হার্টে রিং বা পেসমেকার নিয়ে ক্রিকেট ও ফুটবল খেলা কতটা নিরাপদ?

লাইফস্টাইল ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫ , ০৪:১৩ পিএম


হার্টে রিং বা পেসমেকার নিয়ে ক্রিকেট ও ফুটবল খেলা কতটা নিরাপদ?
ছবি: সংগৃহীত

হার্টে রিং বা পেসমেকার বসালে ক্রিকেট বা ফুটবল খেলা কতটা নিরাপদ, তা নির্ভর করে রোগীর শারীরিক অবস্থা, চিকিৎসকের পরামর্শ এবং খেলার ধরন ও তীব্রতার ওপর। হার্টে রিং পরানোর পরপরই উচ্চমাত্রার শারীরিক কার্যকলাপ ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, তবে ফিটনেস ফিরে এলে হালকা খেলাধুলার অনুমতি দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

হার্টে রিং পরানোর পর:
হার্টে রিং বা স্টেন্ট পরানোর পর প্রথম কয়েক সপ্তাহ ভারী শারীরিক পরিশ্রম করা নিষেধ, কারণ হার্ট তখনো সুস্থ হয়ে ওঠার প্রক্রিয়ায় থাকে। আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলজি (এসিসি) অনুযায়ী, যদি হার্টের অবস্থা স্থিতিশীল থাকে এবং চিকিৎসক অনুমতি দেন, তবে হালকা শারীরিক কার্যকলাপ (যেমন হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম) করা যেতে পারে।

তবে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল বা ক্রিকেট খেলার জন্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া অপরিহার্য, কারণ এই ধরনের খেলায় হঠাৎ দৌড়ানো, শরীরে ধাক্কা লাগা, এবং প্রচণ্ড শারীরিক চাপ হৃদযন্ত্রের ওপর অনেক চাপ সৃষ্টি করতে পারে, যা মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

বিজ্ঞাপন

হার্টে পেসমেকার থাকলে:
হার্টে পেসমেকার বসানো থাকলে উচ্চমাত্রার শারীরিক কসরত বা খেলা থেকে বিরত থাকা উচিত, কারণ অতিরিক্ত পরিশ্রম বা ধাক্কা ডিভাইসটির কার্যকারিতা নষ্ট করতে পারে। ব্রিটিশ জার্নাল অব স্পোর্টস মেডিসিনের মতে, ফুটবলে সরাসরি পেসমেকারের ওপর ধাক্কা লাগার সম্ভাবনা থাকে, যা বিপদজনক হতে পারে।

ক্রিকেট তুলনামূলকভাবে নিরাপদ হলেও, ফিল্ডিং করার সময় হঠাৎ আঘাত লাগার ঝুঁকি থাকে। তবে, চিকিৎসকের অনুমতি থাকলে ফিটনেস ট্রেনিং বা হালকা খেলাধুলা করা যেতে পারে।

প্রতিযোগিতামূলক খেলা:
হার্টে রিং বা পেসমেকার নিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট বা ফুটবল খেলা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এবং খেলার ধরন ও তীব্রতা বিবেচনা করে সীমিত মাত্রায় খেলাধুলা করা যেতে পারে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ধাপে ধাপে ফিটনেস অর্জন করা এবং হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে মাঠে নামা।

বিজ্ঞাপন

হৃদযন্ত্র হঠাৎ বন্ধ হলে:
হৃদযন্ত্র হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেলে (কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট) জীবন বাঁচানোর প্রক্রিয়া হচ্ছে কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর)। সঠিক সময়ে সিপিআর প্রয়োগ করা হলে জীবন রক্ষা সম্ভব। গবেষণা অনুযায়ী, সিপিআর ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে শুরু করা গেলে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। ২ মিনিটের মধ্যে সিপিআর শুরু করলেও সুফল পাওয়া যায়।

সিপিআর এর পাশাপাশি অটোমেটেড এক্সটার্নাল ডিফিব্রিলেটর (এইডি) ব্যবহার করলে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ৫০-৭০% বৃদ্ধি পেতে পারে। সিপিআর শুরু না করলে মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাবে স্থায়ী ক্ষতির ঝুঁকি বেড়ে যায়। এটি ১০ মিনিট পর শুরু করলে রোগীকে বাঁচানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।

প্রতি মিনিট দেরি হলে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ১০% কমে যায়, তাই হৃদযন্ত্রের বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব সিপিআর প্রয়োগ করা জরুরি।

আরটিভি/জেএম

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission