• ঢাকা সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
ইরানের প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, যা বললো যুক্তরাষ্ট্র
রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের সন্ধান পাওয়া নিয়ে ধোঁয়াশা
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ তার সঙ্গীদের বহনকারী পাহাড়ে বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। অন্যদিকে, রেড ক্রিসেন্ট হেলিকপ্টারটি পাওয়ার দাবি উড়িয়ে দিয়েছে। সোমবার (২০ মে) দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরের বরাত এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হেলিকপ্টারটি পাওয়া গেছে। অন্তত একজন যাত্রী ও একজন ক্রু সদস্য উদ্ধারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এদিকে, ইরানের রেড ক্রিসেন্টের এক কর্মকর্তা জানিয়েছে, হেলিকপ্টারটি খুঁজে পাওয়ার উদ্ধার অভিযান এখনো চলছে। স্থানীয় কিছু সংবাদমাধ্যম বিধ্বস্ত হেলিকপ্টার খুঁজে পাওয়ার ‘অসমর্থিত’ তথ্য প্রকাশ করেছে। দেশটির রাষ্ট্রয়াত্ত টেলিভিশনের এক সাংবাদিক জ্বালানিমন্ত্রী আলী আকবর মেহরাবিয়ানের বরাতে জানিয়েছেন, হেলিকপ্টার খুঁজে পাওয়ার কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই। তবে ধারণা করা হচ্ছে, যেখানে হেলিকপ্টারটি খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেখান থেকে উদ্ধারকারীরা আর মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে রয়েছেন। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং উদ্ধার প্রচেষ্টা জটিল হয়ে পড়েছে। ইরানের সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ সেনাবাহিনীর সব সম্পদ ও রেভল্যুশনারি গার্ডকে তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযানে ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে স্থানীয় এক সাংবাদিক বলেছেন, ‘অন্ধকার হয়ে গেছে এবং বৃষ্টি শুরু হয়েছে, কিন্তু অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তবে বৃষ্টির কারণে কাদা তৈরি হওয়ায় তল্লাশি অভিযান কঠিন হয়ে পড়েছে।’ এদিকে, প্রতিবেশী দেশগুলি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং যে কোনও উদ্ধারে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে বিমান বিধ্বস্তের খবর সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন জরুরি স্যাটেলাইট ম্যাপিং প্রযুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে যাতে ইরানকে তল্লাশি অভিযানে সহায়তা করা যায়। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সব অনুষ্ঠান বন্ধ করে রাইসির জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ৬৩ বছর বয়সী ইব্রাহিম রাইসি ২০২১ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ইরানের রাজনীতিতে খুবই প্রভাবশালী এই নেতাকে দেশটির পরবর্তী সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা হিসেবে দেখা হয়।  
রাইসির বেঁচে থাকা নিয়ে যা জানাল দেশটির কর্মকর্তারা
আকাশে নয়, পানিতেও চলে চীনের এই উড়োজাহাজ
আফগানিস্তানে ফের বিপর্যয়
হামাসের পাল্টা হামলায় নাস্তানাবুদ ইসরায়েলি সেনারা
দুবাইয়ে ৩৯৪ বাংলাদেশির গোপন সম্পদের মূল্য ২ হাজার ৬৩৬ কোটি
