• ঢাকা সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
যে দ্বীপে পুরুষ নিষিদ্ধ, রাজত্ব শুধু নারীদের
অভিশপ্ত দ্বীপ, যেখানে মুসলিমদের জীবন্ত কবর দেওয়া হতো
ইসলামের শুরু থেকেই মুসলিমদের ওপরে চলত নানা পর্যায়ের নির্মমতা। মক্কায় মুশরিকরা আর মদিনায় ইহুদিরা মুসলিমদের নির্যাতন করত। মুসলিমদের রক্তে শীতল হয়েছিল তপ্ত মরুভূমি। এমনকি সদ্য জন্ম নেওয়া কন্যা শিশুদের জীবন্ত কবর দেওয়া হতো। এমনই কিছু নির্মমতার সাক্ষী পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মহাসাগর আটলান্টিকের অন্তর্ভুক্ত দ্বীপ গোরি। মুসলমানদের ওপর নির্দয় বর্বরতার সাক্ষী এ দ্বীপ ঠিক আটলান্টিক মহাসাগরের মাঝখানে অবস্থিত। ৯০০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৩৫০ মিটার প্রস্থের ছোট এই  দ্বীপ নানা ইতিহাস আর রহস্যে ঘেরা। সে ইতিহাস আনন্দ কিংবা উজ্জ্বলতার নয়, সে কাহিনি শুধুই অত্যাচার আর কান্নার। এই ছোট দ্বীপেই মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের দ্বীপ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। যেখানে অন্তত ৩০০ বছর ধরে মুসলিমদের ধরে এনে অমানবিক নির্যাতন করে মেরে পুতে রাখা হতো। মুসলিম দাস-দাসিদের ওপর নির্বিচারে গুলি করার জন্য ব্যবহার করা হতো ৬ হাজার ৬৪৬ টনের কামান। ইতিহাসবিদ আনা লুসিয়া আরাউজোর আলোচনা অনুসারে ফ্রান্স যখন সেনেগাল শাসন করত তখন সেনেগালের দাস-দাসিদেরকে জোর করে জাহাজের শিকলের সঙ্গে বেঁধে এই দ্বীপে রেখে আসতো। যারা জাহাজ থেকে নামতে না চাইত, তাদের জাহাজ থেকে এই মহাসাগরে ফেলে দেওয়া হতো এবং এ মানুষগুলো হাঙর মাছের আহার হয়ে যেতো। আফ্রিকা থেকে লাখ লাখ কৃষ্ণবর্ণের মানুষদের জোর করে বন্দি করে ইউরোপ ও আমেরিকায় নিয়ে গিয়ে ক্রীতদাস হিসেবে কাজ করানো হতো। মানবিকতার জন্য চরম লজ্জাজনক সেই প্রথা বাস্তবায়নে গোরি আইল্যান্ডকে ব্যবহার করা হতো। মাত্র ৮ বর্গফুটের একটা ছোট ঘরে একটি মাত্র জানালা। সেখানেই গাদাগাদি করে রাখা হত ৩০ জন দাসকে। এই ছোট ঝুপড়ি ঘরগুলো ছিল অসুখ-বিসুখের কারখানা। মোটা শেকল দিয়ে বেঁধে বসিয়ে রাখা হতো দাসদের। খাবার জুটত দিনে মাত্র একবার। তাদের পরনে থাকতো একটুকরো কাপড়, শরীরের অধিকাংশ অংশই থাকতো নগ্ন। একটা সরু ঘরে তাদের ঘুমাতে দেওয়া হতো। সেখানেই মেঝের ওপর শুয়ে থাকত তারা। সবচেয়ে দুর্বিষহ ছিল মায়ের থেকে শিশুদের আলাদা করে এতটাই দূরে রাখা হত যে, শিশুদের কান্না মায়েদের কান পর্যন্ত পৌঁছনোর আগেই হাওয়ায় মিলিয়ে যেত। আরেকটি হৃদয়বিদারক দৃশ্য ছিল ‘ডোর অব নো রিটার্ন’ নামের একটি দরজা। সেই দরজা পেরিয়ে একবার যে ওপারে গেছে, আর কখনও ফেরেনি। এই চরম নির্যাতন মেনে নিতে না পেরে প্রতিবাদ করতো কিছু দাস। প্রতিবাদের শাস্তি হিসেবে তাদেরকে রাখা হতো ছোট অন্ধকার ঘরে। ওই ঘরে সমুদ্রের জল ঢুকতো আর একসময় বন্দিরা মারা যেতো।  ৩০০ বছরেরও বেশি দুঃসহ নির্যাতনের অবসান ঘটে ১৮৪৮ সালে। তখনও সেখানে ৫ হাজার বন্দিসহ মোট ৬ হাজার মানুষের বসবাস ছিল। যদিও পরে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তকমা দেয় এই গোরি আইল্যান্ডকে। আর মুসলিম দাসদের বন্দিশালা হিসেবে ‘স্লেভ হাউস’কে করা হয় জাদুঘর। এ ভাবেই নির্যাতনের নিষ্ঠুরতম ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে গোরি আইল্যান্ড।
পুরান ঢাকায় ঐতিহ্যবাহী নবাবের পুকুরে ৫ টাকায় দিনভর গোসল
পাবলিক রিলেশনস অফিসার যেভাবে সাফল্য বয়ে আনে প্রতিষ্ঠানে
সমুদ্রের রোমাঞ্চকর গল্প বলেন তারা, শোনান গান
হিট স্ট্রোক কেন হয়, প্রতিরোধে যা করবেন
বাংলা নববর্ষে পান্তা-ইলিশের একাল-সেকাল
দরজায় কড়া নাড়ছে বাঙালির প্রাণের উৎসব পয়লা বৈশাখ। পুরনোকে বিদায় জানিয়ে আসছে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটিকে বরণ করবেন বাঙালিরা। বাংলাদেশে প্রতি বছর পয়লা বৈশাখে পান্তা উৎসবের মাধ্যমে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার সংস্কৃতি চালু ও পরিব্যাপ্ত হয়েছে। পান্তাভাত হলো পানিতে ভেজানো বাসি ভাত। প্রাচীনকাল থেকেই এ অঞ্চলে পান্তাভাত খাওয়ার রেওয়াজ ছিল। কাঁচামরিচ-পেঁয়াজ দিয়েই লোকে পান্তা খেয়ে উঠত। অনেক সময় মানুষ পান্তা খেত শুধু লবণ মাখিয়ে। আগের রাতে ভিজিয়ে রাখা ভাত সাধারণত পরদিন সকালে পান্তাভাত হিসেবে খাওয়া হতো। এই পান্তা খাওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের সানকি বা মাটির পাত্র ছিল না। তারা মাটির হাঁড়ি থেকে পান্তাভাত তুলে নিয়ে কচুপাতায় বা কলাপাতায় করে খেত।  