নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে জুতার মালা পরানোর ন্যক্কারজনক ঘটনায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন একই কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও বিছালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আক্তার হোসেন। এ ঘটনায় তাকে জড়ানোর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।
-
আরও পড়ুন... ছাত্রলীগ নেত্রীকে নেতার কুপ্রস্তাব
গতকাল শনিবার (২ জুলাই) দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি করেন অধ্যাপক মো. আক্তার হোসেন।
সেদিনের ভূমিকা স্পষ্ট করতে গিয়ে তিনি বলেন, সরকারদলীয় ইউনিয়ন প্রধান ও কলেজের একজন দায়িত্বশীল শিক্ষক হওয়ার সুবাদে সরকারের অংশ হিসেবে সেদিনের সেই সংকটময় পরিস্থিতিতে প্রশাসনের সঙ্গে তিনিও নিজের জীবন বাজি রেখে উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন; যার ফলশ্রুতিতে সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, অপরিসীম ধৈর্য ও সহনশীলতায় রক্তপাত ও প্রাণহানি ছাড়াই এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়।
তিনি বলেন, সেদিনের ভিডিও ফুটেজ তার প্রমাণ। অথচ, তার সামাজিক মানমর্যাদা ও দলীয় পদ-পদবি নিয়ে ঈর্ষান্বিত মহল অধ্যক্ষকে অপদস্তের অত্যন্ত লজ্জাজনক ঘটনায় তাকে জড়ানোর হীন ষড়যন্ত্রে মেতেছে।
এর কারণ হিসেবে সহকারী অধ্যাপক আক্তার হোসেন বলেন, কলেজের ওই ঘটনার পরদিন ১৯ জুন নড়াইল-১ আসনের সংসদ সদস্য বি এম কবিরুল হক কলেজ পরিদর্শনে এসে এলাকায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বজায় রেখে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার সহাবস্থান নিশ্চিতে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সেখানে একপর্যায়ে তাকে কলেজ অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তাব ওঠে। এরপরই অধ্যক্ষ স্বপন কুমারকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় তাকে জড়ানোর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে বলে উল্লেখ করে আক্তার হোসেন এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। এ সময় তিনি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক হিসেবে, তার প্রাণপ্রিয় সংগঠন আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতে নিজের জীবন বাজি রাখার প্রত্যয় জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ ও এর অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী ও এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
-
আরও পড়ুন... মুহূর্তেই যমুনা নদীতে ভেঙে পড়ল স্কুল
গত ১৮ জুন মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ওই ঘটনায় আক্তার হোসেনের জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাকে সভাপতি পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি ও কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলন করেন আক্তার হোসেন।