• ঢাকা সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
রাইসির জন্য খামেনির প্রার্থনা
রাইসির আকস্মিক মৃত্যু হলে কে হবেন ইরানের প্রেসিডেন্ট?
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। রোববার (১৯ মে) ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ এজেন্সি ইরনা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, ইব্রাহিম রাইসি আজারবাইজান-ইরান সীমান্তে একটি বাঁধ খোলার অনুষ্ঠান থেকে ফেরার সময় তাকে বহনকারী হেলিকপ্টার অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়। হেলিকপ্টারে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নরসহ আরও বেশ কয়েকজন সিনিয়র কর্মকর্তা ছিলেন। ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমির ভাহিদি জানিয়েছেন, একাধিক উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। তবে তাদের সেখানে পৌঁছাতে সময় লাগবে। কারণ, বর্তমানে সেখানে প্রতিকূল আবহাওয়া বিরাজ করছে। এদিকে কী কারণে হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে তা এখনও স্পষ্ট করা যায়নি। দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলেও ধারণা করা হচ্ছে। ইরানি বার্তাসংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী বহরে তিনটি হেলিকপ্টার ছিল। এর মধ্যে দুটি নিরাপদে অবতরণ করেছে। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে রাইসির আকস্মিক মৃত্যু হলে কে হবেন ইরানের প্রেসিডেন্ট? ইরানের সংবিধান অনুযায়ী প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট  সর্বোচ্চ নেতার অনুমোদনক্রমে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। বর্তমানে এ দায়িত্ব পালন করছেন মোহাম্মদ মোখবার। ইরানের রাজনৈতিক শ্রেণিবিন্যাস অনুসারে, রাষ্ট্রের প্রধান হলেন সর্বোচ্চ নেতা আলি খামেনি এবং প্রেসিডেন্টকে সরকারের প্রধান সেকেন্ড-ইন-কমান্ড হিসাবে বিবেচনা করা হয়। যখন সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মারা যান, তখন প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট দায়িত্বে থাকবেন এবং ৫০ দিনের মধ্যে দেশকে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য নির্বাচনে যেতে হবে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, ইরানি প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টারে না থাকা এবং হেলিকপ্টার থেকে যোগাযোগ করার যে তথ্য ছড়ানো হয়েছে সেগুলোর কোনোটিই সত্যি নয়। সত্য হলো রাইসি এখনো নিখোঁজ রয়েছেন এবং তাকে খুঁজে পেতে অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমাদ ভাহিদি বলেছেন, বিভিন্ন উদ্ধারকারী দল হেলিকপ্টারটির সন্ধানে এখনও তল্লাশি চালাচ্ছে। খারাপ আবহাওয়া ও কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনাস্থলে যেতে সময় লাগবে। তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং উদ্ধারকারী দল তাদের কাজ করছে। আমরা আশা করছি যত দ্রুত সম্ভব এটি সম্পন্ন হবে। ইরান বিভিন্ন ধরনের হেলিকপ্টার ব্যবহার করে। তবে কয়েক দশক ধরে পশ্চিমা দেশগুলো নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাখায় নতুন হেলিকপ্টার অথবা যন্ত্রাংশ ক্রয় করতে পারে না দেশটি। দেশটির সামরিক বাহিনীর অনেক হেলিকপ্টার ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের সময়েরও আগের। উল্লেখ্য, ৬৩ বছর বয়সী ইব্রাহিম রাইসি ২০২১ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ইরানের রাজনীতিতে খুবই প্রভাবশালী এই নেতাকে দেশটির পরবর্তী সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা হিসেবে দেখা হয়।
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা / খোঁজ মিলছে না ইরানের প্রেসিডেন্টের
দুর্ঘটনার কবলে ইরানের প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টার
হামাসের হামলায় দুই ইসরায়েলি সেনা নিহত
হামাসের টানেল থেকে ৩ জিম্মির মরদেহ উদ্ধার
যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫১ কোটি টাকার ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি হুথিদের
