• ঢাকা রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
রাজশাহীতে সাংবাদিকদের নিয়ে এনআইএমসির কর্মশালা
চাঁপাইনবাবগঞ্জে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী চিত্রকর্ম প্রদর্শনী
চাঁপাইনবাবগঞ্জের কিংবদন্তি শিল্পী রতিকান্ত পাল, যিনি ঝড়ু পাল নামেই পরিচিত, তার স্মরণে শুরু হয়েছে দুদিনের চিত্রকর্ম প্রদর্শনী। চাঁপাইনববাবগঞ্জ সাধারণ পাঠাগারে শুরু হওয়া এ প্রদর্শনীর আয়োজক চাঁপাইনবাবগঞ্জে রংয়ের ভাষা আর্ট এ্যান্ড ডিজাইন স্কুল।  শনিবার (১৮ মে) বিকেলে প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এ বছর সমাজ সেবায় একুশে প্রদক প্রাপ্ত জিয়াউল হক। ঝড়ুপালের ছেলে শিল্পী গোপাল চন্দ্র পালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন  জেলা কালচারাল অফিসার ফারুকুর রহমান ফয়সাল, আশরাফুল আম্বিয়া সাগর, সাধারণ পাঠাগারের সম্পাদক আসিক আহমেদ ফারুক, কবি আনিফ রুবেদ, অভিভাবক পরিমল কুমার কুন্ডুসহ অনান্যরা।  কবি আশরাফুল ইসলামের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন চিত্রকর্ম প্রদর্শনীর উদ্যোক্তা, রংয়ের ভাষা স্কুলের পরিচালক জগন্নাথ শাহা।  প্রদর্শনীতে রংয়ের ভাষা আর্ট এ্যান্ড ডিজাইন স্কুল শিক্ষার্থীদের আঁকা চিত্রকর্ম স্থান পেয়েছে। আগামীকাল রোববার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলবে এ প্রদর্শনী।  
সাঁথিয়ায় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ
মহানন্দা নদীতে গোসল করতে নেমে দুজনের মৃত্যু
নির্বাচনী সমাবেশে খিচুড়ির আয়োজন, আ.লীগ নেতাকে জরিমানা
আম নিয়ে সিন্ডিকেটের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
লেনদেন নিয়ে দ্বন্দ্ব: একযোগে বদলি হতে চান বেড়া পাউবোর ৩৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী
পাউবো’র পাবনার বেড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী অফিসে কর্মরত ৩৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী একযোগে বদলি চেয়ে আবেদন করা নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। রহস্যজনক এ আবেদন প্রত্যাহার করতে অফিস ফাঁকা রেখেই নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ৯ জন কর্মকর্তা দুদিন ধরে অবস্থান করছেন ঢাকায়। ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যক্রম। অভিযোগ ও বেড়া পাউবো সূত্রে জানা গেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ড বেড়া, পওর বিভাগের বিভিন্ন প্রকার কাজ বুঝিয়ে দেওয়া-নেওয়া, সম্পন্ন করা এবং লেনদেন নিয়ে বর্তমান কর্মকর্তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। সেই দ্বন্দ্বের জেরে গত ৯ মে স্বেচ্ছায় বদলি চেয়ে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করেন ৩৭ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী। আবেদনে তারা উল্লেখ করেন, একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী বর্তমানে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিব্রত, হয়রানি, মানসিক, সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন মাধ্যমে নামে বেনামে মিথ্যা, হয়রানি ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পত্র প্রেরণ করছেন। এতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নানান বিব্রতকর জবাবদিহি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে কাজের পরিবেশ নেই