কুষ্টিয়ার কুমারখালীর পান্টিতে একটি প্রাথমিক স্কুলের পরিচালনা পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের লোকজনদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৬ জন আহত হয়েছে।
গতকাল রোববার নির্বাচন হলেও সোমবার (২১ মার্চ) দুপুরে এই সংঘর্ষ হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাহিদ হোসেন জাফর গ্রুপের সঙ্গে পান্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামিউর রহমান সুমন মিয়া গ্রুপের লোকজনদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। নির্বাচনে সুমন মিয়া গ্রুপ জয়ী হয়। সেটা নিয়ে উত্তেজনা ছিলই।
সোমবার দুপুরে স্থানীয় সান্দিয়ারা বাজারে বীর মুক্তিযোদ্ধা শরিফুল ইসলাম দুলালের সঙ্গে প্রতিপক্ষের লোকজনের কথা-কাটাকাটি হয়। পরে সেটি সংঘর্ষে রূপ নেয়।
সান্দিয়ারা বাজার ও বশীগ্রাম ব্রিজ এলাকায় ছড়িয়ে পড়া এই সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্র, রামদা, ঢাল, লাঠিসোটা, ইট পাটকেল নিয়ে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। এ সময় দুই পক্ষের অন্তত ৬ জন আহত হয়। কুমারখালী ও কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে তাদরকে ভর্তি করা হয়েছে।
সংঘর্ষের পর উভয়ে প্রতিপক্ষের বাড়িঘর ভাঙচুর চালায় ও দোকানপাটে লুটপাট চালায় বলে অভিযোগ করেন।
আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদ হোসেন জাফর দাবি করেন, সুমনের পক্ষের লোকজনের হামলায় তাদের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।
সামিউর রহমান সুমন মিয়ার দাবি, তাদের ১০ জন আহত হয়েছে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান জানান, তারা আটজনের আহত হওয়ার খবর পেয়েছেন। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে।