গত জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে লঙ্কানদের বিপক্ষে আঙ্গুলে চোট পেয়ে ছিটকে পড়েন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এতে লঙ্কানদের বিপক্ষে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকেও বাদ পড়েন এই ক্রিকেটার।
আগামী ৬ মার্চ থেকে শ্রীলঙ্কায় শুরু হচ্ছে তিন জাতির টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিদাহাস ট্রফি। এতে সাকিবকে অধিনায়ক করে ১৬ সদস্যের দলও ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড(বিসিবি)। এবার লঙ্কানদের মাটিতেও খেলা নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা।
বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন, ৮-১০ দিন টানা বিশ্রাম পেলে পুরোপুরি ফিট হতে পারেন সাকিব। তবে প্রথম ম্যাচে তাকে না পাওয়ার বিষয়টিরও ইঙ্গিত দেন তিনি।
বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরীর মতে, ফিজিওফেরাপি যদি ভালোভাবে যায় তবে একটু সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এই মুহূর্তে যে অগ্রগতির ধারা তাতে খেলাটা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
আর তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য গত মঙ্গলবার রাতে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে গেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় এই তারাকা।
দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, থাইল্যান্ডে যাওয়ার পর সেখানকার চিকিৎসকরা একটা গাইডলাইন দিয়েছে। থাইল্যান্ডের চিকিৎসকরা চাইছেন সেখানেই যাতে ফিজিওথেরাপি করেন। এখন যদি সেটা বাংলাদেশের করা সম্ভব হয় তবে আমরা চাইব সাকিবকে দেশে ফেরাতে।
সাকিব যদি চোট কাটিয়ে খেলেনও তবে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, এখানে তিন ধরনের ব্যাপার রয়েছে। একটা হচ্ছে মেডিকেল দৃষ্টি, একটা ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য, আরেকটা হচ্ছে দলের চাহিদা।
দেবাশীষ মনে করেন, শুধু যে চিকিৎসার দৃষ্টিভঙ্গিতে ব্যাপারটা দেখা হবে তা নয়। কারণ দল এখন একটা ক্রান্তিকাল পার করছে। এখানে মেন্টর বা সিনিয়র হিসেবে সাকিবকে প্রয়োজন হতে পারে।
থেরাপি দেয়ার পর এক সপ্তাহের মধ্যে আঙ্গুলের অবস্থার উন্নতি ঘটলেও সাকিবের মাঠে নামতে নামতে অন্তত ১২ থেকে ১৪ মার্চ সময় লাগবে। ততদিনে নিদাহাস ট্রফি কার্যত শেষ হয়ে যাবে। হয়ত একটি ম্যাচে নিয়মিত অধিনায়কের দেখা মিলতেও পারে। সেটাও অনেক ‘যদি’, ‘কিন্তু’র ওপর নির্ভর করছে। মোটা দাগে কথা হলো, শ্রীলঙ্কায় তিন জাতি আসরও মিস করতে যাচ্ছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
ত্রিদেশীয় সিরিজকে সামনে রেখে ২ মার্চ থেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান কোচ কোর্টনি ওয়ালশের অধীনে প্রস্তুতি পর্ব শুরু করবে বাংলাদেশ শিবির। ৪ মার্চ কলম্বোর উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়বেন টাইগারা।
৮ মার্চ প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। প্রায় এক সপ্তাহ সময় থাকায় সেরে উঠার সম্ভনা রয়েছে। তাই এর আগেই সুস্থ হতে সাকিব চালিয়ে যাচ্ছিলেন জোর প্রচেষ্টা।
আরও পড়ুন:
- লরিয়াস অ্যাওয়ার্ড জিতলেন ফেদেরার-সেরেনা
- বিশ্বকাপে মেসিকে নিষিদ্ধের দাবি!
- ফিরেই নিজের জাত চেনালেন স্টোকস
ওয়াই/এএ