যুক্তরাষ্ট্রের একট অত্যাধুনিক এমকিউ-৯ ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। শুক্রবার (১৭ মে) এই তথ্য জানিয়েছে তারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি এমকিউ-৯ ড্রোনের ধ্বংসাবশেষের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার কয়েক ঘণ্টা পর হুথিরা জানিয়েছে, তারাই মার্কিন এ ড্রোনটি ভূপাতিত করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি। এর আগেও মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছিল হুথিরা। এমকিউ-৯ মডেলের মার্কিন এই ড্রোনটির মূল্য ৩ কোটি ডলার; যা বাংলাদেশি মুদ্রামানে ৩৫১ কোটি টাকারও বেশি। হুথিদের সামরিক শাখার মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারে জানিয়েছেন, তাদের যোদ্ধারা গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ড্রোনটি ভূপাতিত করে। এটি ভূপাতিতে ব্যবহার করা হয় সারফেস টু এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে। শিগগিরই এই হামলার একটি ভিডিও প্রকাশ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। হুথি মুখপাত্র আরও জানিয়েছেন, ড্রোনটি ইয়েমেনের মারিব প্রদেশে ‘নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড’ চালাচ্ছিল। মারিব প্রদেশটি এখনো ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি সরকারের অধীনে রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতিমধ্যে যে ভিডিওটি প্রকাশ হয়েছে সেটিতে এমকিউ-৯ ড্রোনের যন্ত্রাংশের সাদৃশ্যতা পাওয়া গেছে। বার্তাসংস্থা এএফপি এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা কোনো মন্তব্য করেনি। হুথিরা এর আগেও ড্রোন ভূপাতিতের দাবি করেছিল। কিন্তু সেগুলো ভুল হিসেবে প্রমাণিত হয়েছিল বলে জানিয়েছে এএফপি। ২০১৪ সালে রাজধানী সানাসহ ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা। ওই সময় থেকে এখন পর্যন্ত বিদ্রোহীদের হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত পাঁচটি ড্রোন ধ্বংস হয়েছে। এমকিউ-৯ মডেলের এই ড্রোন মাটি থেকে ৫০ হাজার ফিট উপরে এবং একটানা ২৪ ঘণ্টা উড়তে পারে।
ইরানে ‘শয়তানবাদ’ প্রচারের দায়ে গ্রেপ্তার ২৬১
ইরানে ‘শয়তানবাদ’ প্রচারের দায়ে ২৬১ জন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে সেদেশের নিরাপত্তা বাহিনী। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে তিনজন ইউরোপীয় নাগরিকও রয়েছেন।  শুক্রবার (১৭ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা এপি।  প্রতিবেদন অনুসারে, বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে অভিযান চালিয়ে এই ২৬১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারদের মধ্যে ১৪৬ জন পুরুষ ও ১১৫ জন নারী। তাদের কাছ থেকে মদ ও ইরানের আইনে নিষিদ্ধ মাদক জব্দ করা হয়েছে। বিবৃতি দিয়ে দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানী তেহরানের পশ্চিমে অবস্থিত শাহরিয়ার শহরে অভিযান চালিয়ে শয়তানবাদ প্রচারকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার নারী-পুরুষের পোশাক, মুখ ও চুলে শয়তানবাদের প্রতীক ছিল। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারের পাশাপাশি কর্তৃপক্ষ অভিযানের সময় শয়তানবাদের প্রতীক, মদযুক্ত পানীয় ও ভয়ঙ্কর মাদক জব্দ হয়। এ সময় ৭৩টি গাড়িও জব্দ করে পুলিশ। ২০০৯ সালের জুলাই মাসেও ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ আর্দেবিল থেকে শয়তানের উপাসনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এর আগে একই বছরের মে মাসে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর শিরাজ থেকে ‘শয়তান-উপাসক’ হিসেবে চিহ্নিত ১০৪ জনকে আটক করা হয়েছিল। তারও আগে ২০০৭ সালে তেহরানের কাছাকাছি একটি বাগানে অনুষ্ঠিত অননুমোদিত রক কনসার্ট চলাকালে একই অভিযোগে ২৩০ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী।
