• ঢাকা রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলে ২৬ চীনা কোম্পানি
জাহাজের ধাক্কায় সেতু ধস / দেড় মাস ধরে পানিতে আটকা ২০ ভারতীয় 
গত মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলের বন্দর বাল্টিমোরে জাহাজের ধাক্কায় ভেঙে পড়ে একটি সেতু। ঘাতক জাহাজটিতে ২০ ভারতীয় এবং একজন শ্রীলঙ্কান ছিলেন। ঘটনার দেড় মাস পরও জাহাজ থেকে উদ্ধার করা যায়নি তাদের। পানিতে জাহাজের মধ্যেই আটকে আছেন তারা। গত ২৬ মার্চ বাল্টিমোরের গুরুত্বপূর্ণ সেতু ভেঙে পড়েছিল। তাতে মৃত্যু হয় ছয়জনের। সেই থেকে ওই বন্দর এলাকায় জাহাজ যাতায়াতও প্রায় স্তব্ধ হয়ে রয়েছে। প্যাটাপসকো নদীর ওপর ওই সেতুর নাম ফ্রান্সিস স্কট কি ব্রিজ। সেতুটি ভেঙে পড়ার পর থেকে ওই এলাকায় যাতায়াতে সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ।  সিঙ্গাপুরের ওই মালবাহী জাহাজে কর্মরত ছিলেন ২০ ভারতীয়। জাহাজটির নাম এম ভি ডালি। এখনও এম ভি ডালিকে পানি থেকে সরানো সম্ভব হয়নি। ৯৮৪ ফুট উঁচু জাহাজ ডালির ধাক্কায় মুহূর্তের মধ্যেই ভেঙে পড়েছিল ২.৬ কিলোমিটার লম্বা সেতুটি। প্রেসিডেন্ট বাইডেন দ্রুত সেতু পুনর্নিমাণের আশ্বাস দিয়েছেন। কীভাবে ভেঙে পড়ল জাহাজটি তার তদন্ত চলছে আমেরিকায়। জাহাজের মধ্যেকার কারও গাফিলতি এই বিপর্যয়ের জন্য দায়ী কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই তদন্তের স্বার্থেই এখনও জাহাজের মধ্যে আটকে রয়েছেন কর্মীরা। আমেরিকার ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এবং ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (এনটিএসবি) তদন্তের মাধ্যমে দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখছে। তদন্তের স্বার্থে আটকে দেওয়া হয়েছে জাহাজের কর্মীদের ভিসাও। গ্রেস ওসান প্রাইভেট লিমিটেডের জাহাজ ডালি। ওই সংস্থার মুখপাত্র জিম লরেন্স সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, জাহাজের মধ্যে ভালো অবস্থাতেই রয়েছেন ভারতীয়রা। তারা তদন্তে সহযোগিতাও করছেন। তদন্তে এখনও পর্যন্ত দেখা গেছে, সেতুর সঙ্গে সংঘর্ষের কয়েক মুহূর্ত আগে জাহাজটি বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। সংঘর্ষের কারণ নিয়ে যা ধোঁয়াশা তৈরি করেছে। এপ্রিল মাসে এফবিআইয়ের কর্তারা জাহাজে গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখে আসেন। সে সময়ে জাহাজের কর্মীদের কাছ থেকে মোবাইল ফোনও নিয়ে নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। পরে তাদের অস্থায়ী সিম কার্ড দেওয়া হয়েছে। তবে তাতে ইন্টারনেট সংযোগ নেই। এ সবই তদন্তের অংশ বলে দাবি করেছে আমেরিকান তদন্তকারী সংস্থা। এনটিএসবি জানিয়েছে, জাহাজটি যখন সেতু থেকে ০.৬ মাইল দূরে ছিল, তখন প্রথম বার সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। জাহাজের পরিবহন নাবিকের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল সে সময়ে। এরপর কিছুক্ষণের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরুদ্ধার করা গিয়েছিল।  কিন্তু ততক্ষণে জাহাজটি সেতুর অনেক কাছাকাছি চলে এসেছিল। জাহাজ এবং সেতুর দূরত্ব যখন কমে ০.২ মাইলে পৌঁছায়, সে সময়ে সেটি আবার বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তদন্ত শেষ হলে কবে জাহাজ থেকে ডাঙায় পা রাখতে পারবেন কর্মীরা, কবেই বা তারা দেশে ফিরতে পারবেন, সেই আশায় দিন গুনছেন তাদের স্বজনরা।
বিখ্যাত জাদুকরের বিরুদ্ধে ১৬ নারীর যৌন হয়রানির অভিযোগ
গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতাকে গণহত্যা বলতে নারাজ আমেরিকা 
‘বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন’ থেকে বিদায় নিচ্ছেন মেলিন্ডা
যুক্তরাষ্ট্রে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ, ৫০ অধ্যাপক গ্রেপ্তার
এবার সমাবর্তন বর্জন করলেন ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