দাবি করে স্বেচ্ছায় বদলির আবেদন করেন তারা। আবেদনের পরপরই নানান আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় ওঠে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, আগে বদলি হওয়া কর্মকর্তা ও ঠিকাদারদের কাজ থেকে অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীসহ বর্তমান কর্মকর্তাদের দ্বন্দ্ব দেখা হয়। সেই দ্বন্দ্বে নিজেদের সুবিধা আদায় করতে না পেরে একযোগে বদলির আবেদন করেন নির্বাহী প্রকৌশলীসহ কর্মকর্তারা। এতে সব পর্যায়ের কর্মচারীদের বাধ্য করেই বদলির আবেদনে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। কর্মচারীদের অনেকেই জানে না বদলীর আবেদনে কি লেখা হয়েছে। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার পর বদলির আবেদন প্রত্যাহার করতে নির্বাহী প্রকৌশলীসহ কর্মকর্তারা মঙ্গলবার (১৪ মে) ঢাকাস্থ বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডে (বাপাউবো) যান। বুধবার (১৫ মে) সকালে বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পওর বিভাগে সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, অধিকাংশ কর্মকর্তাদের রুম তালাবদ্ধ। তবে তিনজন উপসহকারী প্রকৌশলী অফিস করছেন। বেশির ভাগ কর্মচারীও অফিসে নেই। সাংবাদিকদের দেখেই তাদের ছোটাছোটি বেড়ে যায়। শীর্ষ কর্মকর্তারা না থাকায় এবং অফিস ফাঁকা হয়ে যাওয়ায় কাজে স্থবিরতা নেমে এসেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নির্বাহী প্রকৌশলী ব্যতিত সব কর্মকর্তা স্থানীয় বাসিন্দা হওয়ায় রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করছেন। তবে একটা দপ্তরে কি এমন কাজ বা অভিযোগ যে নির্বাহী প্রকৌশলী থেকে অফিস সহায়ক কাজের পরিবেশ না থাকায় সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী সেচ্ছায় অন্যত্র বদলীর আবেদন করতে হলো। এ নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। এ বিষয়ে উচ্চমান সহকারী রাকিবুল ইসলাম, তাউফিকুর রহমান ও অফিস সহায়ক মজিবুর রহমানসহ একাধিক কর্মচারী বলেন, স্যাররা আবেদনে স্বাক্ষর করতে বলায় আমরা স্বাক্ষর করেছি। কিন্তু আবেদনে কি লেখা আছে বলতে পারি না। শুধু বলছে বদলীর আবেদন করবে, স্বাক্ষর করবে, করে দিয়েছি। এ ব্যাপারে তিন উপ-সহকারী প্রকৌশলী আনিছুর রহমান, আব্দুল খালেক, হাবিবুর রহমান বলেন, স্যারদের অফিসিয়াল কাজ থাকায় তারা ঢাকায় অবস্থান করছেন। আবেদনের বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না। স্যারের (নির্বাহী প্রকৌশলী) নির্দেশনা ছাড়া এ বিষয়ে কথা বলা নিষেধ। এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পওর বিভাগ) নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরীকে তার কার্যালয়ে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড পাবনার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকারকে বিভিন্ন নাম্বার থেকে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি। ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েও তার সাড়া মেলেনি। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড রাজশাহীর প্রধান প্রকৌশলী মুখলেসুর রহমান বলেন, পাবনার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলী আমাকে জানিয়েছেন ঢাকায় একটি মিটিংয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু ৯ জন একসঙ্গে ঢাকা যাবার বিষয়ে আমাকে কিছু জানায়নি। আর একযোগে ৩৭ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বদলী চাওয়ার আবেদন ডিজি মহোদয় বরাবর দিয়েছে শুনেছি। কিন্তু অফিসিয়িালি কোনো ডকুমেন্ট এখনও পাইনি। তাই সে বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক আমিরুল হক ভূঞা বলেন, আমি তো দেশের বাইরে ছিলাম। আজ সকালেই ফিরেছি। বিষয়গুলো জানা নেই। দেশে ফিরেছি মাত্র। এইভাবে একসঙ্গে সবাই ঢাকায় আসার তো কোনো সুযোগ নেই। গেলে তার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ও ছুটি নিয়ে যেতে হবে। আর একযোগে সবাই বদলী হওয়ার সুযোগ কিভাবে আছে আমার তো জানা নেই। কি কি দরখাস্ত আসছে আগে দেখি। কেন দিয়েছে, কি কারণে সবগুলো দেখে বলা যাবে।
প্রতি রাতে মনে হতো এটাই জীবনের শেষ রাত: প্রধান প্রকৌশলী
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সোমালিয়ান জলদস্যুদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত বাংলাদেশি ২৩ নাবিক দেশে পৌঁছেছেন। এমভি আবদুল্লাহর এই ২৩ নাবিকের বিষয়ে উৎকণ্ঠায় ছিল সারা দেশের মানুষ। ২৩ নাবিকদের বহন করা লাইটার জাহাজ মঙ্গলবার (১৪ মে) যখন চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায় তখন ছিল এক অভাবনীয় দৃশ্য। খুশিতে চোখের নোনা জল মুছেছেন নাবিকদের মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তানরা। একই রকম আনন্দের জোয়ার বইছে এমভি আবদুল্লাহর প্রকৌশলীর বাড়িতে। বাড়িতে ফেরার পর তাকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন বৃদ্ধ বাবা-মা।  সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার ৬৭ দিন পর বাড়ি ফিরেছেন নওগাঁ শহরের শাহী মসজিদ এলাকার কাইয়ুম হোসেনের ছেলে ও এমভি আবদুল্লাহর প্রকৌশলী এএসএম সাইদুজ্জামান সাঈদ। বুধবার (১৫ মে) সকালে রাজশাহী শাহ মখদুম বিমানবন্দরে নেমে বেলা ১১টায় বাড়ি ফেরেন তিনি। এরপর জানান নিজের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা। এএসএম সাইদুজ্জামান সাঈদ বলেন, ‘দস্যুরা সব সময় একে-৪৭ এর মতো অস্ত্র তাক করে রাখত। ফাঁকা গুলি ছুড়েও ভীতি প্রদর্শন করত সোমালিয়ার দস্যুরা। সোমালিয়ার পুলিশদের সঙ্গে প্রায়ই বন্দুকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ত। তখন আরও বেশি ভয় পেতাম। প্রতি রাতে মনে হত এটাই বোধহয় জীবনের শেষ রাত। শেষ পর্যন্ত অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সরকারের সহযোগিতায় কোম্পানি আমাদের সুস্থভাবে মুক্ত করেছে।’ তিনি বলেন, ‘দস্যুদের শেষ পর্যায়ে জাহাজ থেকে নেমে যাওয়ার মুহূর্ত আমাদের ২৩ জন নাবিকের কাছে ছিল স্মরণীয় মুহূর্ত, যা আমাদের নতুন করে বাঁচার আনন্দ দিয়েছে। এয়ারপোর্টে স্ত্রী আমাকে ফুল দিয়ে বরণ করেছে। ওইখানেই মিষ্টি খাওয়ানোর পর আমাকে বাড়িতে এনেছে। এখন ঘরে ফিরে অন্যরকম স্বস্তি পাচ্ছি। তবে জিম্মিদশার সেই দৃশ্যগুলো এখনো চোখের সামনে ভাসছে। ওই স্মৃতিগুলো ভুলতে পারলে তবেই স্বাভাবিক জীবনের ছন্দ ফিরতে পারব।’ স্ত্রী মান্না তাহরিন শতধা বলেন, ‘পহেলা বৈশাখে স্বামী মুক্তি পাওয়ার পর ওইদিনটা আমাদের কাছে ঈদের দিনের মতো মনে হয়েছে। এরপর থেকে অপেক্ষায় ছিলাম তার ঘরে ফেরার। অনেক দিন পর তাকে দেখে আবেগ ধরে রাখতে পারিনি। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।’ প্রসঙ্গত, ৩৩ দিনের মাথায় ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে জাহাজটি মুক্ত হয়। এরপর জাহাজটি প্রথমে আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে পৌঁছায়। সেখানে পণ্য খালাস শেষে আরেকটি বন্দর থেকে চুনাপাথর বোঝাই করে চট্টগ্রামের পথে রওনা হয়েছিল জাহাজটি। এ হিসেবে আমিরাত থেকে ১৩ দিনের মাথায় জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় এসে পৌঁছালো। কেএসআরএম গ্রুপ জানায়, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে ৫৬ হাজার টন পণ্য চুনাপাথর রয়েছে। এতে প্রায় ১৯০ মিটার লম্বা জাহাজটির ড্রাফট (জাহাজের পানির নিচের অংশের গভীরতার পরিমাপ) বেড়ে হয়েছে সাড়ে ১২ মিটার। জাহাজটির ড্রাফট বেশি থাকায় কুতুবদিয়ায় প্রথমে কিছু পরিমাণ পণ্য খালাস করে। এরপর পতেঙ্গার কাছাকাছি বঙ্গোপসাগরে বন্দর জলসীমায় আনা হয়। সেখানে বাকি পণ্য খালাস করা হবে। এ জন্য দেশে পৌঁছানোর পরও নাবিকদের ঘরে ফিরতে একটু সময় লেগেছে। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।
‘মৃত্যুর দুয়ারে বসে রাত-দিন কাটাতে হয়েছে’
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সোমালিয়ান জলদস্যুদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত বাংলাদেশি ২৩ নাবিক দেশে পৌঁছেছেন। এমভি আবদুল্লাহর এই ২৩ নাবিকের বিষয়ে উৎকণ্ঠায় ছিল সারা দেশের মানুষ। ২৩ নাবিকদের বহন করা লাইটার জাহাজ মঙ্গলবার (১৪ মে) যখন চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায় তখন ছিল এক অভাবনীয় দৃশ্য। খুশিতে চোখের নোনা জল মুছেছেন নাবিকদের মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তানরা। সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার ৬৭ দিন পর বাড়ি ফিরেছেন সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার চরনূরনগর গ্রামের আবু সামার ছেলে ও জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর নাবিক নাজমুল হক হানিফ। বুধবার (১৫ মে) সকালে জানালেন নিজের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা। নাজমুল হক হানিফ বলেন, ‘জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার পর ভেবেছিলাম মা-বাবাসহ আত্মীয়-স্বজনদের মুখ আর কোনদিন দেখা হবে না। তখন নামাজ পড়তাম আর আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতাম, হে আল্লাহ তুমি আমাদের বাবা-মায়ের বুকে ফিরিয়ে দাও। এভাবেই মৃত্যুর দুয়ারে বসে রাত-দিন কাটাতে হয়েছে।’  তিনি বলেন, এরপর ১৩ এপ্রিল ভোরে মুক্তিপণের বিনিময়ে জলদস্যুদের হাত থেকে আমাদের মুক্তি মেলে। আল্লাহ আমাদের ডাক শুনেছেন। তবে জলদস্যুরা জাহাজ ছেড়ে চলে গেলে মৃত্যুর ভয় কাটলেও তৎক্ষণিক মায়ের কোলে ফেরার কোনো উপায় ছিল না। তাই মুক্তির পর থেকে শুরু হয় মা-বাবার বুকে ফেরার অপেক্ষা। আজ মা-বাবা আমাকে বুকে ফিরে পেয়ে দারুণ খুশি। বারবার কৃতজ্ঞতা জানাই আল্লাহর দরবারে। নাবিক নাজমুল বলেন, জিম্মিকালে প্রতিটি মুহূর্ত কেটেছে মৃত্যুর আতঙ্কে। বন্দুক হাতে টহল দিতো জলদস্যুরা। ৩৩ দিন যে কীভাবে কেটেছে, তা ব্যাখ্যা করতে পারব না। আজ এই আনন্দ প্রকাশের ভাষা ছিল না আমার। মা-বাবাকে কাছে পাব, এর চেয়ে আর বড় সুখ কী হতে পারে। এই দিনের অপেক্ষায় ছিলাম। আল্লাহ আমাদের কথা শুনেছেন। ছেলে নাজমুলকে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন আবু সামা ও নার্গিস খাতুন দম্পত্তি। তাকে কাছে পাওয়ার স্বস্তি রূপ নেয় আনন্দ-উচ্ছ্বাসে। ছেলের দুই গালে ভালোবাসার চুমুতে ভরিয়ে দেন তারা। নাজমুলের বাবা আবু সামা বলেন, ‘সুস্থভাবে আমার ছেলেসহ ২৩ নাবিককে দেশে ফিরিয়ে আনায় বাংলাদেশ সরকার ও জাহাজ কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বুকের ধন বুকে ফিরলে কী যে আনন্দ হয় তা বলে বোঝানো যাবে না।’  