কপালে টিপ পরা নিয়ে এক শিক্ষিকাকে হেনস্তার ঘটনায় বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্য নাজমুল তারেক নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
নাজমুল তারেক বলেন, চাকরিরত থাকায় আমি কোনো কথা বলতে পারিনি। কোনো তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, গত ২ এপ্রিল রাস্তায় প্রচণ্ড যানজট থাকায় আমি উল্টোপথে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলাম। পথে দুর্ঘটনাবশত আমার মোটরসাইকেলের লুকিং গ্লাসের সঙ্গে ওই নারীর ধাক্কা লাগে। তখন তিনি গালাগাল শুরু করলে আমি ক্ষমা চেয়ে চলে যেতে চাইলে আমার ইউনিফর্মের একাংশ ধরে টান দিলে আমি মোটরসাইকেলসহ পড়ে যাই। সেখান থেকে চলে আসার পর জানতে পারি, তিনি টিপকাণ্ড সাজিয়ে আমার বিরুদ্ধে জিডি করেছেন। যদিও পরে পুলিশের তদন্তে টিপ পরায় কটূক্তির প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আমি নির্দোষ।
তিনি আরও বলেন, ওই দিনের ঘটনার সংশ্লিষ্ট ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করুক, যাতে আমার অপরাধের প্রমাণ হয়। আর অপরাধ প্রমাণে ব্যর্থ হলে যিনি অভিযোগ করেছেন তাকে বিচারের আওতায় আনা হোক।
নাজমুল তারেক বলেন, ট্রাফিক আইন ভাঙার কারণে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হতে পারে। কিন্তু চাকরি চলে যেতে পারে না।
উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিলে রাজধানীর ফার্মগেটে তেজগাঁও কলেজের প্রভাষক লতা সমাদ্দার টিপ পরা নিয়ে হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলে পুলিশ সদস্য নাজমুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। পরে এ ঘটনায় নাজমুল তারেককে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।