• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
দুপুরের মধ্যে ১৫ জেলায় ঝড়ের সংকেত
৭ মে : ইতিহাসে আজকের এই দিনে
আজ মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়। ঘটনাবলি: ১৮০৮ - স্পেনের জনগণ নেপোলিয়ন বোনাপার্টের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে সংগ্রাম শুরু করে। ১৮৩২ - গ্রিসকে স্বাধীন রাজ্য ঘোষণা করা হয়। ১৯১৫ - প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানরা আমেরিকায় ‘লুসিতানিয়া’ জাহাজ ডুবিয়ে দেয়। ১৯২৩ - অমৃতরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু। ১৯২৯ - লাহোরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় বহু হতাহত হয়। ১৯৪১ - মিত্রশক্তির কাছে জার্মানি নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করে। ১৯৪৮ - জাতিসংঘের বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিষ্ঠা। ১৯৫৪ - দিয়েন বিয়েন ফু-র পতনের ফলে ভিয়েতনাম ফরাসি শাসন থেকে মুক্ত হয়। জন্ম: ১৭৭০ - উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ, ইংরেজ কবি। ১৮১২ - রবার্ট ব্রাউনিং, ইংরেজ কবি। ১৮৪০ - পিওৎর চাইকোভস্কি, রুশ সঙ্গীতজ্ঞ। ১৮৬১ - মতিলাল নেহরু, আইনজীবী ও জাতীয়তাবাদী নেতা। ১৮৬৭ - ভাদিস্লাভ স্ট্যানিশস্লাভ রেইমন্ট, পোলিশ কথাসাহিত্যিক। ১৮৮১ - উইলিয়ামস পিয়ারসন, রবীন্দ্র সাহিত্যের অনুবাদক। ১৮৮৯ - গ্যাব্রিলা মিস্ত্রাল, লেখক। ১৮৯২ - মার্শাল জোসিপ ব্রজ টিটো, যুগোশ্লাভিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও রাষ্ট্রপ্রধান। ১৮৯৩ - ফিরোজ খান নুন, পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ, পাকিস্তানের ৭ম প্রধানমন্ত্রী। ১৯৩১ - সিদ্দিকা কবীর, বাংলাদেশী পুষ্টিবিশেষজ্ঞ ও শিক্ষাবিদ। ১৯৪৩ - পিটার কেরি - অস্ট্রেলীয় ঔপন্যাসিক ও ছোটগল্পকার। মৃত্যু: ১৯০৯ - হের্মান অস্ট্‌হফ, জার্মান ভাষাবিজ্ঞানী। ১৯৪১ - স্যার জেমস ফ্রেজার, স্কটিশ নৃতাত্ত্বিক ও শিক্ষাবিদ (জ. ১৮৫৪)। ১৯৭১ - রণদাপ্রসাদ সাহা, বাংলাদেশের বিখ্যাত সমাজসেবক এবং দানবীর ছিলেন। ১৯৯৩ - অজিতকৃষ্ণ বসু, সঙ্গীতজ্ঞ ও ব্যঙ্গ সাহিত্যস্রষ্টা। দিবস: বিশ্ব হাঁপানি দিবস ইঞ্জিনিয়ার্স ডে
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ
রাতেই ১২ জেলায় ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস
শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার প্রতিবাদে কর্মবিরতি ঘোষণা
স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে পতাকা হাতে ছাত্রলীগের পদযাত্রা
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের সাক্ষাৎ
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান।  সোমবার (৬ মে) দুপুরে বঙ্গভবনে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাৎকালে উপাচার্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক এবং ফিজিক্যাল মাস্টারপ্ল্যান, আইসিটি মাস্টারপ্ল্যান, কলেজ অ্যাডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (সিইডিপি) আওতায় শিক্ষক প্রশিক্ষণ, বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউটে এমফিল লিডিং টু পিএইচডি প্রোগ্রামে গবেষক ভর্তি, শিক্ষার্থীদের জন্য দক্ষতাভিত্তিক ১২টি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম (পিজিডি) ও ১৯টি শর্ট কোর্স প্রবর্তন বিষয়সহ সার্বিক অগ্রগতি রাষ্ট্রপতির সামনে তুলে ধরেন। উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনের স্যুভেনির, বার্ষিক প্রতিবেদন, ত্রৈমাসিক প্রকাশনা সমাচার, ডায়েরি ও ক্যালেন্ডার রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দেন। এ সময় রাষ্ট্রপতি উপাচার্যের বিভিন্ন কথা শোনেন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দিকনির্দেশনা দেন। সাক্ষাতের সময় উপাচার্যের সঙ্গে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুস সালাম হাওলাদার এবং রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন।
