গুলশানে জোড়া খুন, সন্দেহের তীর অজ্ঞাত কর্মচারীর দিকে
রাজধানীর গুলশানে একটি চায়ের দোকানের ভেতরে মো. রফিক (৬২) ও মো. সাব্বির (১৬) নামে দুজনকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় দোকানের এক কর্মচারীকে সন্দেহ করছে পুলিশ। তাদের ধারণা, তার সন্ধান পাওয়া গেলেই উন্মোচন করা সম্ভব হবে হত্যার রহস্য। অবশ্য এখন পর্যন্ত সন্দেহভাজন ওই কর্মচারীর নাম-পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইতোমধ্যে মামলা হয়েছে গুলশান থানায়। নিহত মো. রফিকের ছেলে বাপ্পি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।
গুলশান থানা সূত্রে জানা যায়, গুলশান-২ এ অবস্থিত চায়ের দোকানটির মালিক ছিলেন মো. রফিক। সেই দোকানের কর্মচারী সাব্বির। তবে কিছুদিন আগে ওই দোকানে নতুন করে আরেক ছেলেকে কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। ঘটনার পর থেকে নতুন নিয়োগ হওয়া ওই কর্মচারী পলাতক রয়েছে। সেই সূত্র ধরে পুলিশ ধারণা করছে, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ওই কর্মচারীর যোগসাজশ থাকতে পারে। তবে পুলিশ এখন পর্যন্ত তার নাম-পরিচয় জানতে পারেনি। তাকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালানো হচ্ছে। পুলিশের ধারণা, তাকে গ্রেপ্তার করতে পারলেই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা যাবে।
এ বিষয়ে রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদ আহমেদ বলেন, রফিকের ছেলে মো. বাপ্পী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে ও হত্যারহস্য উদঘাটনে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ। একজনকে সন্দেহ করা হচ্ছে যিনি ওই দোকানে কর্মচারী হিসেবে নতুন যোগ দিয়েছিলেন। তিনি কার মাধ্যমে যোগ দিয়েছিলেন তাকেও শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা গেলে হত্যার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।
এর আগে, শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) তিনি বলেছিলেন, গুলশান-২-এ দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে দাঁড়ালো অস্ত্র দিয়ে তাদের কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তাদের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
আরটিভি/এসএইচএম
মন্তব্য করুন