ভিন্ন রকমের এক হোটেল, যেখানে খাওয়ানো হয় ফ্রি, তবে সবার জন্য নয়, শুধু মাত্র পবিত্র কোরআনের হাফেজসহ আলেমদের জন্য। হোটেলের সামনে সাইনবোর্ড টানানো আছে এখানে কোরআনের হাফেজদেরকে ফ্রি খাওয়ানো হয়। প্রতিদিনই অসংখ্য মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষককে ফ্রি খাবার খাওয়াচ্ছেন এক কোরআন প্রেমিক হোটেল মালিক পরিবার। বিষয়টি এলাকায় এখন বেশ আলোচিত।
জানা গেছে, প্রায় চার বছর আগে কুমিল্লা উত্তর জেলা সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা লিটন সরকার ও তার ভাগ্নে মিলে ‘মামা-ভাগিনা’ হোটেল নামে একটি খাবারের দোকান খোলে। জেলার দেবিদ্বার উপজেলার বাগুর বাসস্ট্যান্ডে আলোচিত এই মামা-ভাগিনা হোটেলের অবস্থান। পরে লিটন সরকারের এক ভাগ্নে কোরআনে হাফেজ বানানোর উদ্দেশ্যে হাফেজিয়া মাদরাসায় দিয়ে দেন। এরপর থেকেই বিভিন্ন আলেম-ওলামাদের সঙ্গে চলাফেরা শুরু করেন তারা। এতে হাফেজদের প্রতি বেড়ে যায় তাদের আন্তরিকতা।
এরই মাঝে গত পাঁচ মাস আগে মামা-ভাগ্নে মিলে সিদ্ধান্ত নেন হোটেলে প্রতিদিন কিছু হাফেজদেরকে ফ্রি খাওয়ানোর। প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ২০ জন কোরআনে হাফেজকে ফ্রি খাওয়াচ্ছেন এই হোটেল মালিকরা। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বেশ আলোচনার জন্ম দেয়। এদিকে ওই হোটেলে হাফেজদেরকে ফ্রি খাওয়ানো হয় এমন খবর পেয়ে প্রতিদিনই আশপাশের প্রায় ১২টি মাদরাসা থেকে দুয়েকজন করে হাফেজ ফ্রি খেয়ে যাচ্ছেন হোটেল থেকে।
হোটেল মালিক লিটন সরকার আরটিভি নিউজকে বলেন, আমার বোনের জামাই এবং ভাগ্নেকে নিয়ে চার বছর আগে হোটেলটি চালু করি। আমি রাজনৈতিক এবং সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে হোটেলে তেমন সময় দিতে পারি না। আমার এক ভাগ্নেকে হাফেজি মাদরাসায় ভর্তি করা হয়। তারপর থেকেই হাফেজদের প্রতি আন্তরিকতা বেড়ে যায়। পরে আমরা মিলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি প্রতিদিন কিছু হাফেজকে ফ্রি খাবার দেবো। এরপর থেকে গত ৪ মাস যাবত আমরা এ কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। এ বিষয়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ওমানী আরটিভি নিউজকে বলেন, লিটন সরকার একজন করোনা যোদ্ধা, সামাজিক কর্মকাণ্ডেও রয়েছে তার অনেক অবদান। সবশেষ তিনি যে মহৎ কাজটি চালিয়ে যাচ্ছেন এতে তাকে নিয়ে গর্ব না করে পারছি না।
এমআই/এসকে
