাণবন্ত বইমেলা
বিদায়ের সুর বাজছে আমর একুশে বইমেলায়। শেষবেলায় দর্শনার্থী ছিল কম। তবে পাঠকদের সমাগম ছিল বেশি। মেলায় যারা আসছেন অধিকাংশের হাতে ছিল বই। শেষ সময়ে পাঠকদের পদচারণায় প্রাণবন্ত ছিল বইমেলা। শনিবার (২ মার্চ) সরেজমিনে দেখা গেছে, তেমন ভিড় ছিলনা মেলায়। দর্শনার্থীদের সংখ্যা কম দেখা গেছে। শেষবেলা বইপ্রেমীরা খুঁজে খুঁজে বই কিনছেন। তবে অধিকাংশ পাঠককে হাতে বই নিয়ে ঘুরতে দেখা গেছে। খালি হাতে মেলা প্রাঙ্গণ থেকে বের হচ্ছে না পাঠকরা। এদিকে মেলার শেষ দিন হওয়ায় বই গোছাচ্ছেন কর্মীরা। বইগুলো প্যাকেজিং করে বিদায়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বিক্রয়কর্মীরা জানান, মেলায় দর্শনার্থী কম হলেও বেচাকেনা ভালো। যারা স্টলে আসছেন তাদের বেশির ভাগই বই কিনছেন। ঘুরতে আসা মানুষের সংখ্যা ছিল কম। তারা আরও বলেন, সময় বাড়ানোর কারণে কাল থেকে ভালো বিক্রি হয়েছে। শেষ সময়ে প্রবন্ধ, ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাস্থ্যবিষয়ক ও বাচ্চাদের নৈতিকতার বই বেশি বেচাকেনা হয়েছে। দর্শনার্থী আলমগীর হোসেন বলেন, শেষ সময়ে কিছু প্রয়োজনীয় বই সংগ্রহ করেছি। যা অন্যসময় পাওয়া যায় না। ভালেই লাগছে। এরপর অপেক্ষা করতে হবে আরও একবছর। প্রসঙ্গত, মেলা শেষ হওয়ার কথা ছিল ২৯ ফেব্রুয়ারি। তবে প্রকাশকদের আবেদনের পর প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নির্দেশে মেলার সময় বাড়ানো হয় দুদিন।
বইমেলায় সাড়া জাগিয়েছে ‘নদী পেরোলেই সাততারা’
এবার একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে নন্দিত নাট্যকার শফিকুর রহমান শান্তনু এর নতুন উপন্যাস ‘নদী পেরোলেই সাততারা’। উপন্যাসটি প্রকাশের সাথে সাথেই পাঠক মহলে যথেষ্ট সাড়া ফেলেছে।  এদিকে মেলার ২৫ তম দিনে নিঃশেষ হয়েছে বইটির প্রথম মুদ্রণ। নাট্যকার শফিকুর রহমান শান্তনু বলেন, একজন লেখকের জন্য এটা খুবই আনন্দের যে, পাঠক তার বইটি গ্রহণ করছে। আমার সৌভাগ্য, গত কয়েক বছরে আমার অল্পসংখ্যক নিয়মিত পাঠক তৈরি হয়েছে। তাদের মাধ্যমেই অন্যরা বইটির ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করছে। আমি দেখেছি, যারা সত্যিকারের পাঠক তারা যাচাই করে কয়েক পাতা পড়ে যদি সন্তুষ্ট হয় তবেই বই কেনে। এবার মেলায় ৫/৬ দিন যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। প্রচুর অচেনা পাঠকের সাথে পরিচয় হয়েছে। তারা আগের বই নিয়ে মতামত জানিয়েছেন। আমাকে আবেগে ভাসিয়েছেন। নদী পেরোলেই সাততারা বইটি প্রকাশ করেছে ঝুমঝুমি প্রকাশন, স্টল ৭১-৭১। বইয়ের গল্প প্রসঙ্গে লেখক বলেন, প্রেম ও পারিবাহিক আবহের এই উপন্যাসে উঠে এসেছে সমকালীন বাংলাদেশ ও সমাজবাস্তবতা। প্রসঙ্গত, শফিকুর রহমান শান্তনু’র হরর থ্রিলার গবলিন, রোমান্টিক থ্রিলার কেউ কেউ পুরনো হয় না বিগত বছরগুলোতে রকমারি বেস্টসেলারে জায়গা করে নিয়েছিল। উপন্যাস লেখার পাশাপাশি বর্তমানে নাটক নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন শান্তনু। ধারাবাহিক নাটক ঘরের শত্রু বিভীষন, নীল ঘুর্নি সহ ইদের বেশ কিছু বিশেষ নাটকের শুটিং ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।    