পুলিশের নিপীড়নের মধ্যেই গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হামলার প্রতিবাদে এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উত্তাল রয়েছে। এরই মধ্যে এবার সমাবর্তন বর্জন করলেন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক ডজন শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে গাজায় ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদে চলমান বিক্ষোভের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া ব্যক্তিকে সমাবর্তনে বক্তা করায় শিক্ষার্থীরা ওই অনুষ্ঠান বর্জন করেন। ওই বক্তা এর আগে শিক্ষার্থীদের চলমান বিক্ষোভ নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছিলেন। বিবিসি জানিয়েছে, শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন পোস্টে দেখা গেছে, ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্বববিদ্যালয়ের (ভিসিইউ) শিক্ষার্থীরা গাউন ও টুপি পরা অবস্থায় সমাবর্তন অনুষ্ঠানের কক্ষ থেকে বের হয়ে যাচ্ছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান দলের গভর্নর গ্লেন ইয়ংকিন তখন সমাবর্তন অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য দিচ্ছিলেন। বস্তুত, ইয়ংকিনকে সমাবর্তনের বক্তা করার বিষয়টি শিক্ষার্থীদের অনেকেই মেনে নিতে পারেননি। কারণ তিনি গাজায় ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের ডাকা প্রতিবাদ কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছিলেন। এ ছাড়া ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যখন বর্ণবাদ বিষয়ক একটি পাঠ্যক্রম চালু করার কথা ভাবছিল, তখন সেটির বিরোধিতা করার কারণেও ইয়ংকিন সমালোচিত হয়েছিলেন। অনলাইনে পোস্ট করা ভিডিওতে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদেরকে স্লোগান দিতে দেখা গেছে, যেখানে তারা বলছেন যে, প্রকাশ কর, সরে যাও। আমরা থামব না, আমরা বিশ্রাম নেব না। ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব শিক্ষার্থীরা সমাবর্তন বর্জন করেছেন, তাদের একজন হচ্ছেন শিরিন হাদাদ। শনিবার তিনি বিবিসিকে বলছিলেন, সমাবর্তনের স্বাগত বক্তব্য শুরু করার পর বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা এত জোরে তালি বাজাতে শুরু করেন যে, অন্যরা ইয়ংকিনের কোনো কথাই শুনতে পাচ্ছিলেন না। এরপর অন্তত ১৫০ জন শিক্ষার্থী একসঙ্গে সমাবর্তন কক্ষ থেকে বের হয়ে যান বলেও জানান মিজ হাদাদ। তাতে অবশ্য ইয়ংকিন তার স্বাগত বক্তব্য থামাননি। অনুষ্ঠান শেষে তিনি সমাবর্তনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্টও দিয়েছেন। তবে শিক্ষার্থীরা যেভাবে সমাবর্তন অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন, সে বিষয়ে তাকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাতে দেখা যায়নি। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপির হিসাবে, এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ৫৭টি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ থেকে প্রায় ২ হাজার ৯০০ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। গাজায় যুদ্ধ বন্ধ ও ইসরাইলকে সহায়তা বন্ধের দাবিতে গত ১৭ এপ্রিল ক্যাম্পাসে তাঁবু গেড়ে বিক্ষোভ শুরু করেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে দেশটির বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে।  
জিম্মিদের মুক্তি দিলে আগামীকালই গাজায় যুদ্ধবিরতি সম্ভব: বাইডেন
হামাস জিম্মিদের মুক্তি দিলে ‘আগামীকাল’ গাজায় যুদ্ধবিরতি সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১০ মে) ওয়াশিংটনের সিয়াটলে নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহের এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।  মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ইসরায়েলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারা বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি এখন পুরোটাই হামাসের ওপর নির্ভর করছে। যদি হামাস (আজ) জিম্মিদের ছেড়ে দেয়, তাহলে আজ থেকেই গাজায় ইসরায়েলি অভিযান বন্ধ করা হবে এবং আগামীকাল থেকে আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হবে। এর আগে, মার্কিন বোমা ব্যবহারে বেসামরিক হতাহতের আশঙ্কায় বুধবার ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, গাজার দক্ষিণাঞ্চলের রাফাহ শহরে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালালে তিনি কামানের গোলা ও অন্যান্য অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেবেন। সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেন, যদি ইসরায়েল রাফায় যায়, তবে আমি আর কোনো অস্ত্র সরবরাহ করব না। তবে গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়টি পুরোপুরি ইসরাইলের ওপর নির্ভার করছে বলে মনে করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। শুক্রবার (১০ মে) হামাসের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনের বিভিন্ন সংগঠনের কাছে হামাসের পাঠানো বার্তায় এসব কথা বলা হয়েছে। ইসরাইলি বিভিন্ন সংগঠনের উদ্দেশে এক বার্তায় হামাস লিখেছে, মধ্যস্থতাকারীদের দেয়া প্রস্তাব দখলদার ইসরাইল প্রত্যাখ্যান করেছে। প্রস্তাবে উল্লিখিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ইসরাইল আপত্তি জানিয়েছে। ফলে বল এখন পুরোপুরি ইসরাইলের হাতে। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে হামাস যোদ্ধারা, সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় আরও ২৪০ জনকে। হামাসের অতর্কিত সেই হামলার জবাবে সেই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। সেই অভিযানে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি এবং গোটা গাজা উপত্যকা কার্যত পরিণত হয়েছে ধ্বংস্তূপে। গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন বাইডেন। কিন্তু ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন সরকার তাতে কর্ণপাত না করে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে রাফায় অভিযান শুরু করে। এই নিয়ে টানাপোড়েনের জেরে সম্প্রতি ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ পাঠানোয় স্থগিতাদেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। সূত্র : এএফপি, টাইমস অফ ইসরায়েল
বিক্ষোভ দমনে চড়াও মার্কিন পুলিশ, হার্ভার্ডে শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার
পুলিশের নিপীড়নের মধ্যেই গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হামলার প্রতিবাদে এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উত্তাল রয়েছে। দেশটির স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মত গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধে ক্যাম্পাসে তাঁবু গেড়ে বিক্ষোভ করেছেন। তবে গত শুক্রবার তাঁবু গুঁড়িয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। এ সময় বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়।  এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের আরেক নামী প্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার শুরু করেছে তারা। সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইল জানিয়েছে, বিক্ষোভকারী অনেক শিক্ষার্থীকে চলতি সপ্তাহে বহিষ্কার করেছে এমআইটি কর্তৃপক্ষ। তারা শিক্ষা কার্যক্রম ও স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবেন না। তবে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা বলেছেন, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে এমআইটির সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবিতে তারা অনড়। এভাবে তাদের বিক্ষোভ দমন করা যাবে না। এমআইটি, হার্ভার্ড ছাড়াও শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভকারীদের তাঁবু ভেঙে দেয় পুলিশ। পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। পাশাপাশি আটকও করা হয় অনেককে। স্থানীয় সময় শনিবার ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানান বিক্ষোভকারীরা। কিছু সময় দেরি করে অনুষ্ঠান শুরু হলেও কোনো আটকের ঘটনা ঘটেনি। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপির হিসাবে, এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ৫৭টি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ থেকে প্রায় ২ হাজার ৯০০ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। গাজায় যুদ্ধ বন্ধ ও ইসরাইলকে সহায়তা বন্ধের দাবিতে গত ১৭ এপ্রিল ক্যাম্পাসে তাঁবু গেড়ে বিক্ষোভ শুরু করেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে দেশটির বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলে চীনা ৩৭ কোম্পানি