ছেলেকে বুকে নিয়ে মা নার্গিস খাতুন বলেন, দিন-রাত ছেলের ছবি নিয়ে মোবাইলে কোনো সংবাদ এলো কি না এই চিন্তায় বসে থেকেছি। প্রতীক্ষার প্রহর যেন শেষই হচ্ছিল না। নাজমুল অপহৃতের পর থেকেই ওর বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। আজ ছেলেকে ফিরে পেয়েছি। এবার ঈদের দিন কীভাবে যে কেটেছে বলতে পারব না। ছেলে বাড়িতে ফিরে এসেছে, আমি ঈদের সকল কিছু আজ রান্না করব। ছেলেকে নিয়ে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করব। প্রসঙ্গত, ৩৩ দিনের মাথায় ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে জাহাজটি মুক্ত হয়। এরপর জাহাজটি প্রথমে আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে পৌঁছায়। সেখানে পণ্য খালাস শেষে আরেকটি বন্দর থেকে চুনাপাথর বোঝাই করে চট্টগ্রামের পথে রওনা হয়েছিল জাহাজটি। এ হিসেবে আমিরাত থেকে ১৩ দিনের মাথায় জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় এসে পৌঁছালো। কেএসআরএম গ্রুপ জানায়, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে ৫৬ হাজার টন পণ্য চুনাপাথর রয়েছে। এতে প্রায় ১৯০ মিটার লম্বা জাহাজটির ড্রাফট (জাহাজের পানির নিচের অংশের গভীরতার পরিমাপ) বেড়ে হয়েছে সাড়ে ১২ মিটার। জাহাজটির ড্রাফট বেশি থাকায় কুতুবদিয়ায় প্রথমে কিছু পরিমাণ পণ্য খালাস করে। এরপর পতেঙ্গার কাছাকাছি বঙ্গোপসাগরে বন্দর জলসীমায় আনা হয়। সেখানে বাকি পণ্য খালাস করা হবে। এ জন্য দেশে পৌঁছানোর পরও নাবিকদের ঘরে ফিরতে একটু সময় লেগেছে। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।
যেসব কারণে দস্যুরা অত্যাচার কম করেছে, জানালেন নাবিক জয়
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সোমালিয়ান জলদস্যুদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত বাংলাদেশি ২৩ নাবিক দেশে পৌঁছেছেন। এমভি আবদুল্লাহর এই ২৩ নাবিকের বিষয়ে উৎকণ্ঠায় ছিল সারা দেশের মানুষ। ২৩ নাবিকদের বহন করা লাইটার জাহাজ মঙ্গলবার (১৪ মে) যখন চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায় তখন ছিল এক অভাবনীয় দৃশ্য। খুশিতে চোখের নোনা জল মুছেছেন নাবিকদের মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তানরা। জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছেন নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার সালাইনগর দক্ষিণপাড়া গ্রামের জিয়াউর রহমানের ছেলে ও জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নাবিক (ওএস) জয় মাহমুদ। বুধবার (১৫ মে) সকালে জানালেন নিজের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা। জয় মাহমুদ জানান, ‘জিম্মি করার পর দস্যুরা আমাদের ওপর অনেক অত্যাচার করত। যখন দেখেছে আমরা নিয়মিত নামাজ পড়ছি, রোজা রাখছি তখন তাদের মন নরম হয়। এরপর থেকে তারা নরম সুরে আমাদের সাথে কথা বলে এবং অত্যাচারের মাত্রা কমিয়ে দেয়। তবে কখনও ভাবিনি আমরা জীবিত বাড়ি ফিরে আসব। তিনি বলেন, ‘দস্যুরা যখন আমাদের জিম্মি করে তখন আমরা ভাবিনি বেঁচে ফিরব। বন্দুকের নলের মুখে আমাদের থাকতে হয়েছে। প্রতিটি মুহূর্ত ছিল আতঙ্কের। প্রতিটি দিনই ছিল দীর্ঘ। বন্দিদশার ৩৩ দিনকে মনে হয়েছে ৩৩ বছর। প্রতিটি দিন কেটেছে আতঙ্ক ও কষ্টের মধ্যে। আমরা শুধু নামাজ পড়েছি আর আল্লাহর কাছে দোয়া করেছি।’ নাবিক জয় বলেন, তবে আস্তে আস্তে দস্যুরা যখন স্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে তখন মনে একটু একটু করে সাহস পাই আমরা। ঈদের দিন ঈদ মনে হয়নি। ঈদে শুধু নামাজ পড়তে পেরেছিলাম। আর কিছু করতে পারিনি। এবার ঈদে আনন্দ ছিল না। এখন বাড়ি ফিরতে পেরে খুব আনন্দ লাগছে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর ছেলেকে ফিরে পাওয়ার আনন্দে আপ্লুত জয়ের বাবা-মা। আর নাতিকে ফিরে পেয়ে স্বস্তি ফিরেছে তার বৃদ্ধ দাদির মনেও। বাবা জিয়াউর রহমান বলেন, আমার ছেলে আজ সকালে বাড়ি ফিরেছে। আমরা খুব আনন্দিত। এজন্য আমরা প্রধানমন্ত্রী, দেশবাসী, জাহাজ কর্তৃপক্ষ, মিডিয়াকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। মহান আল্লাহর কাছে শত কোটি শুকরিয়া জানাই। মা আরিফা বেগম বলেন, আমার বুকের ধন বুকে ফিরে এসছে। এটাই বড় আনন্দ। এর চেয়ে আনন্দের আর কিছু হতে পারে না। আল্লাহ যে আমার মানিককে আমার বুকে ফিরিয়ে দিয়েছে এজন্য তার দরবারে লাখ লাখ শুকরিয়া জানাই। এবার ঈদে আমাদের কোনো আনন্দ ছিল না। আমার বুকের ধনের জীবিত ফিরে আসার অপেক্ষায় দিন কেটেছে। সে জীবিত বাড়ি ফিরে আসায় আমাদের এখন ঈদের দিন মনে হচ্ছে। জয়ের বৃদ্ধ দাদি বলেন, ‘আমার নাতি বাড়ি ফিরে আসিছে তাই মনে শান্তি পাচ্ছি। কত যে কান্দিচি তা বলে বুঝানো যাবেনা। আল্লাহ আমার নাতিকে দীর্ঘজীবন দান করুক। এটাই আমার চাওয়া।’ প্রসঙ্গত, ৩৩ দিনের মাথায় ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে জাহাজটি মুক্ত হয়। এরপর জাহাজটি প্রথমে আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে পৌঁছায়। সেখানে পণ্য খালাস শেষে আরেকটি বন্দর থেকে চুনাপাথর বোঝাই করে চট্টগ্রামের পথে রওনা হয়েছিল জাহাজটি। এ হিসেবে আমিরাত থেকে ১৩ দিনের মাথায় জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় এসে পৌঁছালো। কেএসআরএম গ্রুপ জানায়, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে ৫৬ হাজার টন পণ্য চুনাপাথর রয়েছে। এতে প্রায় ১৯০ মিটার লম্বা জাহাজটির ড্রাফট (জাহাজের পানির নিচের অংশের গভীরতার পরিমাপ) বেড়ে হয়েছে সাড়ে ১২ মিটার। জাহাজটির ড্রাফট বেশি থাকায় কুতুবদিয়ায় প্রথমে কিছু পরিমাণ পণ্য খালাস করে। এরপর পতেঙ্গার কাছাকাছি বঙ্গোপসাগরে বন্দর জলসীমায় আনা হয়। সেখানে বাকি পণ্য খালাস করা হবে। এ জন্য দেশে পৌঁছানোর পরও নাবিকদের ঘরে ফিরতে একটু সময় লেগেছে। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।
রাজশাহীর বাজারে আজ থেকে পাওয়া যাচ্ছে গুটি আম  
রাজশাহীতে আমবাগান থেকে আম পাড়া শুরু হয়েছে। তবে এটা গুটি জাতের আম। এর মধ্য দিয়ে বাজারে উঠেছে এই মৌসুমের প্রথম আম। তবে জানা যায়, গোপালভোগ আম পাড়া শুরু হবে আগামী ২৫ তারিখের পর থেকে।  বুধবার (১৫ মে) থেকে রাজশাহীর বাজারে উঠেছে গুটি আম। এদিন সকালে রাজশাহী নগরী ও আশপাশের এলাকা ঘুরে আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা আম পাড়া শুরু করেন। তবে গুটি আম এখনও ভালোভাবে পরিপক্ব না হওয়ায় সব বাগানে পাড়া শুরু হয়নি। নগরীর কুখন্ডী ও বুধপাড়া এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বাগানে অল্পসংখ্যক চাষি ও ব্যবসায়ী আম পাড়ছেন। তাদের দাবি, এখনও বাগানে গুটি জাতের আম সেভাবে পাকা শুরু হয়নি। তবে সময় ঘনিয়ে এসেছে, এখন গুটি জাতের সঙ্গে অন্য জাতের আমও পাকা শুরু হবে। আম ব্যবসায়ী শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের বেধে দেওয়া সময় অনুযায়ী আজ থেকে গুটি আম নামানো শুরু হয়েছে। একটু পর রাজশাহীর বানেশ্বর হাটে আম নিয়ে যাব বিক্রির জন্য। তবে প্রথম দিন খুব বেশি আম পাড়ার পরিকল্পনা নেই।’ সলিমুদ্দিন নামে এক চাষি জানান, সকালে রাজশাহী নগরীর বুধপাড়ায় গুটি জাতের আম নামানো হচ্ছে। এরপরে তারা রাজশাহীর কোর্ট এলাকার একটি বাগানের তিনটি গাছের আম পাড়বেন। দামের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যেহেতু আজকে প্রথম দিন। তাই আমের দাম ঠিকঠাক বলা যাচ্ছে না। আশা করছি ভালো দাম পাব। কারণ, গত বছরের থেকে এবার আম কম ধরেছে।’ এর আগে গত সোমবার (১২ মে) রাজশাহী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আম সংগ্রহ, পরিবহন, বিপণন ও বাজারজাত মনিটরিং সংক্রান্ত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আম পাড়ার বিষয়ে। সভায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, কৃষি বিভাগসহ আম সংশ্লিষ্ট বিভাগের ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এ বছর গোপালভোগ বা রানিপসন্দ ২৫ মে, লক্ষ্মণভোগ বা লখনা ৩০ মে এবং একই তারিখে হিমসাগর বা ক্ষীরশাপাতি গাছ থেকে নামানো যাবে। এ ছাড়া ১০ জুন থেকে ল্যাংড়া ও ব্যানানা আম; ১৫ জুন আম্রপালি এবং একই তারিখে ফজলি, ৫ জুলাই বারি-৪ আম, ১০ জুলাই আশ্বিনা, ১৫ জুলাই গৌড়মতি ও ২০ আগস্ট থেকে ইলামতি আম নামানো যাবে। এ ছাড়া কাটিমন ও বারি-১১ আম সারা বছর সংগ্রহ করা যাবে। রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্যান) মোছা. সাবিনা বেগম বলেন, রাজশাহীতে গুটি জাতের আম পাড়া শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন জাতের আম পাড়া হবে। উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাজশাহী জেলায় আমের সম্ভাব্য উৎপাদন ২ লাখ ৬০ হাজার ৩১৫ টন। এ বছর আমের আবাদ হয়েছে ১৯ হাজার ৬০২ হেক্টর জমিতে। যার গড় ফলন ধরা হয়েছে ১৩ দশমিক ২৮ টন।
৬ দিনে সোনামসজিদ দিয়ে ১ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে গত ছয় দিনে প্রায় এক হাজার টন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) থেকে মঙ্গলবার (১৪ মে) পর্যন্ত এ পরিমাণ ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। বুধবার (১৫ মে) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সোনামসজিদ স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গ নিরোধ কেন্দ্রের উপপরিচালক সমির চন্দ্র ঘোষ। স্থলবন্দর ও আমদানিকারক ব্যবসায়ীদের থেকে জানা যায়, ভারতীয় সরকারের পেঁয়াজ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা থাকায় গত ৫ মাস ধরে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। তবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয় ৪ মে। তারপরে গত ৫ মে কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইমপোর্ট পারমিটের (আইপি) জন্য আবেদন করেন আমদানিকারকরা। ফলে গত ৯ তারিখ থেকে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। এ বিষয়ে সমির চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর গত ৯ মে থেকে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। গত ৬ দিনে ২১টি আইপির মাধ্যমে ৯৯৭ দশমিক ৪০ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে।’