মঙ্গলবার থেকে প্রাথমিকে পাঠদান চলবে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার (৭ মে) থেকে শিক্ষা কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।  সোমবার (৬ মে) দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার থেকে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলোর শ্রেণি কার্যক্রমসহ সব কার্যক্রম চলতি শিক্ষাবর্ষের (২০২৪) বর্ষপঞ্জী অনুযায়ী চলবে। ঈদের ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল স্কুল-কলেজ খোলার কথা থাকলেও সারা দেশে তীব্র দাবদাহের কারণে বন্ধের মেয়াদ ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যেই গত ২৮ এপ্রিল থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। পরদিন হাইকোর্ট দেশের সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদরাসার ক্লাস বন্ধের নির্দেশ দেন। পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
গুগল ম্যাপে যেভাবে চিনবেন জাতীয়-আঞ্চলিক মহাসড়ক
প্রায়শই আমরা কাজে বা বেড়াতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাই। অপরিচিত কোনো জায়গায় যাওয়ার ক্ষেত্রে গুগল ম্যাপের সহায়তা নেন অনেকেই। কিন্তু অনেক সময়ই আমরা ম্যাপের ডিরেকশন না বুঝে ভুল পথে চলে যাই। এতে পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। চলুন জেনে নেই কীভাবে সড়ক ও মহাসড়কের নম্বর বা কোড দেখে বুঝতে পারব কোন কোড মানে কোন সড়ক বা মহাসড়ক এবং কোড নম্বরের সড়ক বা মহাসড়ক আমাদের কোথায় নিয়ে যাচ্ছে। ধরুন, আপনি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাবেন। গুগল ম্যাপে লোকেশন সেট করলে দেখতে পাবেন আপনাকে যে রাস্তাটি দেখানো হচ্ছে, সেই রাস্তার মাঝে এন১ (N1) নামে একটি কোড দেখাচ্ছে। আপনি কি জানেন এই কোডের অর্থ কী? এন১ এর অর্থ হলো 'ন্যাশনাল হাইওয়ে ১' বা 'জাতীয় মহাসড়ক ১'। এভাবে বাংলাদেশে জাতীয় মহাসড়কের কোডগুলো এন১, এন২, এন৩, এন৪, এন৫, এন৬, এন৭, এন৮ এমন ক্রমে। এন১ ধরে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে টেকনাফ যেতে পারবেন। এই রুটে পাবেন নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, নোয়াখালীসহ বেশ কয়েকটি জেলায় যাওয়ার পথ। এসব জেলায় যেতে হলে আপনাকে এন১ থেকে নেমে ওই জেলার সড়কে প্রবেশ করতে হবে। আর এসব সড়কের কোডগুলো সাধারণত তিন সংখ্যার হয়ে থাকে। যেমন: এন১ থেকে রাঙামাটির দিকে যেতে হলে আপনাকে এন১০৬ সড়ক ব্যবহার করতে হবে। এন২ জাতীয় মহাসড়ক আপনাকে নিয়ে যাবে ঢাকা থেকে সিলেট হলে তামাবিল পর্যন্ত। এই পথে যেতে আপনি পাবেন নরসিংদী, ভুলতা, শায়েস্তাগঞ্জ, মীরপুর, শেরপুর, শ্রীমঙ্গল, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার। এন২ থেকে এসব জেলায় যেতে জেলার সড়ক খুঁজে নিতে হবে। যেমন: সিলেট যাওয়ার পথে এন২ এর ধার দিয়ে চলে যাওয়া এন২০৭ সড়ক পাবেন। এই সড়ক ধরে চলে গেলে পাবেন মৌলভীবাজার ও শ্রীমঙ্গল। এ ছাড়া, এন৩ ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ, এন৪ ঢাকা থেকে জামালপুর, এন৫ ঢাকা থেকে আরিচা হয়ে রংপুর ও বাংলাবান্ধা, এন৬ ঢাকা থেকে রাজশাহী হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, এন৭ দৌলতদিয়া হয়ে খুলনা ও মোংলা এবং এন৮ ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে বরিশাল ও পটুয়াখালী নিয়ে যাবে। এই কোডগুলো দেখে ম্যাপে লোকেশন সেট করলে আপনি সঠিক সময় এবং সঠিক পথ দেখতে পাবেন। কোথাও যাওয়ার আগে যেসব জায়গায় ভ্রমণ করতে চান সেগুলোতে যাওয়ার জন্য সড়কের কোডগুলো দেখে নিতে পারেন। এতে পথ হারানোর ভোগান্তি হবে না।
যে দ্বীপে পুরুষ নিষিদ্ধ, রাজত্ব শুধু নারীদের