এবার চীনের ৩৭টি প্রযুক্তি কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার (১০ মে) দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। নিষেধাজ্ঞার কারণ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, চীনা ওই ৩৭টি প্রযুক্তি কোম্পানি মার্কিন উপকরণ ব্যবহার করে নিজ দেশের সামরিক বাহিনীর জন্য নজরদারি বেলুন ও ড্রোন তৈরি করেছিল। এ বিষয়ে ওয়াশিংটনভিত্তিক রেডিও ফ্রি এশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞা পাওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২২টি কোম্পানি মার্কিন কোয়ান্টাম প্রযুক্তি খাতের সহযোগিতা নিয়ে চীনের সামরিক বাহিনীর জন্য ড্রোন তৈরি করেছে। এছাড়া ১১টি কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ— তারা নজরদারি বেলুন তৈরি করেছে। আর অন্য কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ— তারা ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য রাশিয়ায় বিভিন্ন উপকরণ সরবরাহ করেছে। নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি অ্যালান এস্তেভেজ বলেছেন, জাতীয় নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট উল্লেখযোগ্য উদ্বেগের কারণে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ৩৫৫টি চীনা প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তার প্রশাসন।  
মার্কিন অস্ত্র ব্যবহারে ইসরায়েল ‘সম্ভবত’ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে: যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা অস্ত্র দিয়ে গাজায় হামলার ক্ষেত্রে ইসরায়েল ‘সম্ভবত’ আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনটি মনে করার মতো যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে বলে জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। শুক্রবার (১০ মে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনা হয়। গতকাল কংগ্রেসে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়া পর এমন তথ্য সামনে এলো। মার্কিন প্রশাসন বলেছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া অস্ত্র ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের যে অভিযোগ উঠেছে, তা যাচাই করার মতো পূর্ণাঙ্গ তথ্য তাদের কাছে নেই। এ কারণে, আইন মেনেই মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করা হবে, ইসরায়েলের এই আশ্বাসকে বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউসের পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ইসরায়েল কীভাবে গত বছরের শুরু থেকে মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করেছে। ইসরায়েলের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র সরবরাহ করছে এমন আরও ছয়টি দেশে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। গাজায় কয়েকটি ইসরায়েলি অভিযানের সমালোচনা থাকলেও ওই প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলা হয়নি যে, ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) অভিযান আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। বলা হয়েছে, হামাসের বিরুদ্ধে লড়তে আইডিএফ অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল। তাই, তারা বাধ্য হয়ে মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করেছে। মার্কিন অস্ত্রের আইনী ব্যবহার মেনে চলার বিষয়ে ইসরায়েলের কাছ থেকে যে আশ্বাস পেয়েছে তা যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্য এবং নির্ভরযোগ্য ছিল উল্লেখ করে অস্ত্রের চালান আবার চালু করারও প্রস্তাব করা হয় ওই প্রতিবেদনে। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ভয়াবহ হামলা চালায় ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। ওই সময়ে তারা ১২০০ মানুষকে হত্যা এবং ২৫৩ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়।  এ হামলার প্রতিবাদে গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। কিন্তু হামলায় দেশটি কোনো নিয়ম তোয়াক্কা করেনি। ফলে ৩৪ হাজারের বেশি নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। 