দুবাইয়ের আবাসন খাতে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধনাঢ্য ব্যক্তিরা। তাদের তালিকায় রয়েছেন ৩৯৪ বাংলাদেশি। তাদের ২ হাজার ৬৩৬ কোটি টাকা মূল্যের ৬৪১টি সম্পত্তি রয়েছে সেই দেশে।  সম্পত্তির মালিকের এ তালিকায় আরও রয়েছেন বিভিন্ন দেশের বড় ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। এমনকি বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞায় থাকা ব্যক্তি, অর্থ পাচারকারী ও অপরাধীরাও সেখানে বিপুল সম্পদের মালিক। একটি বৈশ্বিক অনুসন্ধানি সাংবাদিকতা প্রকল্প মঙ্গলবার এ তালিকা প্রকাশ করেছে।  তালিকায় দেখা গেছে, দুবাইয়ে সবচেয়ে বেশি সম্পদ রয়েছে ভারতীয়দের। সেখানে ৩৫ হাজার প্রপার্টির মালিক ২৯ হাজার ৭০০ ভারতীয়। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন পাকিস্তানিরা। দেশটির ১৭ হাজার নাগরিকের দুবাইয়ে ২৩ হাজার প্রপার্টি রয়েছে। এর মূল্য ১ হাজার ২৫০ কোটি ডলার। বাংলাদেশি নাগরিকদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। তবে সংবাদে যে মানচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বাংলাদেশিদের সংখ্যা, সম্পদের পরিমাণ এবং দাম রয়েছে। তাদের নিয়ে পৃথক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করতে পারে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।  ‘দুবাই আনলকড’ শীর্ষক এ অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা প্রকল্পের সমন্বয় করেছে অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট (ওসিসিআরপি) ও নরওয়ের সংবাদমাধ্যম ই-টোয়েন্টিফোর। এ প্রকল্পে অংশ নিয়েছে ৫৮টি দেশের ৭৪টি সংবাদমাধ্যম। প্রতিবেদনটি ওসিসিআরপির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এই অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় অংশ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাময়িকী ফোর্বসও। সব মিলিয়ে ফোর্বস ২২ ধনকুবের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন ৬০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের ৭৬টি সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে। বিশ্বের চারটি মহাদেশের ১০টি দেশ থেকে এসেছেন তারা। যুক্তরাজ্য, মিসর, সাইপ্রাসের নাগরিকদেরও সম্পদ রয়েছে দুবাইয়ে। দুবাইয়ে গোপনে সম্পদ গড়া ব্যক্তিদের এ তালিকায় রয়েছে দারিদ্র্যপীড়িত ও যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের অন্তত সাত নাগরিকের নামও। তাদের মধ্যে ছয়জন রাজনৈতিক ও একজন নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তি।  পাকিস্তানের দৈনিক ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফাঁস হওয়া নথি অনুযায়ী, দুবাইয়ে ১৭ হাজার পাকিস্তানি সম্পদের মালিক। তবে তথ্য-উপাত্ত ও অতিরিক্ত সূত্র ব্যবহার করে এ সংখ্যা ২২ হাজারের মতো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়া তালিকায় চীন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের পাশাপাশি ইয়েমেন, নাইজেরিয়া ও কেনিয়ার মতো দেশের নাগরিকরাও রয়েছেন। আরও রয়েছেন নিষেধাজ্ঞার অধীনে থাকা মিয়ানমারের একজন অস্ত্র ব্যবসায়ী। ছয় মাসে বাংলাদেশিদের মালিকানাধীন ১ হাজার ৪৪টি কোম্পানি দুবাই চেম্বারের সদস্যপদ নিয়েছে। তাতে দুবাই চেম্বারের সদস্যপদ পাওয়া বাংলাদেশিদের মালিকানাধীন কোম্পানির মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৯৭৫টি। দুবাইয়ে বহু বাংলাদেশির অবৈধ সম্পদ রয়েছে বলে মনে করা হয়।   
হজ ফ্লাইটে আগুন, জরুরি অবতরণ
