রাজধানীর দক্ষিণখান থানার ট্রান্সমিটার মোড়ের বাসিন্দা প্রতিবন্ধী যুবকের ব্যবসা দখলসংক্রান্ত মানববন্ধনের সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিককে হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই নেতার নাম আল আমিন সরকার ওরফে শামীম আল মামুন। তিনি ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক। এরই প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন উত্তরা প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকরা।
মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকাল ৫টার দিকে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের খালপাড়ে অবস্থিত উত্তরা প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তারা অভিযুক্ত বিএনপি নেতা আল আমিন সরকার ও তার ভাই মইম সরকারকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
মানববন্ধনে সাংবাদিক নেতারা বলেন, ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আল আমিন ২০১৬ সালে তার নিজ দোকান থেকে ইয়াবাসহ আটক হয়ে প্রায় ৫ মাস জেল খাটেন। ৫ আগস্টের পর বিএনপির পদ ব্যবহার করে এলাকায় নতুন বিল্ডিংয়ে মালামাল সরবরাহ, ময়লা, ডিস ইন্টারনেটের ব্যবসা দখলে নেন। সিনিয়র নেতাদের মদতে এসব অপকর্ম করেন আল আমিন সরকার।
মানববন্ধনে উত্তরার বসবাসরত অন্তত অর্ধশতাধিক গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগের বিষয়ে জানতে আল আমিন সরকারকে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি।
জানা গেছে, সম্প্রতি দক্ষিণখানের ফায়দাবাদ এলাকায় বিএনপি নেতা আল আমিন সরকারের বিরুদ্ধে নাহিদ নামের এক প্রতিবন্ধী যুবক তার পরিচালিত ইট-পাথরের ব্যবসা দখলের অভিযোগ এনে মানববন্ধন করেন। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি ফেসবুকে শেয়ার দেন উত্তরা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি বদরুল আলম মজুমদার।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মব সৃষ্টি করে ওই সাংবাদিককে মেরে ফেলার অডিও পাঠান বিএনপি আল আমিন সরকার ও তার অনুসারীরা। সেইসঙ্গে ফেসবুকে বিভিন্ন ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে সাংবাদিক বদরুল আলম মজুমদারের বিরুদ্ধে নানা অপতথ্য ছড়ান আল আমিনের অনুসারীরা।
আরটিভি/এফএ-টি