এপিএল এর ২টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
একাডেমিয়া পাবলিশিং হাউজ লিমিটেড (এপিএল) প্রকাশিত দুইটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত অমর একুশে বইমেলায় বৃহস্পতিবার, বিকালে গ্ৰন্থ উন্মোচন মঞ্চে এ মোড়ক উন্মোচন করা হয়। প্রকাশিত নতুন বইগুলোর মোড়ক উন্মোচন করেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আবদুল লতিফ মাসুম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচ্যকলা বিভাগের অনারারী প্রফেসর ড. মো. আব্দুস সাত্তার।  ড. সৈয়দ শহীদ আহমেদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ার সাবেক ট্রেজারার প্রফেসর ড. আনোয়ারুল করীম, এনইউবির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম, শের-ই-বাংলা: জীবন ও কর্ম গ্রন্থের লেখক প্রফেসর মো. মোসলেম উদ্দীন শিকদার এবং শিল্পকলা সাহিত্য ও ইসলাম গ্রন্থের লেখক প্রফেসর ড. মাহফুজুর রহমান। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পরিচালক মো. সোলায়মান মিয়া, গবেষক ও সাংবাদিক আনিসুর রহমান এরশাদ, এপিএল’র ম্যানেজার মো. আখতারুজ্জামান এবং প্রচ্ছদশিল্পী এম এম হোসেন। প্রফেসর ড. আবদুল লতিফ মাসুম বলেন, এ কে ফজলুল হক ছিলেন যথার্থ অর্থে বাংলার কিংবদন্তি জননায়ক। তিনি ছাত্র-শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, আইনজীবী ও রাজনীতিবিদদের নায়ক। বাংলার গণমানুষের অবিসংবাদিত বর্ষীয়ান জাতীয় নেতা। সমকালীন বিশ্বনেতাদের মধ্যে কামাল পাশা (আতাতুর্ক), লেলিন, মাওসেতুং কিংবা জিন্নাহ-গান্ধীর ন্যায় তিনি জাতির পিতা বলে আখ্যায়িত না হলেও এবং তাঁর পক্ষে কোনো প্রচার, প্রকাশনা, বিলবোর্ড তেমন কিছু না থাকা সত্ত্বেও মৃত্যুর অর্ধশতাব্দী পরেও তিনি স্মরণীয় বরণীয় নেতা, জনগণের মুকুটহীন সম্রাট। প্রফেসর মো. মোসলেম উদ্দীন শিকদার বলেন, ‘শের-ই-বাংলা: জীবন ও কর্ম’ গ্রন্থটি, ‘বাংলার বাঘ’ খ্যাত আবুল কাশেম ফজলুল হক-এর বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনালেখ্য। তাঁর সময়কালে (১৮৭৩-১৯৬২) দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা এবং পার্লামেন্টে (১৯১৩-১৬) ও বিভিন্ন সময়ে প্রদত্ত তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণসমূহের মসিচিত্র সংক্ষেপে বিবৃত হয়েছে। প্রায় শতবর্ষ আগে ভারতীয় হিন্দি ও উর্দুভাষী অবাঙালিদের প্রদত্ত খেতাব ‘শের-ই-বাংলা’ উপনামটি মূল নামের সাথে বহুল পরিচিত। প্রায় শতাব্দী ব্যাপী কর্মময় জীবনে তিনি যতসব উচ্চপদে সমাসীন ছিলেন, তার মধ্যে অবিভক্ত বাংলার শিক্ষা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী (১৯২৪), প্রধানমন্ত্রী (১৯৩৭-৪৩), কলকাতা