ইঞ্জিনে আগুন ধরে যাওয়ায় বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় বিমান পরিষেবা সংস্থা গারুদার একটি বিমান। বিমানটিতে ৪৬৮ জন হজযাত্রী ছিলেন। বুধবার (১৫ মে) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে ঘটেছে এই ঘটনা। বোয়িং ৭৪৭-৪০০ সিরিজের বিমানটি ইন্দোনেশিয়ার মাকাসার শহর থকে মদিনার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। গারুদার নির্বাহী পরিচালক ইরফান সেতিয়াপুত্রা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বিমানটি উড্ডয়নের পরপরই সেটির একটি ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। সম্ভবত ফ্লাইট শুরুর আগে সেটি ভালোভাবে পরীক্ষা করা হয়নি। আগুন দেখতে পাওয়া মাত্র তাৎক্ষণিক বিমান অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন পাইলট।’ বিমানটিতে ৪৫০ জন হজযাত্রী ছাড়াও ১৮ জন ক্রু ছিলেন। তবে তাদের কেউই হতাহত হননি। ইরফান জানিয়েছেন, বিমানটি অবতরণের দুই ঘণ্টার মধ্যে যাত্রীদের জন্য নতুন আরেকটি বিমানের বন্দোবস্ত করেছে গারুদা। সেইসঙ্গে মেরামতের জন্য গ্রাউন্ডেড করা হয়েছে আগুন লাগা বিমানটিকে। উল্লেখ্য, গারুদার ৬০ শতাংশ শেয়ারের মালিক ইন্দোনেশিয়ার সরকার। করোনা মহামারির সময় ভ্রমণ নিষেধজ্ঞার কারণে ব্যাপকমাত্রায় আর্থিক লোকসানের শিকার হয়েছে এই পরিষেবা সংস্থাটি। সেই ক্ষয়ক্ষতির ধাক্কা এখনও পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি তাদের পক্ষে। বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ায় শত শত দ্বীপ রয়েছে। এক দ্বীপ থেকে অন্য দ্বীপে যেতে বিমানের ওপর নির্ভর করেন দেশটির বাসিন্দারা। তবে গত দুই বছরে কয়েকটি বিমান দুর্ঘটনা ঘটায় অভ্যন্তরীণ ভ্রমণের ক্ষেত্রে আকাশপথে যাত্রা এড়িয়ে চলছেন অনেক ইন্দোনেশীয়।
দুবাইয়ে ধনকুবেরদের গোপন সম্পদ, তালিকায় ৩৯৪ বাংলাদেশি
বিলাসবহুল জীবনযাপনের শহর দুবাইয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার মানুষের বিপুল পরিমাণ গোপন সম্পদের পাহাড় গড়ে উঠেছে। এসব সম্পদের তথ্য ফাঁস করেছে ‘দুবাই আনলকড’ নামে বৈশ্বিক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার একটি প্রকল্প। এতে দেখা গেছে, দুবাইয়ে সম্পদ গড়া ব্যক্তিদের তালিকায় রয়েছেন ৩৯৪ বাংলাদেশি। অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট (ওসিসিআরপি) ও নরওয়ের সংবাদমাধ্যম ই-টোয়েন্টিফোরের নেতৃত্বে অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। ৫৮টি দেশের ৭৪টি সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা দীর্ঘ ছয় মাস ধরে এই প্রকল্পে অনুসন্ধান চালিয়েছেন। গত মঙ্গলবার ‘দুবাই আনলকড’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে ওসিসিআরপি। দুবাইয়ের সরকারি ভূমি দপ্তরসহ অন্যান্য রিয়েল এস্টেট কোম্পানির ফাঁস হওয়া তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে অনুসন্ধান চালানো হয়। ওসিসিআরপি বলছে, ২০২০ থেকে ২০২২ সাল নাগাদ দুবাইয়ে বিদেশিদের মালিকানায় থাকা সম্পদের পরিমাণ ১৬০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুবাইয়ে বিদেশিদের সম্পদের মালিকানার তালিকায় শীর্ষে আছেন ভারতীয়রা। দেশটির ২৯ হাজার ৭০০ নাগরিকের ৩৫ হাজার সম্পত্তি রয়েছে দুবাইয়ে। ২০২২ সাল পর্যন্ত দুবাইয়ে ভারতীয়দের এসব সম্পত্তির মোট মূল্য ১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি বলে ধারণা করা হয়। ভারতের পর এই তালিকায় রয়েছে পাকিস্তান। দুবাইয়ে ১৭ হাজার পাকিস্তানির হাতে ২৩ হাজার সম্পত্তির মালিকানা রয়েছে। আমিরাতের এই শহরে গোপন সম্পদের তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তানে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। ভারতের শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানি থেকে শুরু করে বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানেরও গোপন সম্পদের খোঁজ মিলেছে দুবাইয়ে। দুবাইয়ের কৃত্রিম দ্বীপ পাম জুমেইরাতে মুকেশ আম্বানির প্রায় ২৪ কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে। ওসিসিআরপির তথ্য বলছে, দুবাইয়ে গোপনে সম্পদ গড়েছেন অন্তত ৩৯৪ জন বাংলাদেশি। শহরটিতে এই বাংলাদেশিদের মালিকানায় রয়েছে ৬৪১টি সম্পত্তি। বাংলাদেশিদের মালিকানায় থাকা এসব সম্পত্তির মূল্য ২২ কোটি ৫৩ লাখ ডলারেরও বেশি। তবে বাংলাদেশিদের সম্পদ ও মালিকানার তথ্য জানানো হলেও তাদের বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি ওসিসিআরপি।
রাফায় ইসরায়েলি হামলা আরও জোরদার, বাস্তুচ্যুত ৬ লাখ মানুষ
সাত মাস ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলায় ফিলিস্তিনের গাজার বেশির ভাগ এলাকাই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এখন অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটির রাফা শহরে অভিযান চালাচ্ছে তারা। গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় এই শহরে ইসরায়েলি হামলা আরও জোরদার করা হয়েছে। এমন অবস্থায় শহরটি থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৬ লাখ মানুষ। গত ৬ মে থেকে শহরটি ছেড়ে পালিয়েছেন তারা। অন্যদিকে রাফা শহরের পাশাপাশি উত্তর গাজার জাবালিয়াতেও হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ও বিবিসি। আল জাজিরা বলেছে, গত ৬ মে থেকে রাফার প্রায় ৬ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র ফারহান হক এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই পরিসংখ্যান সামনে এনেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ইসরায়েলি অভিযানে গত ৬ মে থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ৬ লাখ মানুষ বা গাজার মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ রাফাহ থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। উপরন্তু জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয়ের কার্যালয় দক্ষিণ গাজার এই শহর থেকে ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত হওয়ার বিষয়েও সর্বশেষ তথ্য দিয়েছে। গত ১৪ এবং ১৫ মে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী উত্তর গাজার ১৯টি এলাকার বাসিন্দাদের সমস্ত বা আংশিক স্থানান্তরে দুটি নতুন আদেশ জারি করেছে। এতে করে রাফা এবং উত্তর গাজায় গত ৬ মে থেকে জারি করা আদেশের সংখ্যা পাঁচে পৌঁছাল।’ জাতিসংঘের পরিসংখ্যান বলছে, গত ৬ মে থেকে বাস্তুচ্যুত হওয়া প্রায় ৬ লাখ মানুষের মধ্যে প্রায় এক লাখ ৫০ হাজার মানুষ গত ৪৮ ঘণ্টায় রাফা থেকে পালিয়ে গেছেন। মূলত যুক্তরাষ্ট্র এবং তার ঘনিষ্ঠ মিত্রদের সতর্কতা সত্ত্বেও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী রাফাতে স্থল সৈন্য পাঠানোর কাজ অব্যাহত রেখেছে। গাজায় সাত মাস যুদ্ধের পর ইসরায়েল জোর দিয়ে বলছে, রাফা দখল এবং হামাসের শেষ অবশিষ্ট ব্যাটালিয়নগুলোকে নির্মূল করা ছাড়া ‘বিজয় অর্জন’ অসম্ভব। কিন্তু জাতিসংঘ এবং পশ্চিমা শক্তিধর দেশগুলো সতর্ক করে বলেছে, রাফাতে সর্বাত্মক হামলা হলে ব্যাপক বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে এবং মানবিক বিপর্যয় প্রকট আকার নিতে পারে। উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এই আক্রমণের ফলে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং আরও প্রায় ৮০ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।
মানুষের চামড়ার জাদুঘর!