শুরুতে বলে রাখি, আপনি যদি পুরুষ হন তাহলে এই নিউজটি আপনার জন্য নয়। কারণ আজ কথা হবে শুধু নারীদের নিয়ে। কথা হবে এমন এক আইল্যান্ড নিয়ে যেখানে পুরুষ প্রবেশে রয়েছে কড়াকড়ি নিষেধাজ্ঞা। এক কথায় পুরুষ সে দ্বীপে নিষিদ্ধ। সেখানে রাজত্ব শুধু সুন্দরী মেয়েদের। অবাক হচ্ছেন? মনে হচ্ছে নারীবাদী আলাপচারীতা হচ্ছে! তবে তা নয়, সত্যিই এমন একটি দ্বীপ রয়েছে যেখানে নারী ছাড়া কেউ যেতে পারে না। নারীদেরও সেখানে যেতে হলে দিতে হয় চাকরির মতো ইন্টারভিউ। উত্তীর্ণ হলে তবেই যাওয়া যায় নারীদের জন্য সংরক্ষিত এই দ্বীপে। কি বুঝতে পারছেন না তো কোন অদ্ভুদ দ্বীপের কথা বলছি! উত্তরটা দিয়েই দেই তাহলে, বলছিলাম বাল্টিক সাগরে ফিনল্যান্ডের উপকূলে অবস্থিত সুপারশি আইল্যান্ডের। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই দ্বীপে পুরুষ প্রবেশে কেন নিষেধাজ্ঞা? চলুন উত্তরটা খুজি, আসলে গত ৩ বছর আগে প্রায় সাড়ে ৮ একরের এই দ্বীপটি কিনে নিয়েছেন মার্কিন এই নারী ব্যবসায়ী। যার নাম ক্রিস্টিনা রথ। ক্রিস্টিনা জানান, পেশায় তিনি বিজনেস কনসাল্ট্যান্ট। ফোর্বসের দ্রুত উন্নতি করা নারীচালিত সংস্থাগুলোর তালিকায় তার কোম্পানির নামও আছে। তিনি এই দ্বীপ কেনেন শুধুমাত্র নারীদের জন্য সংরক্ষিত একটি স্থান তৈরির চিন্তাভাবনা থেকেই। এই দ্বীপে নারীদের নিরাপত্তাসহ সব বিষয়ের সুবিধাই রেখেছেন ক্রিস্টিনা। দ্বীপটি কেনার পর ক্রিস্টিনা সেখানে একটি রিসোর্ট গড়ে তোলেন। যেখানে আছে চারটি বড় বড় কেবিন। এক একটি কেবিনে ১০ জন করে নারী থাকার ব্যবস্থা রাখা আছে। ফিটনেস ও নিউট্রিশনের দিকেও যাতে নারীরা সেখানে ধ্যান রাখতে পারেন এজন্য সেখানে আছে স্পাসহ সান বাথের ব্যবস্থা।  এমন পরিকল্পনার বিষয়ে ক্রিস্টিনা রথ বলেন, ক্যালিফোর্নিয়ার কালাবাসাসে ছুটি কাটাতে গিয়ে তিনি খেয়াল করেন, সুদর্শন ছেলেদের উপস্থিতিতে মেয়েরা নিজেদের নিয়ে একটু বেশিই সতর্ক হয়ে উঠছিলেন। সারাক্ষণ শুধু ব্যস্ত ছিল নিজেদের সাজগোজ নিয়েই। সেখানে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে গিয়ে নিজেদের সৌন্দর্য  নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তিনি চাচ্ছিলেন মেয়েরা যেন নিজেদের নিয়ে অতিরিক্ত মনোযোগী হয়। ছেলেদের কারণে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগে মেয়েদের যাতে কোনো সমস্যা সৃষ্টি না হয়, সেজন্যই এই দ্বীপ গড়ে তুলেছেন ক্রিস্টিনা।  এই দ্বীপে সময় কাটাতে চাইলে জনপ্রতি পাঁচদিনের জন্য খরচ পড়বে ২ থেকে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত। তবে শুধু টাকা দিলেই কিন্তু সুপারশি আইল্যান্ডে যাওয়ার অনুমতি মিলবে না। এর জন্য অনেকদিন আগে থেকেই বুকিং দিতে হয়। ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে উর্ত্তীর্ণ হলে তবেই মিলবে তার এন্ট্রি পাস।
অবৈধভাবে টিভি চ্যানেলের প্রদর্শন বন্ধে কার্যক্রম শুরু
অবৈধভাবে দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল প্রদর্শন ও লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধে কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।  সোমবার (৬ মে) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এ বিষয়ে গত ২ এপ্রিল তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সভাপতিত্বে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সংক্রান্ত দশটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। এ সিদ্ধান্তগুলো হলো: ১. কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন-২০০৬ এর অধীনে অনুমোদিত সেবা প্রদানকারীগণই সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি চ্যানেলসমূহ গ্রাহকের নিকট বিতরণ করতে পারবে। ২. ক্লিনফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল কিংবা অননুমোদিত কোনো চ্যানেল ডাউনলিংক, সম্প্রচার, সঞ্চালন বা বিতরণ করা যাবে না। ৩. সেট-টপ বক্স অবৈধভাবে আমদানি ও বাজারজাত করা যাবে না। ৪. টিভি চ্যানেল স্ট্রিমিংয়ের