ইসরায়েলের বিমানঘাঁটিতে হিজবুল্লাহর ড্রোন হামলা
ইসরায়েলের বিমানবাহিনীর একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় লেবানন সীমান্ত থেকে ৩৫ কিলোমিটার অভ্যন্তরে উত্তর ইসরায়েলের লোয়ার গ্যালিলি অঞ্চলে ওই হামলা চালানো হয়। এর জবাবে উত্তর-পূর্ব লেবাননে হিজবুল্লাহর অস্ত্র উৎপাদন কারখানায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।  পাল্টাপাল্টি এ হামলার তথ্য বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাবাহিনী (আইডিএফ)। খবর দ্য টাইমস অব ইসরায়েল।  ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে বিস্ফোরক বহনকারী দুটি ড্রোন ছোড়ে হিজবুল্লাহ। এর মধ্যে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই একটি ধ্বংস করে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। অপর ড্রোনটি বিমানঘাঁটিতে আঘাত হানে। গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে দেশটির উত্তরাঞ্চলে কয়েক হাজার ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। এসব হামলার অধিকাংশই ছিল সীমান্তবর্তী এলাকায়। তবে বুধবার প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের ভেতরে সমারিক ঘাটিতে হামলা চালাল তারা। আগের হামলাগুলো ইসরায়েলের সীমান্ত থেকে সর্বোচ্চ ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে ছিল। এদিকে হিজবুল্লাহর হামলার জবাবে বুধবার রাতেই উত্তর-পূর্ব লেবাননের বালবেক এলাকায় বিমান হামলা চালিয়েছে আইডিএফ। হিজবুল্লাহর একটি অস্ত্র উৎপাদন কারখানা লক্ষ্য করে হামলাটি চালানো হয়। কারখানাটি লেবানন সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার ভেতরে অবস্থিত। গাজা সংঘাত শুরুর পর থেকে ইসরায়েলে হিজবুল্লাহর হামলায় এখন পর্যন্ত ১০ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। ইসরায়েলের নিয়মিত ও সংরক্ষিত সেনা (রিজার্ভিস্ট) নিহত হয়েছেন ১৪ জন। একই সময়ে সিরিয়া থেকেও ইসরায়েলে হামলা চালানো হয়েছে। তবে তাতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। অপরদিকে গত সাত মাসে ইসরায়েলের হামলায় নিজেদের ২৯৮ জন সদস্য নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে হিজবুল্লাহ। তাদের অধিকাংশ নিহত হয়েছেন লেবাননে। সিরিয়ায়ও কিছু সদস্যের প্রাণ গেছে। একই সময়ে ইসরায়েলের হামলায় লেবাননের অন্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ৬০ সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের তালিকায় রয়েছেন দেশটির এক সেনাসদস্য ছাড়াও অন্তত ৬০ জন বেসামরিক নাগরিক। এদিকে হিজবুল্লাহর হামলায় ইসরায়েলের বিমানঘাঁটিতে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। ওই ঘাঁটি থেকে শত্রুপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করতে বিশালাকার একটি বেলুন পরিচালনা করা হয়। যা ‘স্কাই ডিউ’ নামে পরিচিত।
নিজেদের ট্যাংকের গোলায় প্রাণ হারালেন ৫ ইসরায়েলি সেনা, আহত ৭
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফাহ ও জাবালিয়া শহরে তুমুল যুদ্ধ চলছে হামাস ও ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মধ্যে। এরই মধ্যে খবর এসেছে, হামাস মনে করে নিজেদের সেনাদের দিকে গোলা ছোড়া হয়েছে ইসরায়েলি দুটি ট্যাংক থেকে। গোলার আঘাতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছেন দখলদার পাঁচ সেনা।  আহত হয়েছেন আইডিএফের আরও সাতজন। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) গাজার জাবালিয়াতে ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানানো হয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম দ্য জেরুজালেম পোস্ট ও টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে।  ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) পক্ষ থেকেও নিশ্চিত করা হয়েছে ঘটনাটি।  