দখলদার ইসরায়েলি বাধায় ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিমতীরে যেতে পারলেন না ছয়টি আবর দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
পশ্চিমতীরের রামাল্লায় যেতে পারলে রোববার (১ জুন) সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, তুরস্ক মিসর ও জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রীরা ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠক করতেন।
তবে শনিবার (৩১ মে) এক বিবৃতিতে জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাধার কারণে তাদের বৈঠকটি বাতিল করা হয়েছে।
এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ইসরায়েলি সরকারের ঔদ্ধত ফুটে উঠেছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে জানানো হয়, দখলদার ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিমতীরের আকাশসীমা ব্যবহার করতে না দেওয়ায় মিসর, জর্ডান, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মন্ত্রীরা তাদের সফর বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন।
এরআগে, দখলদার ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছিলেন, পশ্চিমতীরে আরব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক তারা হতে দেবেন না। তাদের আশঙ্কা, এটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে কাজ করবে।
সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলকে একটি সূত্র জানিয়েছিল, সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান যদি পশ্চিমতীরে রোববার যেতেন, তাহলে সেখানে এটি ১৯৬৭ সালের পর সৌদির কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম সফর হতো। ওই বছর আরব যুদ্ধের পর পশ্চিমতীর দখল করে নেয় ইসরায়েল।
সূত্রটি আরও জানায়, আরব পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের হেলিকপ্টারে জর্ডান থেকে রামাল্লায় আসার কথা ছিল। কিন্তু এখন জানা গেলো দখলদার ইসরায়েল আকাশসীমায় তাদের হেলিকপ্টার যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার নিজের মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠক করেন দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় আরব মন্ত্রীদের বৈঠকটি হতে দেওয়া হবে না।
প্রসঙ্গত, গাজা যুদ্ধ শুরুর আগে সৌদি আরবের ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়ার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। তবে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান স্পষ্ট করেছেন, একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেবে না রিয়াদ।
আরটিভি/কেএইচ