অ্যাপসসমূহ ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করে প্রচারণা করা কিংবা এ ধরনের অ্যাপস সেট-টপ-বক্সে ইনস্টল করে বিক্রি করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। এর বিরুদ্ধে বিটিআরসির আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ৫. বাংলাদেশের নিরাপত্তার স্বার্থে, সরকারের রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির স্বার্থে, বিদেশে অর্থ পাচার রোধে এবং দেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে যে কোনো অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রচলিত আইন ও বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। ৬. কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন-২০০৬ এর ৩ (১) ধারা অনুযায়ী, কোনো ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী নির্ধারিত আবেদনপত্রের ভিত্তিতে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতিত অন্য কোনো চ্যানেল বাংলাদেশে ডাউনলিংক, বিপণন, সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না। এ ছাড়া তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় হতে বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান ক্লিনফিড সম্প্রচারের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেছে বিধায় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্লিনফিড ব্যতিত বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না। ৭. কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন-২০০৬ এর ৩(২) ধারা অনুযায়ী, কোনো ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী সরকার অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতিত নিজস্ব কোনো অনুষ্ঠান যথা: ভিডিও, ভিসিডি, ডিভিডি এর মাধ্যমে অথবা অন্য কোনো উপায়ে কোনো চ্যানেল বাংলাদেশে বিপণন, সঞ্চালন ও সম্প্রচার করতে পারবে না। আইন অমান্য করে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেশি বা বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড বা নিজস্ব কোনো চ্যানেল সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না। ৮. কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন-২০০৬ এর ৪ (১) ধারা অনুযায়ী, লাইসেন্সপ্রাপ্ত না হয়ে কোনো ব্যক্তি, ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী হিসাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। তাই লাইসেন্সধারী ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারীগণ ব্যতিত অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান টিভি চ্যানেল বা অনুষ্ঠান সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না। ৯. অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটরগণ এই সিদ্ধান্তসমূহ তাদের বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারকারীদের লিখিতভাবে অবহিত করবে এবং ১০. আইন/নীতিমালা বহির্ভূত, অবৈধ বা অননুমোদিতভাবে সম্প্রচার কাজে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নে গত বৃহস্পতিবার (২ মে) সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের চিঠি দিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
টানা ৩ দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস
সারাদেশে টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সোমবার (৬ মে) সকালে আবহাওয়ার দেওয়া ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। একই সময়ে ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অধিকাংশ জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা এক থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া বুধবার রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
কারও জন্য কিছুই করা হয়ে ওঠে না!