করপোরেশনের প্রথম মুসলিম মেয়র (১৯৩৫), অন্যতম জাতীয় নেতা মওলানা ভাসানী, সোহরাওয়ার্দীসহ গঠিত যুক্তফ্রন্ট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী (১৯৫৪), নিখিল পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (১৯৫৫) এবং পূর্ব পাকিস্তানের ১০ম ও প্রথম বাঙালি গভর্নর (১৯৫৬-৫৮)। উল্লেখ্য, ২০১৯ সাল থেকে সৃজনশীল একাডেমিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ের সিলেবাস সংশ্লিষ্ট বই প্রকাশ করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। বইমেলায় এপিএল এর স্টল নং ১৭৬। অমর একুশে বইমেলা ২০২৪ উপলক্ষে এই দুটিসহ মোট ১১টি নতুন বই প্রকাশ করেছে এপিএল।
পল্লীগীতিই ধ্যানজ্ঞান শিল্পী শাহীনের
ভাওয়াইয়া গানকে দেশজুড়ে ছড়িয়ে দিতে চান সংগীত শিল্পী মো. শাহীন হোসেন। এই ধরনের গান গাইতে পছন্দ করেন ‘দুই চাকার গাড়ি’ খ্যাত এই শিল্পী। পল্লীগীতিকেই ধ্যানজ্ঞান করেছেন শিল্পী শাহীন। যশোর জেলার খাজুরা বাজারের মো. তবিবুর রহমানের ছেলে মো. শাহীন হোসেন। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনে আধুনিক গানের এবং বাংলাদেশ বেতার আগারগাঁও, ঢাকা কেন্দ্রে লালন সংগীত ও পল্লীগীতিতে তালিকাভুক্ত সংগীত শিল্পী। ২০১১ সাল থেকে এই দুই মাধ্যমে নিয়মিত সংগীত পরিবেশ করে আসছেন তিনি। এ ছাড়া বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির তালিকাভুক্ত এই শিল্পী ঢাকার সরকারি সংগীত কলেজ থেকে লোক সংগীতে বি মিউজ, এম মিউজ ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি এস এম মিডিয়া ভিশনের নিয়মিত সংগীত শিল্পী। এই প্রতিষ্ঠানে ৫টি মৌলিক ভাওয়াইয়া গান রেকর্ড করেছেন। এ ছাড়া বাংলাদেশর অন্যতম নাট্যদল লোক নাট্যদলে ২০১৩ সাল থেকে নিয়মিত নাটক ও সংগীত শিল্পী হিসেবে যুক্ত আছেন। মাটির গান সংগীত দলের পরিচালক শাহীন হোসেন। শিল্পী ২০১৭ সালে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে জাতীয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় লোক সংগীতে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হন। শিল্পী সংগীত শিক্ষক হিসেবে দীর্ঘ ৮ বছর যাবত ইন্টারন্যাশনাল হোপ স্কুল বাংলাদেশে নাটক সংগীত ও অঙ্কন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন শাহীন। এখন পর্যন্ত সংগীত শিল্পী শাহীন হোসেনের ৭টি মৌলিক গান রেকর্ড হয়েছে। সেগুলো হলো- দুই চাকার গাড়ি, ও নদীয়ার চাঁদ, তোমার চোখে হাজার ফাগুন, একটি সপ্ন দেখবো বলে, রাগ করিস না, নাজানি ভাব নদীর কেমন ধারা, মধুমতী কর্ণফুলী। বেতার ও টেলিভিশনে নিয়মিত সংগীত পরিবেশন করে আসছেন এই শিল্পী। এ ছাড়া দেশে-বিদেশে অসংখ্য মঞ্চে সুর-ছন্দে দর্শকদের মোহিত করেছেন তিনি। ঢাকাস্থ সুইট কনভেনশন হলে ভাওয়াইয়া সংরক্ষণ ও গবেষণা পরিষদ কতৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংগীতে অবদানের জন্য সম্মাননা দেওয়া হয় শাহীন হোসেনকে।