শখের তোলা নাকি আশি টাকা। তাই হয়তো মানুষ তার এক জীবনে হাজারো রকমের শখ পূরণের চেষ্টা করে থাকে। সেই শখের বসে অদ্ভুত সব কাণ্ড করতেও পিছপা হয় না মানুষ। শখ পূরণে কেউ করেন হারিয়ে যাওয়া পুরনো তৈজসপত্র সংগ্রহ, আবার কেউ করেন পুরনো মুদ্রা, ডাকটিকিট সংগ্রহ। সে রকমই এক অদ্ভুতুরে ব্যক্তির দেখা মিলেছিল জাপানের টোকিওতে। মানুষের চামড়া সংগ্রহ করা ছিল যার প্রধান শখ।  সূর্যোয়ের এই দেশটির রাজধানী টোকিওতে অবস্থিত জিকেই ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিন। এই ইউনিভার্সিটিতে গবেষকরা নানান বিষয় নিয়ে গবেষণা করে থাকেন।  টোকিওর এই ইউনিভার্সিটিতে দেখা যায় অদ্ভুত এক জাদুঘর। সেই জাদুঘরে সারি সারি সাজানো রয়েছে মানুষের চামড়া। কোন চামড়ায় আঁকা ট্যাটু আবার কোন চামড়ায় রয়েছে বাহারি উল্কি।   এখন প্রশ্ন হলো জাদুঘরে এসব চামড়া এলো কীভাবে?  এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে যে মানুষটির নাম পাওয়া যায়, তিনি টোকিওর ইম্পেরিয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. ফুকুশি মাসাইচি।  ডা. মাসাইচি ১৮৭৮ সালের ৩০ জানুয়ারি জাপানের ইয়ামগাছিতে জন্মগ্রহণ করেন। ইউনিভার্সিটি অব টোকিও থেকে মেডিসিনে পড়ালেখা শেষ করে উচ্চ ডিগ্রি নিতে জার্মানিতে পাড়ি জমান এরপর দেশে ফিরে তিনি জাপানি প্যাথলজিক্যাল সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন। ডাক্তারি পেশার পাশাপাশি তাকে বেশ আকৃষ্ট করতো রোগীর শরীরে আকা উল্কি বা ট্যাটু। সেই আকৃষ্টতা থেকেই তিনি চাইলেন সেসব সংগ্রহ করতে। যেই কথা সেই কাজ।  নেমে পড়লেন উল্কি বা ট্যাটু আঁকা চামড়া সংগ্রহ করতে। হাসপাতালে কোনো মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য এলেও সেই মৃতদেহের উল্কি আঁকা অংশটুকু সংগ্রহ করতেন তিনি। তার এই চামড়া সংগ্রহের খবর শুনে অনেকেই মরণোত্তর চামড়া দান করে যেতেন সংরক্ষণের জন্য। গবেষণার জন্য অনেকের কাছে টাকা দিয়েও চামড়া বুকিং দিতেন মাসাইচি।  এক দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রায় দুই হাজার মানুষের চামড়া সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। তবে দুঃখের বিষয় বেশির ভাগ চামড়াই হারিয়ে ফেলেন মাসাইচি। ১৯৪৫ সালের বিমান হামলায় লাগেজ ভর্তি চামড়া নিয়ে শিকাগোতে যাওয়ার সময় অনেক চামড়া হারিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত ১০৫ জন মানুষের ভিন্ন ভিন্ন চামড়া সংগ্রহে আছে টোকিওর সেই ইউনিভার্সিটিতে। ডা. মাসাইচির চিকিৎসক হিসেবে যতটা না পরিচিতি ছিল তার চেয়ে বেশি ছিল এসব চামড়া সংগ্রহের জন্য। তাই যেকোনো ধরনের ট্যাটু প্রতিযোগিতায় তিনি সবার আগে আমন্ত্রণ পেতেন। তার সংগ্রহ করা চামড়াগুলো এখনো সংগ্রহে আছে সেই জাদুঘরে, তবে তা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত নয়।   
আফগানিস্তানে বন্যায় নিহতের সংখ্যা ৩৩০ ছাড়িয়েছে
আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩০ ছাড়িয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকার গ্রাম, সড়ক ও কৃষিজমি কাদাপানিতে ধুয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দুই হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি। শনিবার (১১ মে) বিশ্ব খাদ্য সংস্থার (ডব্লিউএফপি) বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা জিনহুয়া।  