প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাবালিয়ার যে অংশে ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানে হামাসের তুমুল প্রতিরোধের মুখে পড়েছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। হামাসের একের পর এক রকেট হামলায় ব্যাপক চাপের মুখে ছিল ইসরায়েলি ট্যাংকগুলো। এ অবস্থায় সেনাদের নিরাপত্তার স্বার্থে ট্যাংকগুলোর ক্যানোপিসহ সবগুলো ছিদ্র বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আইডিএফের পক্ষ থেকে। ফলে, স্বাভাবিকভাবেই দৃষ্টিসীমা কমে গিয়েছিল ট্যাংকগুলোর।  ওই সৈন্যরা সবাই আইডিফের ২০২তম ব্যাটেলিয়নের প্যারাট্রুপার ব্রিগেডের সদস্য এবং আলট্রা-অর্থোডক্স কোম্পানির অংশ।  ইসরায়েলি ওই ব্যাটেলিয়নের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সকাল ৯ টার দিকে জাবালিয়ার জংশনটি দখলে নিয়েছিলেন তাদের সেনারা। কিন্তু ব্যাটেলিয়ন হেডকোয়ার্টারে আসতে বেশ কয়েক ঘণ্টা দেরি করেন ডেপুটি কমান্ডার। এরই মধ্যে মাত্র ১০ থেকে ২০ মিটার দূরে অবস্থিত একটি ভবনে জানালার ফাঁকে বন্দুকের নল দেখতে পান একটি ট্যাংকের সেনারা। বিপদ আঁচ করে সঙ্গে সঙ্গে গোলা ছোড়া হয় ওই ট্যাংক থেকে। গোলা ছোড়া হয় পাশের একটি ট্যাংক থেকেও।  ইসরায়েলি সেনাদের দাবি, দৃষ্টিসীমা ঘোলাটে থাকায় নিজেদের ব্যাটেলিয়ন হেডকোয়ার্টার চিনতে পারেননি সেনারা।   
দুবাইয়ে বিশ্বের ধনকুবেরদের পাহাড়সম সম্পদের নথি ফাঁস, কার কত  
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে গোপনে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন বিভিন্ন দেশের ধনী ব্যক্তিরা। একটি বৈশ্বিক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা প্রকল্প এসব সম্পদের নথি ফাঁস করে দিয়েছে। ফাঁস হওয়া নথিতে রয়েছেন ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞায় থাকা ব্যক্তি, অর্থ পাচারকারী ও অপরাধীরাও। প্রকাশ্যে এসেছে তাদের নাম ও সম্পদের পরিমাণ।  মঙ্গলবার ‘দুবাই আনলকড’ নামের ওই নথি প্রকাশ করা হয়। এতে ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানির মতো ব্যবসায়ীর সম্পদের হিসাবও রয়েছে। অনুসন্ধানী এই সাংবাদিকতা প্রকল্পের সমন্বয় করেছে অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট (ওসিসিআরপি) ও নরওয়ের সংবাদমাধ্যম ই-টোয়েন্টিফোর। এতে অংশ নিয়েছে ৫৮টি দেশের ৭৪টি সংবাদমাধ্যম। প্রতিবেদনটি ওসিসিআরপির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি ওসিসিআরপির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। দুবাইয়ের ভূমি দপ্তরসহ কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের ফাঁস হওয়া তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এ অনুসন্ধান চালানো হয়েছে। এতে বিশেষ করে ২০২০ থেকে ২০২২ সাল নাগাদ দুবাইয়ে এসব ব্যক্তির মালিকানায় থাকা ও ব্যবহার করা সম্পদের বিস্তারিত চিত্র উঠে আসে। ফাঁস হওয়া তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে ওয়াশিংটনভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজ (সিফোরএডিএস)। প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ও সংঘাত নিয়ে গবেষণা করে থাকে। পরে এসব তথ্য-উপাত্ত ই-টোয়েন্টিফোর এবং ওসিসিআরপির সঙ্গে ভাগাভাগি করে প্রতিষ্ঠানটি। এ অনুসন্ধানে অংশ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাময়িকী ফোর্বসও। ফোর্বস ২২ ধনকুবের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন ৬০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের ৭৬টি সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে। বিশ্বের চারটি মহাদেশের ১০টি দেশ থেকে এসেছেন তারা। ১০ ধনকুবের ও তাদের সম্পদ  ফোর্বসের প্রতিবেদনে ১০ ধনকুবেরের নাম, তাদের নিট সম্পদ ও দুবাইয়ে থাকা সম্পদের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। মুকেশ আম্বানি ফোর্বসের প্রতিবেদনের শুরুতেই রয়েছে ভারতীয় নাগরিক মুকেশ আম্বানির নাম। তার নিট সম্পদ ১১ হাজার ২০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস হিসেবে ‘বিভিন্ন খাত’ উল্লেখ করা হয়েছে। দুবাইয়ের পাম জুমেইরাহ কৃত্রিম দ্বীপে তার আনুমানিক ২৪ কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে। মুকেশ আম্বানি একজন ভারতীয় বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ী। তিনি ভারতীয় কোম্পানি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ২০২৪ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত  তিনি প্রায় ১১ হাজার ৭৮০ কোটি ডলারের মালিক, এছাড়াও তিনি এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এবং বিশ্বের নবম ধনী ব্যক্তি। এম এ ইউসুফ আলী তিনিও ভারতীয় নাগরিক। তার পারিবারিক সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৭৮০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস ‘বিভিন্ন খাত’। পাম জুমেইরাহ, দুবাই মেরিনা ও ইন্টারন্যাশনাল সিটিতে তাদের ৭ কোটি ডলার মূল্যের সম্পদ রয়েছে। শামশীর ভায়ালিল আরেক ভারতীয় শামশীর ভায়ালিলের সম্পদ ৩৫০ কোটি ডলারের। সম্পদের উৎস ‘স্বাস্থ্যসেবা’ খাত। দুবাই হিলস ও দুবাই প্রোডাকশন সিটিতে তিনি ৬ কোটি ৮০ লাখ ডলারের সম্পদের মালিক। সুহাইল বাহওয়ান তিনি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানের নাগরিক। ১৯০ কোটি ডলার সম্পদের মালিক সুহাইল বাহওয়ান। সম্পদের উৎস ‘বিভিন্ন খাত’। জুমেইরাহ বে আইল্যান্ড, মেদান ও ডাউনটাউন দুবাইয়ে তার সাড়ে ৪ কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে। আন্দ্রেই মোলচানভ রাশিয়ার নাগরিক আন্দ্রেই মোলচানভ ও তার পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ১৩০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস ‘নির্মাণসামগ্রী’। পাম জুমেইরাহ এলাকায় তাদের ২ কোটি ৩০ লাখ ডলারের সম্পদ রয়েছে। বিনোদ আদানি তিনি সাইপ্রাসের নাগরিক। ২ হাজার ২২০ কোটি ডলারের সম্পদের মালিক এই বিনোদ আদানি। তার সম্পদের উৎস দেখানো হয়েছে ‘অবকাঠামো ও পণ্যদ্রব্য’। এমিরেটস হিল, জুমেইরাহ লেক টাওয়ারস, জুমেইরাহ পার্ক, ডাউনটাউন দুবাই, দুবাই মেরিনা, ইন্টারন্যাশনাল সিটি ও দুবাই সিলিকন ওয়েসিসে তার ২ কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে। অবশ্য ওসিসিআরপির ওয়েবসাইটে বিনোদ আদানিকে ভারতীয় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। চ্যাংপেং ঝাও কানাডার নাগরিক চ্যাংপেং ঝাও ৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের সম্পদের মালিক। সম্পদের উৎস ‘ক্রিপ্টো মুদ্রা বিনিময়’। ডাউনটাউন দুবাইয়ে তার ১ কোটি ৪০ লাখ ডলারের সম্পদ রয়েছে। সকেট বর্মন তিনি যুক্তরাজ্যের নাগরিক। তার সম্পদের পরিমাণ ১৫০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস ‘ভোগ্যপণ্য’। দুবাইয়ের পাম জুমেইরাহ দ্বীপে ১ কোটি ৪০ লাখ ডলারের সম্পদ রয়েছে সকেট বর্মনের। ইগর মাকারভ সাইপ্রাসের নাগরিক ইগর মাকারভ। তিনি ২১০ কোটি ডলারের সম্পদের মালিক। সম্পদের উৎস ‘বিনিয়োগ’। পাম জুমেইরাহ এলাকায় তিনি ১ কোটি ১০ লাখ ডলারের সম্পদের মালিক। নগিব সাবিরিস তিনি মিশরের নাগরিক। নগিব সাবিরিস ও তার পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ৩৮০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস ‘টেলিকম’ খাত। পাম জুমেইরাহ এলাকায় তাদের ১ কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে। দারিদ্র্যপীড়িত ও যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের অন্তত সাত নাগরিকের নামও রয়েছে দুবাইয়ে গোপনে সম্পদ গড়া ব্যক্তিদের তালিকায়। তাদের মধ্যে ছয়জনকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও একজনকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।  