• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ
এসএসসির ফল প্রকাশ ১২ মে, জানা যাবে যেভাবে
চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল আগামী ১২ মে (রোববার) প্রকাশ করা হবে। এদিন দেশব্যাপী বেলা ১১টায় সংশ্লিষ্ট সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং অনলাইনে একযোগে ফলাফল প্রকাশিত হবে। সোমবার (৬ মে) মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাসার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। আদেশে জানানো হয়, ফল প্রকাশের পর শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট ও এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে পারবে শিক্ষার্থীরা। ওয়েবসাইটে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, পরীক্ষার নাম, বছর ও শিক্ষা বোর্ড সিলেক্ট করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে জানা যাবে ফল। অন্যদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট পেতে বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এরপর রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন (EIIN) অ্যান্ট্রি করতে হবে। এর মাধ্যমে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে। এছাড়া মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবার স্পেস দিয়ে পাসের বছর লিখে পাঠাতে হবে 16222 নম্বরে। উদাহরণ: SSC Dha 123456 2024, লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে জানিয়ে দেওয়া হবে পরীক্ষার ফল। এর আগে গত ৩ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ১২ মে (রোববার) সকাল ১০টায় গণভবনে চলতি বছরের মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার ফল ও পরিসংখ্যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হবে। মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে  সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী। ২০২৪ সালের এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন। গতবারের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থী কমেছে প্রায় ৪৮ হাজার। এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে শেষ হয় ১২ মার্চ। ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ হয় ২০ মার্চ। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন দাখিলের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৪ মার্চ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ২১ মার্চ শেষ হয়। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি ও ভোকেশনালের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১২ মার্চ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ২১ মার্চ শেষ হয়।
২৪ ঘণ্টার আলটিমেটামের পর কুবি শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি  
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা কবে, যা জানাল এনটিআরসিএ
অর্থ সংকটে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ভলিবল টুর্নামেন্টে দল পাঠাচ্ছেনা নোবিপ্রবি 
চবিতে ভর্তি হতে দিতে হবে ডোপ টেস্ট
শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার প্রতিবাদে কর্মবিরতি ঘোষণা
শনিবারসহ সপ্তাহের ছয় দিন দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলা রাখার ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতি। একইসঙ্গে প্রতিবাদ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে সমিতির পক্ষ থেকে। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামী শনিবার (১১ মে) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করবেন শিক্ষকরা। এ সময়ে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব কার্যক্রম বন্ধ রাখবেন তারা। সোমবার (৬ মে) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম বিপ্লব স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণার কথা জানানো হয়। এর আগে গত ৪মে রাত ৯টায় এ বিষয়ে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষক নেতারা বলেন, শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা না রাখার জন্য শিক্ষক সমাজের পক্ষ থেকে আগেই বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, যা গণমাধ্যমে গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হয়েছে। এরপরও সরকারের এমন একতরফা সিদ্ধান্তে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সংক্ষুব্ধ। এ পরিস্থিতিতে প্রতিবাদস্বরূপ ‌কর্মবিরতি পালনের জন্য মাধ্যমিক পর্যায়ের সব স্তরের শিক্ষক-কর্মচারীর প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে। সরকার সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে প্রতি শনিবার পুরো কর্মদিবস কর্মবিরতির মতো কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে। শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার যৌক্তিকতা তুলে ধরে নেতারা বলেন, কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ শিক্ষক কিংবা শিক্ষার্থীর সৃষ্ট নয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধ হতেই পারে, আগেও হয়েছে। সে কারণে নির্ধারিত ছুটি কমিয়ে দেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়। একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের চিকিৎসা নেওয়া, আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়ানো, আচার-অনুষ্ঠান ও বিশ্রামসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা এবং পদক্ষেপ থাকে। একদিনের ছুটিতে যাবতীয় কাজ ও সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। এতে সামাজিক, শারীরিক, মানসিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা আরও বলেন, জাতীয় দিবসগুলোয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবস্থান নিতে হচ্ছে, অথচ সেদিন অন্যদের ছুটি। শুধু তাই নয়, শিখন ঘাটতি পূরণ করতে গত বছরের গ্রীষ্মকালীন ছুটি ও শীতকালীন ছুটি বাতিল করা হয়েছে। চলতি বছর রমজানের ছুটিও কমানো হয়েছে, যা মোটেই সুবিবেচনাপ্রসূত হয়নি। এসব সিদ্ধান্ত নির্লিপ্ততারই বহিঃপ্রকাশ।
