রাজধানীর হাজারীবাগে বিদেশ যাওয়া নিয়ে ঝগড়ার জেরে বাহারুল ইসলাম রাসেল (২২) নামে এক যুবকের প্রাণ গেছে তার বাবার ছুরিকাঘাতে। ঘটনার পর থেকে পলাতক জুয়েল রানা নামে ওই বাবা।
শনিবার (১৪ জুন) রাত ১১ টার দিকে হাজারীবাগের ঝাউচর আমলা টাওয়ারের গলিতে মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ১১ টার দিকে মুমূর্ষ অবস্থায় রাসেলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত রাসেলের মামা হুমায়ুন জানান, রাসেলের মা শাহনাজ বেগম জর্ডান প্রবাসী। কথা ছিল ছেলে রাসেলকে কিছুদিনের মধ্যেই জর্ডানে নিয়ে যাবেন তিনি। এজন্য রাসেলের পাসপোর্টও প্রস্তুত করা হয়েছিল। কিন্তু, রাসেলের বাবা জুয়েল রানাও বিদেশ যেতে চাইছিলেন। কে আগে যাবে; বাবা না ছেলে, এই বিষয় নিয়েই কথা কাটাকাটি থেকে ঝগড়া শুরু হয় তাদের মধ্যে। এ অবস্থায় শাহনাজ বেগম চাইছিলেন ছেলেকে আগে নিয়ে তারপর স্বামীকে নিতে। কিন্তু, শাহনাজ বেগমের এমন ইচ্ছা জানার পর রেগে যান তার স্বামী জুয়েল রানা। দুদিন আগে শাহনাজ বেগমকে মোবাইলে ডিভোর্স দেন তিনি। এতেও ক্ষোভ শেষ হয়নি তার। শনিবার রাতে হাজারীবাগের বাসায় ফিরে ছেলে রাসেলকে ধারালো ছুরি দিয়ে বুকে আঘাত করে বলতে থাকেন, ‘তোর মা আমাকে না নিয়ে তোকে জর্ডানে নিয়ে যাবে, যা তোকে একবারে পাঠিয়ে দিলাম।’
ঘটনার পর সেখান থেকে পালিয়ে যান জুয়েল রানা। পরে রাসেলের মামা ও স্বজনরা বিষয়টি জানতে পেরে মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে পৌঁছান। কিন্তু, জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানান, রাসেল আর বেঁচে নেই।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক জানান, মরদেহটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি হাজারীবাগ থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।
আরটিভি/এসএইচএম