কুষ্টিয়ার শহরতলীর মঙ্গলবাড়িয়া এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে বাবা ও তার ৭ বছরের ছেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের মঙ্গলবাড়িয়া এলাকার সেলিমের বাড়ি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
মৃতরা হলেন- কুষ্টিয়ার পশ্চিম মজমপুর গ্রামের রেজাউল করিম ওরফে মধু (৩৮) ও তার একমাত্র ছেলে মুগ্ধ (৭)।
জানা গেছে, কয়েক বছর আগে মুসলিম ধর্মের শেফালীর সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করে ধর্মান্তরিত হন রেজাউল করিম। এর আগে তার নাম ছিল মধুসূদন রায়। তিনি শহরের আলফার মোড়ে স্বর্ণকারের কাজ করতেন।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর ধারণা করছেন, ছেলে মুগ্ধকে হত্যার পর আত্মহত্যা করতে পারেন মধু।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ধর্মান্তরিত হওয়ার পর রেজাউল জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম সংশোধন করতে গিয়ে বেশ জটিলতায় পড়ায় ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করাতে পারছিলেন না। সেই ক্ষোভ ও হতাশায় তিনি এ পদক্ষেপ নিতে পারেন।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সময় তার স্ত্রী শেফালী আলফার মোড় এলাকায় বাবার বাড়িতে ছিলেন। বিকেলে বাসায় ফিরে তিনি দুজনের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান তিনি। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
শেফালী খাতুন বলেন, এদিন সকালে আমার বাবার বাড়ি থেকে মুগ্ধকে স্কুলে ভর্তি করানোর কথা বলে আমার স্বামী নিয়ে আসে। এরপর দুপুরে অনেকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে বাসায় এসে দেখি ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ। পরে জানালা ভেঙে তাদের দুজনের ঝুলন্ত মরদেহ দেখি। ঘটনার কারণ আমি জানিনা।
কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, এখনই নিশ্চিত করে কিছুই বলা যাচ্ছে না। আত্মহত্যা ও হত্যা দুটি হতে পারে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। ছেলেকে হত্যার পর মধু আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।