স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে পতাকা হাতে ছাত্রলীগের পদযাত্রা
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে দেশটির পতাকা হাতে পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সোমবার (৬ মে) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও বিক্ষোভ সমাবেশের শুরুতে বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ সময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ, ঢাবির বিভিন্ন হল শাখা ও রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সকাল থেকেই ফিলিস্তিন আর বাংলাদেশের পতাকা হাতে মধুর ক্যানটিনে জড়ো হতে থাকেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এর সঙ্গে যোগ হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের নেতাকর্মীরা। পরে মধুর ক্যানটিনের সামনে থেকে শুরু হয়ে পতাকা হাতে পদযাত্রা করে ক্যাম্পাস এলাকা। রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে শেষ হয় এ পদযাত্রা। এ সময় ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিভিন্ন স্লোগানও দেন অংশগ্রহণকারীরা। সংহতি সমাবেশে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে বলেছেন, যারা গণতন্ত্রের মোড়ল, যারা বাকস্বাধীনতার সার্টিফিকেট দেয়, যারাই বলে দেয় কোন দেশটি গণতান্ত্রিক আর কোন দেশটি অগণতান্ত্রিক, যারা  ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশনের কথা বলে- ফিলিস্তিন ইস্যুতে তাদের মুখোশ আজ উন্মোচিত হয়ে গেছে। সাদ্দাম হোসেন আরও বলেন, আমাদের এই ছাত্র আন্দোলন আর দেশীয় গণ্ডির ভেতর সীমাবদ্ধ নেই। সীমান্ত বেরিকেড, ভাষার ব্যবধান সবকিছু মুছে দিয়ে একাকার হয়ে গেছে যুদ্ধ-মুক্ত, ন্যায় ও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে। আমাদের এই ছাত্র আন্দোলনে সমবেত হয়েছেন নির্যাতিত নিষ্পেষিত ফিলিস্তিনের বন্ধুরাও। আমাদের পূর্বপুরুষরা নিজেদের দেশের মুক্তির জন্য বীরত্বের সঙ্গে যেভাবে লড়াই করেছে ঠিক তেমনি আমরাও ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের পাশে দাঁড়াব। এর আগে রোববার (৬ মে) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সারা দেশে একযোগে বাংলাদেশের পতাকার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশের ঘোষণা দেয় ছাত্রলীগ।  
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের সাক্ষাৎ
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান।  সোমবার (৬ মে) দুপুরে বঙ্গভবনে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাৎকালে উপাচার্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক এবং ফিজিক্যাল মাস্টারপ্ল্যান, আইসিটি মাস্টারপ্ল্যান, কলেজ অ্যাডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (সিইডিপি) আওতায় শিক্ষক প্রশিক্ষণ, বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউটে এমফিল লিডিং টু পিএইচডি প্রোগ্রামে গবেষক ভর্তি, শিক্ষার্থীদের জন্য দক্ষতাভিত্তিক ১২টি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম (পিজিডি) ও ১৯টি শর্ট কোর্স প্রবর্তন বিষয়সহ সার্বিক অগ্রগতি রাষ্ট্রপতির সামনে তুলে ধরেন। উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনের স্যুভেনির, বার্ষিক প্রতিবেদন, ত্রৈমাসিক প্রকাশনা সমাচার, ডায়েরি ও ক্যালেন্ডার রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দেন। এ সময় রাষ্ট্রপতি উপাচার্যের বিভিন্ন কথা শোনেন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দিকনির্দেশনা দেন। সাক্ষাতের সময় উপাচার্যের সঙ্গে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুস সালাম হাওলাদার এবং রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন।
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের বিক্ষোভ
ফিলিস্তিনের পক্ষে বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানানো, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা র‌্যালি করেছেন।  সোমবার (৬ মে) দুপুর ১টার দিকে এ র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। এতে শাখা ছাত্রলীগের সহস্রাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।  র‌্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর থেকে বের হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার গোলচত্বরে এসে শেষ হয়। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন করেন নেতাকর্মীরা।  র‌্যালিতে নেতাকর্মীদের ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন, স্ট্যান্ড উইথ প্যালেস্টাইন’ বলে স্লোগান দিতে দেখা যায়।  র‌্যালি পরবর্তী গোলচত্বরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগের এ কর্মসূচি শেষ হয়। সমাবেশে শাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি মামুন শাহ, ফারহান রুবেল ও যুগ্ম সম্পাদক সুমন মিয়া। এ সময় ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।  সমাবেশে মো. খলিলুর রহমান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান বলেছিলেন- ‘বিশ্ব আজ শোষক ও শোষিত শ্রেণি এই দুইভাগে বিভক্ত। আমরা শোষিত শ্রেণির পক্ষে আছি।’ এই বক্তব্যকে ধারণ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সব সময় অত্যাচারিত ও নিপীড়িত মানুষের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনকে সমর্থন করে বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়েছে। তাদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতেই আমাদের আজকের এই কর্মসূচি। আমরা প্রত্যাশা করি, খুব দ্রুতই ফিলিস্তিনিরা তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবে। কারণ মুক্তিকামী মানুষকে কখনও দাবিয়ে রাখা যায় না।