আসলে, গরমে-রোদে কাজ করার জন্য কৃষকের উপযোগী খাদ্য ছিল এই পানিভাত। সূর্য ওঠার পরপরই পান্তাভাত খেয়ে তারা কাজে বের হতো। এরসঙ্গে কখনো কখনো যোগ হতো একটু বেগুনপোড়া বা আলুসেদ্ধ। খুব কম সময়েই পান্তাভাতের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মাছের তরকারি। মাছ বলতেও সেসব মাছ, যেগুলো সাধারণত খালে-বিলে সহজে পাওয়া যেত। যেমন— কুচো চিংড়ি, ছোট ট্যাংরা, পুঁটি, টাকি এগুলো।   সাধারণ মানুষের খাবার ছিল পান্তাভাত। তবে বিত্তবানরা যে একেবারেই পান্তাভাত খেতে না, তা নয়। বাঙালি বড়লোক বন্ধু কৃষ্ণকান্ত নন্দীর বাড়িতে গিয়ে ভারতের প্রথম বড়লাট ওয়ারেন হেস্টিংস পান্তাভাত আর কুচো চিংড়ি খেয়েছিলেন। আবার জমিদার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছেলেবেলায় পান্তাভাত খাওয়ার কথা লিখেছেন, ‘বৌঠাকরুন রাঁধতে পারতেন ভালো, খাওয়াতে ভালোবাসতেন, এই খাওয়াবার শখ মেটাতে আমাকে হাজির পেতেন। ইস্কুল থেকে ফিরে এলেই তৈরি থাকত তার আপন হাতের প্রসাদ। চিংড়ি মাছের চচ্চ্‌ড়ির সঙ্গে পানতা ভাত যেদিন মেখে দিতেন অল্প একটু লঙ্কার আভাস দিয়ে, সেদিন আর কথা ছিল না।’ দেখা যাচ্ছে, পান্তাভাতের সঙ্গে চিংড়ি যোগ হচ্ছে পদ হিসেবে। চিংড়ির মতো সহজে লভ্য অন্য মাছও পান্তাভাতের অনুষঙ্গ হয়েছে। কিন্তু পান্তাভাতের সঙ্গে ইলিশের প্রসঙ্গ পাওয়া যায় না। ইলিশ ছিল দামি মাছ। ইলিশ যদি খেতেই হয়, তবে গরম ভাতেই খাওয়ার চল ছিল। সাধারণের পাতে সহজে ইলিশ উঠত না। তবে পান্তাভাতের সঙ্গে ইলিশ খাওয়ার কোনো রীতি সাহিত্য কিংবা ইতিহাসে নেই। আশির দশকে ঢাকায় পান্তাভাতে ইলিশ খাওয়ার চলটি তৈরি হয়েছে। এটি সারা দেশে জনপ্রিয় হতেও দেরি হয়নি। বাংলা বর্ষবরণের নাগরিক রুচিতে এখন ভর করেছে পান্তা-ইলিশ। উৎসবে মানুষ এক হতে চায়; শহরের মানুষও নতুন বছরের প্রথম দিনে এক হয়। ‘বৈশাখী মেলা’ নতুন বছরের মিলনের প্রধান উৎসব। ষাটের দশকে পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলনে বাঙালি এক হয়েছে রবীন্দ্রসংগীতের সূত্রে নববর্ষ উদ্‌যাপনে। এরপর আশির দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় মঙ্গল শোভাযাত্রার সূত্রে নগর মানুষ এক হয়েছে। এসব আয়োজন-অনুষ্ঠান যতই জনপ্রিয় হতে থাকে, ততই নাগরিক মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে রমনা-শাহবাগ এলাকায়। আশির দশকের শুরুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী সুযোগটি গ্রহণ করেন। তারা নিজেদের আগ্রহে অস্থায়ী দোকান দিয়ে পান্তাভাত আর ভাজা ইলিশ বিক্রি শুরু করেন। পান্তাভাত হাজার বছরের বাঙালির প্রাত্যহিক খাদ্য, আর ইলিশ মূলত বঙ্গ-উপকূলের মাছ—এই ধারণা জাতীয়তাবাদী চেতনার সঙ্গে যুক্ত করে তারা পান্তা আর ইলিশকে জনপ্রিয় করেছেন। যদিও একত্রভাবে পান্তা-ইলিশ খাওয়ার ঐতিহ্যিক কোনো সূত্র নেই। পয়লা বৈশাখে পান্তা-ইলিশের সঙ্গে কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজ তো থাকেই, আরও থাকে আলুভর্তা, শুটকিভর্তা, বেগুনভর্তা ও পোড়া মরিচ। এসব খাবার পরিবেশনে ব্যবহার করা হয় ঐতিহ্যবাহী মাটির সানকি। পহেলা বৈশাখের সঙ্গে ইলিশ মাছের আসলেই কোনও সম্পর্কের বিষয়টি কোথাও  খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে এখন সেই ভুল ভেঙেছে। এখন আর পহেলা বৈশাখ মানে পান্তা-ইলিশে সীমাবদ্ধ নয়। তবে শহরের মানুষ যা নিয়েই মত্ত থাকুক না কেন, গ্রামের সাধারণ মানুষ নতুন বছরের প্রথম দিনে সাধ্যমতো ভালো খাওয়ার চেষ্টা করে। এদিন সকালে তারা মিষ্টি খেয়ে দিন শুরু করে। মজার ব্যাপার হলো, আগের রাতের খাবারে তারা তিতাজাতীয় কোনো পদ রাখে। এই তিতা খাবারটি তাদের কাছে পুরোনো বছরের দুঃখ-বেদনাকে বিসর্জন দেওয়ার প্রতীক।
বাংলা সন যেভাবে এলো
‘জীর্ণ পুরাতন যাক ভেসে যাক, মুছে যাক গ্লানি... এসো হে বৈশাখ এসো এসো...।’ বাঙালির জাতীয় উৎসব, বাংলা নববর্ষ। বাংলা সন বা বঙ্গাব্দ ঠিক কীভাবে ও কখন প্রচলিত হয়েছিল, তা এখনও একেবারে নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারে না। তবে নানান পরোক্ষ প্রমাণে এবং গবেষণায় মনে করা হয়, সম্রাট আকবর বাংলা সন প্রবর্তন করেছিলেন। এক সময় নববর্ষ পালিত হতো ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে। কৃষিকাজ ঋতুনির্ভর হওয়ায় এ উৎসবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কৃষির। তাই কৃষক সমাজের সঙ্গে বাংলা সন এবং নববর্ষের একটি আত্মিক সম্পর্ক গ্রথিত হয়ে আছে ঐতিহাসিকভাবে। কেননা, বাংলা সনের উৎপত্তি হয় কৃষিকে উপলক্ষ করেই। অনেক গবেষকের মতে, ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট আকবর বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। বাংলা নববর্ষ পালনের সূচনাও হয় আকবরের সময় হতে। বাংলা বর্ষপঞ্জিটি প্রথমে তারিখ-ই-এলাহী বা ফসলি সন নামে পরিচিত ছিল। ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০ অথবা ১১ মার্চ এটি বঙ্গাব্দ নামে প্রচলিত হয়। আকবরের রাজত্বের ঊনত্রিশতম বর্ষ, অর্থাৎ ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দে বাংলা সন প্রবর্তিত হলেও তা গণনা করা হয় ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দের ৫ নভেম্বর থেকে। কারণ, এদিন আকবর দ্বিতীয় পানিপথের যুদ্ধে হিমুকে পরাজিত করে সিংহাসনে আরোহণ করেন। আকবরের বিজয়কে মহিমান্বিত করে রাখার লক্ষ্যে সিংহাসনে আরোহণের দিন থেকে বাংলা সন গণনা শুরু হলেও কৃষি কাজের সুবিধার্থে এবং কৃষকদের কাছ থেকে রাজস্ব আদায়ে সুবিধার জন্যই মূলত সম্রাট আকবর বাংলা সন প্রবর্তন করেন। হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌরসনকে ভিত্তি করে বাংলা সন প্রবর্তিত হয়। বাংলা সন প্রবর্তনের আগে মুঘল সম্রাটরা রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে হিজরি বর্ষপঞ্জি ব্যবহার করতেন। বাংলা সন প্রচলিত হওয়ার পর থেকে মুঘলরা জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হওয়া পর্যন্ত পয়লা বৈশাখ পালন করতেন। কৃষকরাও নববর্ষ পালন করতেন যথেষ্ট আড়ম্বর। সে সময়ে বাংলার কৃষকরা চৈত্র মাসের শেষ দিন পর্যন্ত জমিদার, তালুকদার এবং অন্যান্য ভূস্বামীদের খাজনা পরিশোধ করতেন। পরদিন নববর্ষে ভূস্বামীদের তাদের মিষ্টিমুখ করাতেন। এ উপলক্ষে তখন মেলা এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো। বাংলা সনের জন্মলগ্ন থেকে নববর্ষের উৎসব বাংলার গ্রামীণ জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ফলে গ্রামের সাধারণ মানুষ এবং কৃষকদের কাছে দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হওয়ায় খাজনার দায় পরিশোধের বিষয়টি না থাকলেও সামর্থ্য মতো সারা বছরের ধার-দেনা পরিশোধ করে নতুন বছরে নতুন জীবন শুরু করার অভিপ্রায় সব কৃষকের মনেই থাকে। তেমনি এক দায়মুক্ত মানসিক প্রশান্তিতে কৃষকরা নববর্ষে বাড়িঘর পরিষ্কার রাখে, কৃষি ও ব্যবহার্যসামগ্রী ধোয়ামোছা করে এবং সকালে স্নানাদি সেরে পুতপবিত্র হয়। এ দিনটিতে ভালো খাওয়া, থাকা ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে পারস্পরিক সম্প্রীতি বজায় রাখতে পারাকে তারা ভবিষ্যতের জন্য মঙ্গলজনক বলে মনে করেন। এদিন ঘরে ঘরে আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধব এবং প্রতিবেশীদের আগমন ঘটে। মিষ্টি, পিঠা পায়েসসহ নানারকম লোকজ খাবার তৈরি করারও ধুম পড়ে যায়। একে অন্যের সাথে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় চলে। এ ছাড়াও নববর্ষকে আরো উৎসবমুখী করে তোলে বৈশাখী মেলা। সার্বজনীন লোকজ এ মেলা অত্যন্ত আনন্দঘন ও উৎসবমুখর আমেজে উদযাপিত হয় দেশের বিভিন্ন গ্রাম-পল্লীতে। অবশ্য শহরাঞ্চলে এ মেলা বসে নগর সংস্কৃতির আদলে, ভিন্ন আমেজে। তবে দেশের তিন পার্বত্য জেলা— রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে নববর্ষ উদযাপিত হয় ভিন্ন আঙ্গিকে। বাংলা বছরের শেষ দুদিন এবং নতুন বছরের প্রথম দিন। এ তিন দিন মিলেই বর্ষবরণ উৎসব পালিত হয় এ তিন জেলায়। উপজাতিদের কাছে ধর্মীয় ও সামাজিকভাবে এটিই সবচেয়ে বড় উৎসব। প্রতিবছর আনন্দমুখর পরিবেশে পালিত এ উৎসবকে ত্রিপুরাতে বৈসুক, মারমার জনগণ সাংগ্রাই এবং চাকমা জনসাধারণ বিজু নামে আখ্যা দিলেও ঐতিহ্যবাহী এ উৎসবে সমগ্র পার্বত্য এলাকায় ‘বৈসাবি’ নামে পরিচিত। বেসুক, সাংগ্রাই ও বিজু— এই নামগুলোর আদ্যাক্ষর নিয়েই ‘বৈসাবি’ শব্দের উৎপত্তি। বছরের শেষ দুদিন এবং নতুন বছরের প্রথম দিন, এ তিনদিন মিলেই মূলত বর্ষবরণ উৎসব ‘বৈসাবি’ পালিত হয়। পুরনো বছরের বিদায় এবং নতুন বছরকে বরণ উপলক্ষে জুমিয়া কৃষকসহ আপামর পাহাড়ি সম্প্রদায় সেই আদিকাল থেকে তিন দিনব্যাপী এ বর্ষবরণ উৎসব পালন করে আসছেন।
ইতিহাসে আজকের এই দিনে (৯ এপ্রিল)
