পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নে পায়বা সমুদ্রবন্দরের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ করছে সরকার। এখানে দুই গ্রামের ১৭২ পরিবার দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে বসবাস করত।
এখন ১০৬টি পরিবারকে মহল্লাপাড়া ২নং প্যাকেজে আবাসন ঘর দেওয়া হয়েছে। বাকি ৬৬ পরিবারকে অন্যত্র আবাসন ঘর দেওয়ার কথা রয়েছে। ওই পরিবারগুলোর দাবি তাদের যদি মহল্লাপাড়া ২নং প্যাকেজে আবাসন ঘর দেওয়া হয় তাহলে তারা আগের মতো একসঙ্গে আত্মীয় স্বজন, প্রতিবেশী নিয়ে শান্তিতে বসবাস করতে পারবেন। ৬৬টি পরিবার এখন পর্যন্ত ঘর না পেয়ে বেড়িবাঁধের ওপর অসহায় জীবন-যাপন করছেন।
সরেজমিনে গিয়ে ঘুরে দেখা যায়, কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের দুই গ্রামের ১৭২ পরিবারের মধ্য নয়াকাটা গ্রামের ৫৭ পরিবারের ২৯ পরিবারকে মহল্লা পাড়া ২নং প্যাকেজে আবাসন ঘর দেওয়া হয়েছে বাকি ২৮টি পরিবারকে অন্যত্র আবাসন ঘর দিতে চাচ্ছেন, চৌধুরী পাড়া গ্রামের ১১৫ পরিবারের ৭৭টি পরিবার ঘর পেয়েছে বাকি ৩৮টি পরিবারকে অন্য প্যাকেজে ঘর দিতে চায় পায়রাবন্দর কর্তৃপক্ষ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথায় দীর্ঘ বছর ধরে বসবাস করা বাবা-দাদার ভিটাবাড়ি সব দিয়েছেন পায়রা সমুদ্র বন্দরের জন্য। ৬৬টি পরিবার এখন বেড়িবাঁধের ওপর অসহায় জীবন যাপন করছেন। তাদের দাবি দীর্ঘ বছর ধরে সুখ, দুঃখে এক সঙ্গে ছিল। বাকি জীবন একসঙ্গে থাকতে চায়। সরকার তাদের সবাইকে যদি মহল্লাপাড়া ২নং প্যাকেজে আবাসন ঘর দেয় তাহলে তারা সবাই আগের মতো একসঙ্গে বসবাস করতে পারবে। মহল্লাপাড়া ২নং প্যাকেজে ঘর খালি থাকা স্বত্বেও তাদেরকে অন্য প্যাকেজে ঘর দিলে সেখানে বসবাস করতে কষ্টকর হবে।
বেড়িবাঁধের ওপর আশ্রয় নেওয়া মোসা. রেশমা বেগম বলেন, আমার দুই সন্তান নিয়ে আমি একা ছিলাম। এখানে বিপদের সময় সকলকে পেয়েছি। মহল্লাপাড়া ২নং প্যাকেজে ঘর পাইলে সবাইকে পাবো। যদি অন্য কোথাও ঘর দেয় সেখানে থাকব কীভাবে?
বেড়িবাঁধের ওপর আশ্রয় নেওয়া মরিয়ম বিবি, মিনারা বেগম, শেফালি বেগম বলেন, ‘আমরা দুই গ্রামের মানুষ মিলেমিশে একত্রে ছিলাম। বাকি জীবনটা একসঙ্গে থাকতে চাই। মহল্লাপাড়া ২নং প্যাকেজে আমরা থাকতে চাই।
এ প্রসঙ্গে লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস বলেন, মহল্লাপাড়া ২নং প্যাকেজে যদি ঘর থাকে তাহলে তাদেরকে সেখানে দেওয়া হোক। কারণ, তারা ৬০ বছর ধরে একত্রে বসবাস করে আসছে।
জিএম/টিআই