ইসরায়েল কখনোই হামাসকে হারাতে পারবে না: যুক্তরাষ্ট্র
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে নির্মূলের লক্ষে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের শহর রাফায় হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তবে এ হামলা চালিয়ে ইসরায়েল কখনোই হামাসকে হারাতে পারবে না বলে মনে করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৯ মে) হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের যোগাযোগবিষয়ক উপদেষ্টা জন কিরবি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। হোয়াইট হাউস মুখপাত্র বলেন, ইসরায়েল জোরালোভাবেই হামাস গোষ্ঠীকে চাপের মুখে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। সেটাই যথেষ্ট ছিল। নতুন করে রাফায় আগ্রাসন কেবল বেসামরিকদের ঝুঁকিই বাড়াবে; এর বেশি কিছু না। তিনি আরও জানান, রাফা আগ্রাসনে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সাহায্য করছে না। তবে তার মানে এই না যে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পাশে নেই বা হামাসের নির্মূল চায় না। আমরা এখনও ইসরায়েলকে নিয়ে আশাবাদী। আমরা কেবল রাফা আগ্রাসনের বিকল্প নিয়ে আলোচনা করছি। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের সাত মাস পেরিয়ে গেছে। এই সময়ে ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছে প্রায় ৮০ হাজার। ইসরায়েলি বাহিনী উত্তর গাজা, মধ্য গাজাসহ অঞ্চলটির বেশির ভাগ এলাকায় অভিযান চালালেও রাফাহ এর বাইরে ছিল। এবার সেখানেও স্থল অভিযান শুরু করেছে তেল আবিব। যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকেই গাজার রাফাহে ইসরায়েলি অভিযানের বিরোধিতা করে আসছে। এমনকি রাফায় সেনা অভিযান চালালে ইসরায়েলকে অস্ত্র দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন এমন ঘোষণা দেওয়ার পর আরও বেঁকে বসেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এবার নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, ইসরায়েল একাই লড়বে। এই ইসরায়েলি কট্টরপন্থী নেতা বলেছেন, যদি আমাদের দরকার পড়ে আমরা একাই লড়বো। আমি বলছি যদি প্রয়োজন হয় আমরা আমাদের হাতের আঙুলের (অস্ত্রের বদলে) নখ দিয়েই লড়াই করবো।
বিদায় নিচ্ছেন পিটার হাস, নতুন রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন ডেভিড মিল
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে ডেভিড স্লেটন মিলকে মনোনীত করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সিনিটে এই মনোনয়ন চূড়ান্ত হলে ঢাকা দূতাবাসে পিটার হাসের স্থলাভিষিক্ত হবেন তিনি। হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়।  ডেভিড স্লেটন মিল বর্তমানে বেইজিংয়ে মা‌র্কিন দূতাবাসে ডেপুটি চিফ অব মিশনের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি এর আগে ঢাকায় ডেপুটি মিশন প্রধান ছিলেন। বৃহস্পতিবার (৯ মে) প্রেসিডেন্ট বাইডেন বাংলাদেশে পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ডেভিড স্লেটন মিলির নাম ঘোষণা ক‌রেন। সিনেটে শুনানির পর মিলিকে যোগ্য মনে হলে তবেই মনোনয়ন চূড়ান্ত করে রাষ্ট্রদূত করে তাকে ঢাকায় পাঠানো হবে।  জ্যৈষ্ঠ কূটনীতিক মিলি বেইজিংয়ে দা‌য়ি‌ত্ব পালনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের ইকোনমিক ব্যুরোর ট্রেড পলিসি অ্যান্ড নেগোসিয়েশন বিভাগের উপ-সহকারী সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নীতি ও বাস্তবায়ন বিভাগের পরিচালক ছিলেন তিনি।  মিনিস্টার কাউন্সেলর হিসেবে ১৯৯২ সালে ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন তিনি। এরপর ওয়াশিংটনের ফরেইন সার্ভিস ইনস্টিটিউটের লিডারশিপ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট স্কুলের সহযোগী ডিন, ঢাকায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন ডেভিড মিলি। শিক্ষিকা লিসা ওডোনেলকে বিয়ে করেন মিল। থিও এবং বেনেট নামে কলেজপড়ুয়া দুই ছেলে রয়েছে এই দম্পতির।