ঘটে যাওয়া আজকের এই দিনের ঘটনা, অনেক আলোচিত-সমালোচিত ব্যক্তির জন্ম-মৃত্যু আমরা জানতে চাই। পাঠকের এ চাওয়া মাথায় রেখে নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। আজ মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল ২০২৪। ২৬ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া নানান ঘটনা। ঘটনাবলী : ১২৪১ -  লিইয়েগনিটয যুদ্ধে মোঙ্গল বাহিনীর পোলিশ এবং জার্মান সৈন্যদের পরাজিত করে। ১৪১৩ -  পঞ্চম হেনরি ইংল্যান্ডের রাজা হিসেবে অভিষিক্ত হন। ১৪৪০ -  ক্রিস্টোফার ডেনমার্কের রাজা হন। ১৪৮৩ -  প্রথম এডওয়ার্ড চতুর্থ এডওয়ার্ডকে ইংল্যান্ডের পরবর্তী রাজা হিসেবে নির্বাচিত করেন। ১৬০৯ -  আশি বছরের যুদ্ধ স্পেন এবং ডাচ প্রজাতন্ত্র এন্টওয়ার্প এর চুক্তি স্বাক্ষর মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির শুরু করে। ১৭৮৩ -  টিপু সুলতান বৃটিশদের কাছ থেকে বেন্দোর দখল করে নেয়। ১৭৫৬ -  নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা বা মির্জা মুহাম্মাদ সিরাজ-উদ-দৌলা রাজ্যভার গ্রহণ করেন। ১৮৭২ -  স্যামুয়েল আর পার্সি গুঁড়ো দুধ প্যাটেন্ট করে। ১৯১৮ -  লাটভিয়া স্বাধীনতা ঘোষণা করে। ১৯২৮ -  তুরস্কে ইসলাম রাষ্ট্র ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। ১৯৪০ -  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ‘অপারেশন ওয়েসেরুবুং’ জার্মানিরা ডেনমার্ক ও নরওয়ে আক্রমণ করে। ১৯৪৫ -  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আণবিক শক্তি কমিশন গঠন করা হয়। ১৯৪৮ -  বায়তুল মোকাদ্দাসারের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত দিরইয়াসিন গ্রামে ইহুদীবাদী ইসরাইলীরা ব্যাপক গণহত্যা চালায়। ১৯৫৭ -  সুয়েজখাল সব ধরনের জাহাজ চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হয়। ১৯৬৫ -  ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত যুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৭৪ -  দিল্লিতে বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে ১৯৫ জন পাকিস্তানি যুদ্ধবন্দীকে প্রত্যর্পণের চুক্তি সাক্ষরিত হয়। ১৯৯১ -  জর্জিয়া সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পক্ষে ভোট দেয়। ১৯৯৭ -  বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আই সি সি ট্রফিতে স্কটল্যান্ডকে পরাজিত করে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। ১৯৯৮ -  সৌদি আরবে হজ্বের শেষ দিনে ভিড়ের চাপে পদদলিত হয়ে ১৫০ জন মুসল্লি নিহত। জন্ম : ১২৮৭ -  ইংল্যান্ডের রাজা চতুর্থ এডওয়ার্ড জন্মগ্রহণ করেন। ১৮০৬ -   ইসাম্বারড কিংডম ব্রুনেল, তিনি ছিলেন ইংরেজ প্রকৌশলী ও ক্লিফটন সাসপেনশন ব্রিজ পরিকল্পক। ১৮২১ -  ফরাসী কবি শার্ল বোদলেয়ার জন্ম গ্রহণ করেন। ১৮৩০ -  এয়াড্বেয়ারড মুয়ব্রিডগে, তিনি ছিলেন ইংরেজ ফটোগ্রাফার ও সিনেমাটোগ্রাফার। ১৮৩৫ -  বেলজিয়ামের রাজা দ্বিতীয় লিওপল্ড জন্ম গ্রহণ করেন। ১৮৬৫ -  এরিক লুডেন্ডোরফ, তিনি ছিলেন জার্মান জেনারেল ও রাজনীতিবিদ। ১৮৬৭ -  ক্রিস ওয়াটসন, তিনি ছিলেন চিলির বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলীয় সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ ও ৩য় প্রধানমন্ত্রী। ১৮৭২ -  লিও বলুম, তিনি ছিলেন ফরাসি আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও প্রধানমন্ত্রী। ১৮৯৩ -  ঐতিহাসিক ও লেখক রাহুল সাংকৃত্যায়ন জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯০১ -  পল উইলিয়ামস, তিনি ছিলেন আমেরিকান অভিনেতা ও পরিচালক। ১৯২৫ -  শিশু সংগঠক ও সাংবাদিক রোকনুজ্জামান খান দাদা ভাই জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯২৬ -  হিউ হেফ্নার, তিনি ছিলেন মার্কিন প্রকাশক ও প্লেবয় পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সম্পাদক। ১৯৩৮ -  ভিক্টর চেরনোম্যরডিন, তিনি ছিলেন রাশিয়ান ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ ও ৩০ তম প্রধানমন্ত্রী। ১৯৪৮ -  জয়া বচ্চন, তিনি ভারতীয় অভিনেত্রী ও রাজনীতিবিদ। ১৯৫৭ -  সেভে বালেস্টেরস, তিনি ছিলেন স্প্যানিশ গল্ফ খেলোয়াড় ও স্থপতি। ১৯৬৬ -  সিনথিয়া নিক্সন, তিনি ছিলেন আমেরিকান অভিনেত্রী। ১৯৭৫ -  রবি ফাওলার, তিনি সাবেক ইংরেজ ফুটবল খেলোয়াড় ও ম্যানেজার। ১৯৮৫ -  আন্তোনিও নকেরিনো, তিনি ইতালিয়ান ফুটবলার। মৃত্যু : ০৫৮৫ -  সম্রাট জিমু, তিনি ছিলেন জাপানি সম্রাট। ০৪৯১ -   যেনো, তিনি ছিলেন বাইজেন্টাইন সম্রাট। ১৫৫৩ -   ফ্রাঁসোয়া রাবলে, তিনি ছিলেন ফরাসি সন্ন্যাসী ও পণ্ডিত। ১৫৫৭ -   মিকায়েল আগ্রিকলা, তিনি ছিলেন ফিনিশ যাজক ও পণ্ডিত। ১৬২৬ -   ফ্রান্সিস বেকন, তিনি ছিলেন ইংরেজ দার্শনিক। ১৭৫৪ -   ক্রিস্টিয়ান উলফের, তিনি ছিলেন জার্মান দার্শনিক ও শিক্ষাবিদ। ১৭৫৬ -   নবাব আলীবর্দী খাঁ, তিনি ছিলেন বাংলা, বিহার, ওড়িশার নবাব। ১৮৮২ -   ডান্টে গ্যাব্রিয়েল রসেটি, তিনি ছিলেন ইংরেজ চিত্রশিল্পী, চিত্রকর ও কবি। ১৮৮৯ -   মাইকেল ইউজিনে শেভরেউল, তিনি ছিলেন ফরাসি রসায়নবিদ ও শিক্ষাবিদ। ১৯৩৬ -   ফেরডিনান্ড টনিয়েস, তিনি ছিলেন জার্মান সমাজবিজ্ঞানী ও দার্শনিক। ১৯৪৫ -   ডিয়েট্রিখ বোনহোফের, তিনি ছিলেন জার্মান যাজক ও ধর্মতত্ত্ববিদ। ১৯৪৫ -   উইলহেম কানারিস, তিনি ছিলেন জার্মান নৌসেনাপতি। ১৯৫৯ -   ফ্র্যাংক লয়েড রাইট, তিনি ছিলেন আমেরিকান আমেরিকান স্থপতি, ইন্টেরিওর ডিজাইনার লেখক ও শিক্ষক। ১৯৮০ -   মোহাম্মদ বাকির আল-সাদর, তিনি ছিলেন ইরাকি দার্শনিক। ১৯৯৩ -  ইরানের বিখ্যাত শিল্পী ও লেখক সাইয়্যেদ মোর্তজা আয়ুবী শাহাদাত বরণ করেন। ২০০১ -   শাকুর রানা, তিনি ছিলেন পাকিস্তানি আম্পায়ার। ২০১১ -   সিডনি লুমেট, তিনি ছিলেন আমেরিকান পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার।
অনলাইনে বিমান-বাস ও ট্রেনের টিকিট কাটার উপায়
হাজারও প্রতিবন্ধকতার মাঝে উন্নয়নের মুখ দেখতে শুরু করেছে দেশের পরিবহন ব্যবস্থা। দীর্ঘ লাইনে না দাঁড়িয়ে ঘরে বসেই টিকেট কাটতে অভ্যস্ত হতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। এর ফলে কিছুটা হলেও মুক্তি মিলছে ঈদের সময়ের চরম দুর্ভোগ থেকে। তাছাড়া দেশের পর্যটন ও পরিবহন খাতে তথ্য-প্রযুক্তির যে সঠিক প্রয়োগ হচ্ছে, এটি তারও এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।  চলুন বিমান, বাস, ও ট্রেনের ই-টিকিট করার ১০টি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে জেনে নেওয়া যাক। বিমান, বাস, ও ট্রেনের টিকিট কাটার কয়েকটি অনলাইন পরিষেবা- ২০১২ সালের ২৯ মে চালু হয় ঘরে বসে অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটার ব্যবস্থা। বিভিন্ন ব্যাংক বা এমএফএস (মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস)-এর বদৌলতে দিন দিন আরও নির্ভরযোগ্য হয়ে উঠছে এই সরকারি পরিষেবা। eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে সর্বোচ্চ ১০ দিন আগে থেকে টিকিট কাটা যায়। এখানে প্রয়োজন হয় জাতীয় পরিচয়পত্র এবং মোবাইল নম্বর। বাংলাদেশ রেলওয়ের নিজস্ব অ্যাপ “রেল সেবা” আরও এক ধাপ উন্নত করেছে বিআরআইটিএস (বাংলাদেশ রেলওয়ে ইন্টিগ্রেটেড টিকিটিং সিস্টেম) ব্যবস্থাকে। যারা ট্রেনে যেতে চান, তারা এক লেনদেনে সর্বোচ্চ মোট চারটি টিকিট কিনতে পারেন। প্রতিদিন লেনদেন করা যায় সর্বোচ্চ দুটি; অর্থাৎ একজন যাত্রী এক দিনে সর্বোচ্চ আটটি টিকিট কাটতে পারেন। তবে এই ঈদে ৩ এপ্রিল থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত শুধুমাত্র একটি লেনদেন করা যাবে। ফলে সর্বোচ্চ চারটি সিট পাওয়ার উপায় থাকছে। এই নিয়ম ফেরার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য যা নির্ধারিত থাকবে ১৩ থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস- ২০১০ সালে অনলাইন বিমান টিকিট বুকিং সুবিধা যুক্ত হয় বিমান বাংলাদেশের গ্রাহকদের জন্য। ২০১৯ এ অ্যান্ড্রয়েড এবং অ্যাপেল দুই ব্যবহারকারীদের জন্যই তৈরি হয় বিমান অ্যাপ। আসন্ন ঈদে biman-airlines.com ও বিমান অ্যাপ থেকে টিকিট ক্রেতাদের জন্য নতুন সুযোগ রয়েছে। টিকিট কেনার সময় BGDEAL24 প্রোমোকোড ব্যবহার করে যাত্রীরা নির্ধারিত ভাড়া থেকে ১০ শতাংশ ছাড় পাবেন। বিমান বাংলাদেশ অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্সি থেকে টিকিট কেনার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে বিমান স্মার্ট কল সেন্টার নাম্বার ১৩৬৩৬। এটি প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত গ্রাহকদের জন্য উন্মুক্ত থাকে। সহজ- মূলত বাসের টিকেটের জন্য জনপ্রিয়তা পেলেও সহজ বাংলাদেশ রেলওয়ের সবচেয়ে বেশি টিকিট বিক্রির রেকর্ড রয়েছে। ট্রেনের টিকিটগুলো বিআরআইটিএস ইস্যু করলেও সামগ্রিক কারিগরি বিষয়গুলো দেখাশোনা করে সহজ-সাইনেসিস-ভিন্সেন জেভি সিস্টেম। মালিহা এম কাদির ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠা করেন সহজ। shohoz.com ওয়েবসাইটটি দেশের প্রায় সব পরিবহন প্রতিষ্ঠান, তাদের স্ব স্ব যাত্রাপথ, ও ভাড়া সংক্রান্ত তথ্যের এক বিশাল সংগ্রহশালা। বাস-ট্রেনের পাশাপাশি এখানে লঞ্চ এবং দেশের অভ্যন্তরীণ প্লেনের টিকিটও পাওয়া যায়। যে কোনো পরিবহনে যাত্রা পরিবর্তন বা বাতিলকরণে তাদের গ্রাহক সেবা নম্বর ১৬৩৭৪ সার্বক্ষণিক উন্মুক্ত। বাসবিডি এবং বিডিটিকিটস- রবি আজিয়াটার টিকেটিং পোর্টাল বাসবিডি ও বিডিটিকিটস বাসের টিকিট সংগ্রহের জন্য আরও দুটি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে বাসবিডির সাইট busbd.com.bd ২০১৩ সালে এবং বিডিটিকিটসের সাইট bdtickets.com ২০১৫ সালে চালু হয়। বর্তমানে অবশ্য বাসবিডি new.busbd.com.bd ওয়েব ঠিকানার মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। তবে তাদের মোবাইল অ্যাপ একটি; বিডিটিকিটস, যার অ্যান্ড্রয়েড এবং অ্যাপেল দুই সংস্করণই আছে। ওয়েবসাইটে যাত্রীর নিজস্ব অ্যাকাউন্ট থেকে অথবা অ্যাপ থেকে যাত্রা সময় পরিবর্তন বা বাতিল সবই করা যায়। এ ক্ষেত্রে সরাসরি যোগাযোগের জন্য রয়েছে হটলাইন নাম্বার ১৬৪৬০। বাসের টিকিটগুলো অনলাইনে বুকিং দেওয়া গেলেও প্লেন বা লঞ্চের টিকেটের জন্য এই নম্বরে ফোন দিয়ে বুকিং দিতে হয়। অবশ্য ঈদের সময়টা একদম ভিন্ন। এ সময় কোনো টিকিট বাতিল বা যাত্রার সময় পরিবর্তনের উপায় নেই। ১ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত এই নিয়ম বহাল থাকবে। যাত্রী- বাস ট্র্যাকিংয়ের অনন্য সুবিধা যাত্রী নামক এই টিকিটিং প্ল্যাটফর্মকে আলাদা করেছে অন্যান্য পরিবহন পরিষেবাগুলো থেকে। বাসের বর্তমান অবস্থান দেখে কখন সেটি স্ট্যান্ডে পৌঁছাবে তার একটা ধারণা লাভ করতে পারেন যাত্রীরা। ২০১৯ সাল থেকে চালু হওয়া infojatri.co ওয়েবসাইটটি এভাবেই সেবা দিয়ে যাচ্ছে যাত্রীদের। টিকিট বাতিল বা যাত্রার সময় পরিবর্তনের জন্য যোগাযোগের নাম্বার ০৯৬৪২০৮০৮০৮। সঙ্গত কারণে ফেরতযোগ্য অর্থ যাত্রীকে ৫ কার্যদিবসের মধ্যে ফেরত দিয়ে থাকে। অবশ্য ঈদের সময়ের ক্ষেত্রে রিফান্ড তখনই করা হয়, যখন স্বয়ং পরিবহন প্রতিষ্ঠান ট্রিপ বাতিল করে এবং বিকল্প কোনো ট্রিপের ব্যবস্থা করে দিতে না পারে। পরিবহন- দেশের অন্যান্য পরিবহন সেবার সঙ্গে এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টার্ফেস) ইন্টিগ্রেশনের মাধ্যমে paribahan.com ওয়েবসাইটটি একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ সেবা দিতে পারে। ফলে শুধু বাসেরই নয়, লঞ্চ ও প্লেনের টিকিটেরও ব্যবস্থা করতে পারে পরিবহন। এ ছাড়া টিকিট নিশ্চিতকরণে সার্বক্ষণিক সচল থাকে হটলাইন নাম্বার ০৯৬১৩৫৫৫০০০। সেইসঙ্গে রয়েছে দেশের প্রায় সবগুলো পেমেন্ট সিস্টেমের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের সুবিধা। অন্যান্য ডিজিটাল পরিষেবার মতো পরিবহনেও ১ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত টিকেটের কোনো পরিবর্তন বা বাতিল গ্রহণযোগ্য নয়। চক্রযান- মোহাম্মদ আল-আমিন হোসেন ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠা করেন চক্রযান। Chokrojan.com ওয়েবসাইটে রয়েছে ব্যবহারকারীদের জন্য স্বতন্ত্র অ্যাকাউন্ট ব্যবস্থাপনার সুযোগ। ফলে নিজ প্রোফাইল থেকেই যাত্রীরা টিকিটের পরিবর্তন সম্পর্কে আবেদন রাখতে পারেন। চক্রযানের শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ আছে। এই অ্যাপ আর হটলাইন নাম্বার ০১৭৯৯০০৫৭৪৭-এ যোগাযোগের মাধ্যমেও টিকিটে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের আবেদন রাখা যায়। তবে এই সুযোগটি ঈদের মৌসুমে থাকে না। শেয়ার ট্রিপ- ২০১৩ সালে ট্রাভেল বুকিং বিডি নামক ফেসবুক পেজের মাধ্যমে প্লেনের টিকিট ব্যবসায়ে অসামান্য সাড়া পান কাশেফ রহমান। এই ট্রাভেল বুকিং বিডি পরবর্তীতে ফুলে ফেপে ২০১৪ সালে শেয়ার ট্রিপের জন্ম দেয়। এটিই বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন বিমান টিকিটিং সিস্টেম, যেটি শুরু থেকে ন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল দুই ফ্লাইটই পরিচালনা করে আসছে। শেয়ার ট্রিপের অ্যান্ড্রয়েড ও অ্যাপেল দুই প্ল্যাটফর্মের জন্যই মোবাইল অ্যাপ রয়েছে। এমনকি sharetrip.net ওয়েবসাইট ও অ্যাপ দুটোই ফ্লাইটগুলোর বর্তমান সময় ও মূল্যতালিকা প্রদর্শন করে। অর্থ পরিশোধের পর কর্মদিবসে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইস্যু করা ই-টিকিট ইমেইলের মাধ্যমে যাত্রীকে পাঠানো হয়। তবে ছুটি ও সপ্তাহের শেষ দিনগুলোতে সর্বোচ্চ ৪৮ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। ফ্লাইট বাতিল বা তারিখ পরিবর্তনের জন্য অ্যাপ বা ওয়েব অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আবেদন রাখা যেতে পারে। এ ছাড়া সরাসরি কল করা যেতে পারে গ্রাহক সেবা নাম্বার ০৯৬১৭৬১৭৬১৭ বা হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার ০১৯৫৮৩৯১১৬৪-এ। গোজায়ান- ২০১৭ সাল থেকে শুরু হওয়া রিদওয়ান হাফিজের গোজায়ান বাংলাদেশের পথিকৃৎ ওটিএর (অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি) মধ্যে অন্যতম। আভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক প্লেন ভ্রমণের পাশাপাশি এটি পর্যটন শিল্পেও ইতোমধ্যে একটি পরিচিত নাম হয়ে উঠেছে। অ্যাপল ও অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সঙ্গে নিয়ে gozayaan.com সাইটটি উড়োজাহাজ ভ্রমণে উৎসুক শ্রেণির এক বিরাট অংশের চাহিদা পূরণ করছে। টিকিট ও ট্রিপ সংক্রান্ত যে কোনো প্রয়োজনে সব সময় তাদের মেসেঞ্জার গ্রাহকদের সেবায় নিয়োজিত আছে। সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চালু