প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (১০ মে) আফগানিস্তানের বাঘলান, তাখার ও বাদাকাশানের পাশাপাশি পশ্চিমাঞ্চলীয় ঘোর ও হেরাত প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে নদ-নদীর পানি বেড়ে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে প্রদেশগুলোতে। গ্রামের পর গ্রাম, সড়ক ও কৃষিজমি কাদায় ঢেকে গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে, বহু মানুষ বাঘলানের হাসপাতালে জড়ো হয়েছেন। তারা সবাই তাদের স্বজনকে খুঁজছেন। এ সময় একজন কর্মকর্তা বলেন, তাদের কবর খনন শুরু করা উচিত। তাদের কর্মীরা দাফনের জন্য মরদেহগুলোকে প্রস্তুত করছেন। তালেবান সরকারের প্রধান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) লেখেন, বন্যায় শত শত মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। সরকার বন্যাকবলিতদের উদ্ধার, আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া এবং মৃতদের দাফনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বন্যা কবলিত অঞ্চলগুলোতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। বন্যাকবলিত এলাকার বাসিন্দাদেরকে খাদ্য, ওষুধ ও প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাওয়া হচ্ছে।  গত মাসের মাঝামাঝিতেও দেশটির ১০টি প্রদেশ বন্যার কবলে পড়ে, যেখানে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।  
আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় নিহত ৬০, বহু নিখোঁজ
আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলের বাঘলান প্রদেশে ভারী বৃষ্টির ফলে আকস্মিক বন্যায় অন্তত ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে শতাধিক মানুষ। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে বহু মানুষ।  মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর বিবিসি, রয়টার্সের। আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল মতিন কানি শুক্রবার এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে বলেছেন, যারা মারা গেছেন তারা দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় বাঘলান প্রদেশের বোরকা জেলার বাসিন্দা। এছাড়াও সেখানে দুই শতাধিক মানুষ তাদের বাড়ির ভেতরে আটকা পড়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। আবদুল মতিন বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে বাঘলান প্রদেশের পাঁচটির বেশি জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। অনেক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তাদের জরুরি সহায়তা দরকার। তিনি জানান, দুর্গত এলাকায় সহায়তাকারী দল ও হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে। তবে রাতের বেলায় উদ্ধার কাজের উপযোগী আলোর ব্যবস্থা না থাকায় কাজ করা যাচ্ছে না। মূলত গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আফগানিস্তানে অস্বাভাবিকভাবে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে বন্যায় দেশটিতে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। এদিকে, স্থানীয় কর্মকর্তা হেদায়তুল্লাহ হামদর্দ বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, সেনাবাহিনীসহ জরুরি কর্মীরা ‘কাদা ও ধ্বংসস্তূপের নিচে সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্তদের সন্ধান করছেন’। এই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, ঘরবাড়ি হারিয়েছে এমন কিছু পরিবারকে তাঁবু, কম্বল এবং খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। বন্যার জেরে কাবুলের সাথে উত্তর আফগানিস্তানের সংযোগকারী প্রধান সড়কটিও বন্ধ রয়েছে।