পাকিস্তানের পত্রিকা ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফাঁস হওয়া নথি অনুযায়ী দুবাইয়ে ১৭ হাজার পাকিস্তানি সম্পদের মালিক। তবে তথ্য-উপাত্ত ও অতিরিক্ত সূত্র ব্যবহার করে এ সংখ্যা ২২ হাজারের মতো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। ওই তালিকায় নাম রয়েছে দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি, বাখতাওয়ার ভুট্টো জারদারি ও আসিফা ভুট্টো জারদারি; স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভির স্ত্রী মিসেস আশরাফ; সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছেলে হুসাইন নওয়াজ এবং আলোচিত সাবেক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়ার ছেলে সাদ সিদ্দিক বাজওয়ারের। এছাড়াও তালিকায় চীন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের নাগরিকদের পাশাপাশি ইয়েমেন, নাইজেরিয়া ও কেনিয়ার মতো দেশের নাগরিকদের নামও রয়েছে। রয়েছে নিষেধাজ্ঞার অধীনে থাকা মিয়ানমারের একজন অস্ত্র ব্যবসায়ীর নামও। সূত্র: ফোর্বস, ওসিসিআরপি
ইসরায়েলের সেনা ঘাঁটিতে ভয়াবহ আগুন
ইসরায়েলের একটি সেনা ঘাঁটিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। দেশটির রাজধানী তেল আবিবে অবস্থিত ‘হাসোমের’ নামে একটি ঘাঁটিতে ঘটনাটি ঘটে। মঙ্গলবার (১৪ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র সংরক্ষণ করা হয় ওই ঘাঁটিতে। আগুন নেভাতে প্রাথমিকভাবে ফায়ার সার্ভিসের ২৮টি দল কাজ করে। তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত, সে ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কিছু জানা যায়নি। আগুনের এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়েছে বলেও জানা যায়নি। তবে আগুনের কারণে সেখানকার স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া পূর্ব সতর্কতার অংশ হিসেবে আশপাশের অবকাঠামো থেকে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।    
রাফা ছেড়ে পালিয়েছে সাড়ে ৫ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি
ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বেশির ভাগই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এখন বাকি রয়েছে অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটির রাফা শহর। অবরুদ্ধ গাজার লাইফলাইন খ্যাত দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় বিমান হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।  জাতিসংঘ জানায়, এখন পর্যন্ত রাফার দক্ষিণাঞ্চল থেকে সাড়ে ৫ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি পালিয়ে গেছে। আর শহরটির উত্তরাঞ্চল থেকে জীবন বাঁচাতে আরও এক লাখ লোক পালিয়েছেন।  ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত বোমা হামলার মুখে রাফায় ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতাল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সসহ সেবাদানকারীরা। এতে স্বাস্থ্যসেবা দিতে গাজার ৮০ শতাংশ হাসপাতাল ব্যর্থ হচ্ছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ।  গত মঙ্গলবারও গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলা চালায় ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এতে হতাহত হন বেশ কয়েকজন এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয় বেশ কয়েকটি স্থাপনা। এদিন গাজার উত্তরাঞ্চলে জাবালিয়ায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় নেতানিয়াহু বাহিনী।  এদিকে, অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে খাবার, পানি ও বাসস্থানের মতো জনজীবনের মৌলিক উপাদানের সংকট। নতুন করে দেখা দিয়েছে নগদ অর্থের অভাব। এ অবস্থায় ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে গেলো কেটে রাখা হচ্ছে বাড়তি ট্যাক্স। এতে শোচনীয় অবস্থায় দিন পার করছেন নিরীহ বাসিন্দারা।  তারা জানান, বোমা বর্ষণে কারণে ধুলোয় মিশে গেছে গাজার এটিএম বুথগুলো। হাতে গোনা কয়েকটি রয়েছে দক্ষিণের শহর রাফায়। সেখান থেকে টাকা উত্তোলন করতে গেলেও কেটে রাখা হয় বিশাল একটি অংক।  অন্যদিকে, এখনো অচলাবস্থায় রয়েছে হামাস-ইসরাইলের মধ্যকার যুদ্ধবিরতির আলোচনা। এ বিষয়ে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘ইসরাইল অবাস্তব লক্ষ্য নির্ধারণ করছে এতে সংঘাতের সমাপ্তির কোনো উপায় পাওয়া যাচ্ছে না।’  তবুও মধ্যস্থতাকারী হিসেবে চেষ্টা চালিয়ে যাবে বলে জানায় কাতার। সূত্র: আল জাজিরা