জাবিতে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম জিসান আহম্মেদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আলবেরুনি হলের কর্মচারী মো. নজরুল ইসলামের মেজো ছেলে। সোমবার (৬ মে) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সালাম বরকত ও তাজউদ্দীন হল সংলগ্ন সড়কের পার্শ্ববর্তী একটি গাছে ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান পথচারীরা। খবর দেওয়ার পর আশুলিয়া থানা পুলিশ সকাল ৭টায় মরদেহটি উদ্ধার করে। আলবেরুনী হলের কর্মচারীদের সূত্রে জানা গেছে, জিসান পরিবারের সঙ্গে ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী কলাবাগান এলাকায় আনসার ক্যাম্পের পেছনে থাকতেন। তাদের পৈতৃক নিবাস শেরপুর জেলার সদর থানায়। স্থানীয় একটি কলেজে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা শেষে তিনি একটু গরুর খামার দেখাশোনা করতেন। পারিবারিক কলহের জেরে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। জিসানের বড় ভাই ওলিউল্লাহ জানান, রোববার সন্ধ্যায় ঝড়ের আগে সে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়৷ পরে ঝড় থামলে বাড়িতে ফিরলে মা তাকে এতক্ষণ কোথায় ছিল এটা জিজ্ঞেস করে? গরুকে পানি খাওয়ানো হয় নাই এজন্যে বকাঝকা করে৷ পরে সে আবার রাগ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে চলে যায়। আশুলিয়া থানার এসআই জি এম আসলামুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হবে। কোনো অভিযোগ না থাকায় তারা মরদেহ দাফনের অনুমতি চেয়েছে পরিবার। তবে এখনও মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়নি। জেলা প্রশাসকের অনুমতির জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। পরবর্তীতে কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে জিসানের বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, সে সন্ধ্যার সময় বাসা থেকে বেরিয়েছিল এবং আনুমানিক রাত সাড়ে ৯টায় বাসায় ফিরে আসে। তার মা তাকে বলেছিল এত রাতে কোথায় ছিলি, গরুগুলোকে এখনও পানি খাওয়ানো হয়নি, এ বিষয়ে তার মায়ের সঙ্গে একটু কথা কাটাকাটি হয় এবং সে পুনরায় বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। পরে রাতে তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করা হলেও কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসীর দাবি, জিসান কোনো ধরনের অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। নেহাত ভদ্র ছেলে হিসেবেই তিনি সবার কাছে পরিচিত। কিন্তু এরকম কেন করলো এলাকাবাসী বিষয়টি কোনোভাবেই মানতে পারছে না।  ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা শাখার প্রধান সুদীপ্ত শাহীন বলেন, ‘এই ছেলেকে আমি ব্যাক্তিগত ভাবে চিনি, সে খুবই ভদ্র ছেলে। মায়ের সঙ্গে হালকা কথা কাটাকাটির পর ঘর থেকে বেরিয়ে আসলে তার খোঁজ করে পাওয়া যায়নি। এখানে তার পরিবারের কারও কোন অভিযোগ নেই। এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা নিয়ে মরদেহ দাফনের অনুমতি দিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আনসার ক্যাম্পের পেছনে ঘটনাস্থল হওয়ায় তাদের এখানে থেকে সরাসরি দেখা যায়। আমি এসে দেখে পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে মরদেহ নামায়।’
মঙ্গলবার থেকে প্রাথমিকে পাঠদান চলবে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার (৭ মে) থেকে শিক্ষা কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।  সোমবার (৬ মে) দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার থেকে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলোর শ্রেণি কার্যক্রমসহ সব কার্যক্রম চলতি শিক্ষাবর্ষের (২০২৪) বর্ষপঞ্জী অনুযায়ী চলবে। ঈদের ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল স্কুল-কলেজ খোলার কথা থাকলেও সারা দেশে তীব্র দাবদাহের কারণে বন্ধের মেয়াদ ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যেই গত ২৮ এপ্রিল থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। পরদিন হাইকোর্ট দেশের সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদরাসার ক্লাস বন্ধের নির্দেশ দেন। পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা
তীব্র তাপপ্রবাহ কমে আসায় বুধবার (৮ মে) থেকে সশরীরে ক্লাস ও পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সোমবার (৬ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল এই সিন্ধান্ত অনুমোদন করেন বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের ওপর দিয়ে চলমান তীব্র তাপদাহ (হিট ওয়েভ) সহনশীল পর্যায়ে আসায় বুধবার (৮ মে) থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষাসমূহ যথারীতি সশরীরে অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে গত ২১ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অনলাইন ক্লাস চলবে। তবে চলমান পরীক্ষা সরাসরি নেওয়া হবে।