রয়েছে হটলাইন নাম্বার ০৯৬৭৮৩৩২২১১। ফ্লাইট এক্সপার্ট- স্বনামধন্য গ্রুপ অব কোম্পানি 'মক্কা গ্রুপ'এর একটি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় মোটামুটি পূর্ণাঙ্গ অবস্থাতেই ছিল তাদের ট্রাভেল এজেন্সিটি। কিন্তু ২০১৭ সালের ১ মার্চ সালমান বিন রশিদ শাহ সাঈম পুরোদস্তুর কার্যকর এক টিকিটিং সিস্টেমে রূপ দেন। অতঃপর ২০২২ এর ৯ জুলাই flightexpert.com ওয়েব ঠিকানায় আত্মপ্রকাশ করে ফ্লাইট এক্সপার্ট। ওয়েবসাইটটি মোবাইল-বান্ধব হলেও এর রয়েছে স্বতন্ত্র অ্যান্ড্রয়েড ও অ্যাপল অ্যাপ। ওয়েবসাইটের 'বুক ন্যাউ (পে লেটার)' ফিচারটি ফ্লাইট এক্সপার্টকে অনেকটা এগিয়ে রেখেছে সমসাময়িক এজেন্সিগুলোর থেকে। এর মাধ্যমে বুকিং আবেদন গ্রহণ করে কোনো পেমেন্ট ছাড়াই যাত্রীর জন্য সিটটি বুক করে রাখা হয়। এভাবে বুকিং করা টিকেটের অর্থ পরিশোধের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা রাখা হয়। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাত্রীর কাছে এলার্ট চলে যায় টিকিটটি কেনার জন্য। অর্থ পরিশোধের পর এয়ারলাইন্স থেকে টিকিট ইস্যু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টিকেটের পিডিএফ ফাইল যাত্রীকে ইমেইল করা হয়। শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিনগুলোতে কল সেন্টার নাম্বার ০৯৬১৭১১১৮৮৮ চালু থাকে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। আর বাকি দিনগুলোতে এই নম্বরে যোগাযোগ করা যায় সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা। বাইটিকিটস- ট্রাভেল এজেন্সি এয়ারস্প্যান লিমিটেড-এর একটি সহযোগী উদ্যোগ হিসেবে ২০১৮-এর ১৯ আগস্ট শুরু হয় বাইটিকিটসের কার্যক্রম। সেই থেকে buytickets.com.bd সাইটটি আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় সব রকম বিমান টিকেটিং পরিষেবা দিয়ে আসছে। অন্যান্য ওটিএগুলোর মত এটিও ইমেল বা এসএমএসের মাধ্যমে যাত্রীদের ই-টিকিট সরবরাহ করে থাকে। যাত্রা ও টিকিট মূল্য সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যের জন্য সরাসরি তাদের হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার ০১৭৩০০২৪৪৮৭-এ যোগাযোগ করা যেতে পারে। অনলাইনে প্লেন, বাস, ও ট্রেনের টিকিট কাটার এই ১০টি মাধ্যম সার্বিক দিক থেকে ঈদে রাজধানীমুখী মানুষের জন্য উপযুক্ত উপায়। যেখানে ট্রেন ব্যবহারকারী বিশাল শ্রেণির জন্য এককভাবে নিবেদিত রয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে ই-টিকিটিং সার্ভিস। বাসযাত্রীদের চাহিদা মেটাতে রয়েছে সহজ, বাসবিডি, বিডিটিকিটস, যাত্রী, পরিবহন, এবং চক্রযান। আর যারা প্লেনে আসতে চান, বিমান বাংলাদেশ, শেয়ার ট্রিপ, গোজায়ান, ফ্লাইট এক্সপার্ট, এবং বাইটিকিটস তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো হতে পারে। কাগুজে টিকিটের সুবিধাজনক বিকল্প হলেও ভ্রমণের আগে ই-টিকিট প্রিন্ট করে নেওয়াটাই ভালো।
ঢাকায় মিলছে উটের দুধের চা
চা আসলেই চমৎকার পানীয়। বলা যায় পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয় চা। বাজারে বিভিন্ন ধরনের চা মেলে। চায়ের কত ধরণ আর স্বাদ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্বাদে আলাদা হলেও এর কদর কিন্তু কোথাও কম নয়। আর এ রোজার সময় সারা দিনের ক্লান্তি নিমিষেই দূর করতে চা প্রেমিদের ইফতারের পর এক কাপ চা যেন জাদুর মত কাজ করে। আর সেটা যদি হয় ভিন্ন স্বাদের উটের দুধের চা, তাহলে তো কথাই নেই। শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এই ভিন্ন স্বাদের উটের দুধের চা এখন পাওয়া যাচ্ছে রাজধানীর গুলশান এলাকার ৫২ নম্বর রোডে “ব্যাচেলর এক্সপ্রেস” নামের একটি দোকানে। তবে অন্যান্য চায়ের চেয়ে বেশ ব্যতিক্রম এই চা। উপকরণ ও প্রস্তুতকরণেও আছে ভিন্নতা। এই চা খেতে প্রতিদিন অনেকেই ভিড় করছেন বলে জানান রেস্টুরেন্টটির উদ্যোক্তা তরুণ দুই বন্ধু আমিনুল ইসলাম ও মাহবুব হাসান। এ ব্যাপারে তারা দেশের এক গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ বিষয়ে মাহবুব হাসান জানালেন, তিনি আগে দুবাই প্রবাসী ছিলেন। সেখানেই প্রথম এই চা খান। উটের গুড়া দুধ দিয়ে মূলত এই চা তৈরি করা হয়। এরপর দেশে যখন ব্যবসা শুরু করলেন, তখন এই চা বিক্রির চিন্তা মাথায় আনেন। তিনি জানান, আমি দুবাইতে থাকাকালে এটা খেয়েছিলাম। তো এটা গরুর দুধের মতো না। পরে যখন দেশে আমি রেস্টুরেন্ট দিলাম তখন এটা রাখলাম। বাংলাদেশের মানুষ খাবার পিপাসু। নতুন কিছু পেলেই লোকজন আসে। ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। এটা বাংলাদেশে আর কোথাও পাওয়া যায় না। তারা সবসময় তো খাবে না। তাই শখের বশে ৪০০ টাকা খুব বেশি না। মাহবুব জানান, দুবাইয়ের সঙ্গে তাদের ব্যবসা আছে। সেখান থেকেই আনেন এই দুধ। আগের দিন জানালে পরের দিন এই গুঁড়া দুধ তার হাতে চলে আসে বলেও জানান তিনি। প্রতি প্যাকেট উটের গুঁড়া দুধের মেয়াদ এক বছর বলে জানান এই ব্যবসায়ী। কামাল উদ্দীন নামে এক ক্রেতা বলেন, জীবনে অনেক রকম চা খেয়েছি। পরে যখন পত্রিকায় খবর দেখলাম উটের দুধের চা পাওয়া যাচ্ছে, তখন এটার স্বাদ নিতে আসলাম। বলা হয়েছিল এই চা নাকি ব্যতিক্রম। তো এসেও তাই-ই দেখলাম, একটু ব্যতিক্রম। নাসির উদ্দীন নামে আরেক ক্রেতা বলেন, এটার স্বাদ একটু ব্যতিক্রম, ঘ্রাণটাও আলাদা। না খেলে বুঝা যাবে না। গুলশানের এই ক্যাফেটি খোলা থাকে বেলা ১১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত। এই সময়ে গেলেই পাওয়া যাবে উটের ‍দুধের চা।
বাজারে এলো হোন্ডা শাইন ১০০
বাংলাদেশের বাজারে ১০০ সিসির নতুন মোটরসাইকেল এনেছে হোন্ডা কোম্পানি। এটি একটি জ্বালানি সাশ্রয়ী কমিউটার বাইক। এর মডেল হোন্ডা শাইন ১০০। ভারতে লঞ্চ হওয়ার ঠিক এক বছর পর বাংলাদেশে লঞ্চ হলো মোটরসাইকেলটি। এটি কোম্পানির সবথেকে কমদামি এবং উচ্চ মাইলেজ সম্পন্ন বাইক। এতে প্রতি লিটারে ৬৫ কিলোমিটার মাইলেজ পাওয়া যাবে। যাদের বাজেট তুলনামূলক কম তাদের কাছে বাইকটি ভালো বিকল্প হয়ে উঠতে পারে। এর ডিজাইন দুর্দান্ত এবং সিটও বেশ আরামদায়ক। হোন্ডা শাইন ১০০ বাইকের স্পেসিফিকেশন রয়েছে ৯৮ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার এয়ার কুলড ইঞ্জিন। যা সর্বোচ্চ ৭ দশমিক ২৮ হর্সপাওয়ার এবং ৮ দশমিক ০৫ এনএম টর্ক তৈরি করতে পারে। বাইকটির সর্বোচ্চ স্পিড ৮৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা। রয়েছে ৪ স্পিড গিয়ার। বাইকের মাইলেজ ৬৫ কিমি প্রতি লিটার। ফুয়েল ট্যাংক ভর্তি করলে রাইডিং রেঞ্জ ৫৮৫ কিলোমিটার। ফুয়েল ক্যাপাসিটি রয়েছে ৯ লিটার। বাইকের সামনে রয়েছে টেলিস্কপিক ফর্ক এবং পেছনে ডুয়াল শক অ্যাবসর্বার। দুই চাকাতেই পাওয়া যাবে ড্রাম ব্রেক। নেই ডিস্ক ব্রেকের অপশন। বাইকটির কার্ব ওয়েট ৯৯ কেজি এবং গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ১৬৮ মিলিমিটার। সিটের উচ্চতা রয়েছে ৭৮৬ মিলিমিটার। খুবই সাদামাটা ফিচার্সে পাওয়া যাবে অ্যানালগ ইনস্ট্রুমেন্ট কনসোল, অ্যানালগ ওডোমিটার, অ্যানালগ স্পিডোমিটার, হ্যাজার্ড ওয়ার্নিং ইন্ডিকেটর, লো ফুয়েল ইন্ডিকেটর, অটোমেটিক হেডলাইট অন এবং হ্যালোজেন লাইটিং। বাংলাদেশে হোন্ডা সাইনের দাম ১ লাখ ৭ হাজার টাকা। মধ্যবিত্তের নিত্য যাতায়াতে ভরসা দিতে বাজারে এই বাইক হাজির করা হয়েছে। মাইলেজের সঙ্গে বাইকে খুব বেশি ফিচার্স না থাকায় মেইনটেনেন্স খরচও কম লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।  
আজ রুমমেটের প্রশংসার দিন
ফ্ল্যাটমেট বা রুমমেট হলো একটি ভাড়া বাসা, মেস বা প্রতিষ্ঠানের হল রুম শেয়ার করে থাকা একাধিক ব্যক্তি বা শিক্ষার্থী। অচেনা জায়গা থেকে আসা মানুষগুলো আপনজন হয়ে ওঠে রুমমেট হিসেবে থাকার ফলেই। অসুখ বিসুখ, ভালো মন্দ কিংবা বিপদে একে ওপরের পাশে থাকে। আজ ২৪ মার্চ সেই রুমমেটের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের দিন। রুমমেটের প্রশংসা করার দিন আজ।  রুমমেটের প্রশংসা করার দিন বা ফ্ল্যাটমেট দিবস বিষয়টি হাস্যকর হলেও আজ কিন্তু এমন কিছুই করার দিন। প্রতি বছর ২৪ মার্চ এ বিচিত্র দিবসটি পালিত হয়। বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ একে অন্যের সাথে বাসা শেয়ার করে থাকেন। পরিবার থেকে দূরে থাকেন যারা, তারা কয়েকজন একসঙ্গে বাসা শেয়ার করে থাকেন। তবে অদ্ভুত বিষয় হচ্ছে এই বাসাতে থাকার আগে ফ্ল্যাটমেটরা কেউ কাউকে চিনত না। তবে একসঙ্গে থাকার এক পর্যায়ে তারা ভালো বন্ধু, আত্মবিশ্বাসী এবং কখনো কখনো নিজেদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একজন হয়ে ওঠেন। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০১৪ সালে আমেরিকানদের প্রায় ৭ দশমিক ৭ শতাংশ রুমমেটদের সঙ্গে বসবাস করত, যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ফ্ল্যাটমেট দিবসের ইতিহাস- প্রতি বছর ২৪ মার্চ ফ্ল্যাটমেটস ডে পালন করা হয়। ২০১৬ সাল থেকে এ দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। তবে ঠিক কে বা কারা এই দিবসটি পালন করা শুরু করেছিল সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। ডেইজ অব দ্য ইয়ার-এ জানা গেছে, কোনো এক ব্যক্তি তার রুমমেটের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার জন্য দিনটি উদযাপন শুরু করেছিলেন।