আমি সাংবাদিক, আমি সম্পাদক, নেতা কিংবা প্রভাবশালী কেউ। কিন্তু এ সমাজের জন্য, মানুষের জন্য কিছু করতে পারি না, কিছুই করা হয় না। বক্তৃতা, বিবৃতি, টক শোতে সমাজকে উদ্ধার করতে, দেশকে এগিয়ে নিতে কতই না বাহাদুরি আমার। অথচ সমাজ বিনষ্টকারী, তরুণ-যুবদের নষ্ট পথের দিশারী, বেশ পরিচিত এক মাদক ব্যবসায়ীকে ভালো হওয়ার সুযোগটুকু দিতে পারি না আমি। ওই মাদক ব্যবসায়ী আকুতি জানিয়ে বলেছিল, আমি অন্ধকার পথ ছেড়ে আলোর পথে আসতে চাই। নোংরা কর্দমাক্ত পথ চলতে চলতে ক্লান্ত আমি। গাড়ির ড্রাইভিং ভালো জানি, লাইসেন্সও আছে - তবে মেয়াদোত্তীর্ণ। একটা লাইসেন্স করে ড্রাইভিংয়ের চাকরি দিয়ে দেন প্লীজ। ৮-১০ হাজার টাকা বেতন হলেও হবে। বিশ্বাস করুন আমি সব ছেড়ে ভালো হয়ে যাবো। তার করুন আকুতিতে মন গলেছে আমার,,, কিন্তু দুই মাসেও তাকে লাইসেন্স করিয়ে একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে পারিনি। আরেকজন তরুণীকে চিনি আমি। যিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আর প্রতি ভোরে কোরআন তেলওয়াতের মধ্য দিয়ে দিন শুরু হতো তার। নিজের মা, দুই সন্তান আর দুই ভাতিজির সংসার নির্বাহ করতে গিয়ে দিশেহারা ওই নারী। অনেক ঘোরাঘুরি করে একটা গার্মেন্টেও একটা চাকরি জোটাতে পারেননি। উপায়ন্তরহীন অবস্থায় বারের  ড্যান্সার হয়ে কোনমতে জীবন চালাচ্ছেন। এরমধ্যে তিন ওয়াক্তের নামাজ বন্ধ হয়ে গেছে, বন্ধ হয়েছে কোরআন তেলওয়াতও। কিন্তু সম্ভ্রম ধরে রাখা ডান্সারের আয়েও সংসারের চাকা চলছে না তার। সব কিছুতে রাজি থাকলে তিন বেলা খাওয়া পড়ার নিশ্চয়তা মিলবে। কিন্তু ওই নারী এখন হন্যে হয়ে একটা বৈধ কাজ খুঁজছেন, নিদেনপক্ষে কোনো দোকানের সেলস এর কাজ হলেও চলবে তার। মাসে ১৪ হাজার টাকা বেতন হলেও ১২ ঘণ্টা করে শ্রম দিতে তার অনিহা নাই।  ভালো থাকার নিদারুণ আকুতিতে মন গলেছে আমার, তার চোখের পানি আমাকেও ব্যথিত করেছে, কিন্তু তাতে কি? আমিতো তার জন্য একটা সেলসম্যানের চাকরিও জুটিয়ে দিতে পারিনি। আরেকজন তরুণকে চিনি আমি, যে অসহায় মাকে গ্রামের বাড়ি রেখে এক পোশাকে ঢাকায় এসেছে। বলে এসেছে, মা ঢাকায় কামলাগিরি করে হলেও তোমার খরচ পাঠানোর ব্যবস্থা করবো। কলেজ পড়ুয়া ছেলেটি চার মাস যাবত ঢাকায় ঘুরে ঘুরে বড়ই ক্লান্ত। এখানে চাকরি বাকরি দূরের কথা নিজের খাওয়া থাকারও নিশ্চয়তা করতে পারেনি। বেশ কদিন ধরে কমলাপুর স্টেশনেই রাত কাটায় সে, দিনে একবার খাওয়ারও পথ নেই তার। দুদিনের অনাহারী অবস্থায় এনে তিন দিন আমার বাসায় রেখেছি, শেষ দিন দুপুরে খাইয়ে ৫শ টাকা ধরিয়ে বিদায় দিয়েছি তাকে। গত ১০/১২ দিন সে কোথায় থাকছে, কি খাচ্ছে, তার মায়ের অবস্থাই বা কি সেসবের কিছুই জানা হয়নি আমার। প্রতিবেশী অপরাধীকে মাদক ব্যবসা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছিল শরিফুল। একই টিনশেড বিল্ডিংয়ে ভাড়া থাকায় রাত দিন মাদকসেবীদের আনাগোনায় স্বপরিবারে শরিফুলের অবস্থান করা বেশ কষ্টকর হয়ে পড়ে। এ জন্যই অনুরোধ করেছিল যে, বাসার বাইরে মাদক ব্যবসা চালাতে। এতে ওই মাদক ব্যবসায়ী মাইন্ড করেছে। তাই সে রাতেই বিশ পিচ ইয়াবা দিয়ে উল্টো শরিফুলকে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেয়া হয়। কোলের শিশু সন্তান নিয়ে খুব বিপাকে পড়েন শরিফুলের স্ত্রী। বলেন, মাত্র পাঁচ হাজার টাকা বেতনে মুদি দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করা শরিফুল জীবনে পান, সিগারেট, চা পর্যন্ত পানাহার করেন না।  যে রাতে শরিফুলকে গ্রেফতার হন পরদিন সকালে রান্নার মত একমুঠো চাল কিংবা বাজার বলতে কিছুই ছিল না তার ঘরে। হাতে ছিল না টাকা পয়সাও। কি করবে কোথায় যাবে কিছুই বুঝতে পারছিলেন না শরিফুলের অসহায় স্ত্রী। বিলাপ কান্না ছাড়া যেন কিছুই করার ছিল না তার। যাকে পাচ্ছিলেন তারই হাত পা জড়িয়ে ধরে তিনি শুধু শরীফুলকে মুক্ত করে দেয়ার আর্তনাদ করছিলেন। বলছিলেন, স্বামীকে ছড়াতে পারলে এক মুহূর্তও আর ঢাকা থাকবেন না তিনি, চলে যাবেন ভোলার গ্রামে। তার কান্নাকাটিতে হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়, যন্ত্রণায় ব্যথিত হয়ে নিজের মনটাও। থানার সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, শরিফুলকে গ্রেফতারের পরদিনই আদালতে চালান দেয়ায় জেলে পাঠানো হয়েছে তাকে। এবার উকিল, আদালত, জামিন আবেদনের দীর্ঘ সূত্রীতায় আটকে পড়ে শরিফুলের জীবন। অপরদিকে মাত্র ৭/৮ দিনের ব্যবধানে ঘর ভাড়া প্রাপ্তির অনিশ্চয়তায় শরিফুলের তরুণী স্ত্রীকে বিতাড়িত করে দিয়েছে বাড়ির মালিক। শহরের কিছু না চেনা মেয়েটি তার কোলের শিশু নিয়ে কোথায় ঠাঁই জুটিয়েছে, কোথাও কি মিলছে দু'মুঠো খাবার? সে খবরটুকু জানাও সম্ভব হয় না আমার। জীবনের এমন ছোট ছোট আর্তি আমাদের চারপাশেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে। নানা সীমাবদ্ধতায় সেগুলোর দায় এড়িয়ে চলি আমরা, গায়ে মাখাই না। মনে করি উটকো ঝামেলা। অথচ আমাদের কারো কারো উদ্যোগহীনতায় একেকটি জীবন ঝরে যায়, ধ্বংস হয় অজস্র পরিবার। আসলে বক্তৃতার মঞ্চে, ফেসবুকের টাইম লাইনে অনেক কিছু বলা যায়, অনেক কিছুই করে ফেলা যায় কিন্তু বাস্তবতা অনেক বেশি কঠিন। সেখানে কারো জন্য মঙ্গলজনক কিছু করা হয়ে উঠে না সহজে। এরজন্য প্রয়োজন সমমনাদের সমন্বিত উদ্যোগ, এগিয়ে আসার আন্তরিকতা। লেখক: সিনিয়র অনুসন্ধানী সাংবাদিক