ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করা শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনকে কুষ্টিয়া শহরের যে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেই বাড়ি ভাড়া করে দেন শাহীন নামে একজন। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।
জানা গেছে, কুষ্টিয়া শহরের কালিশংকরপুর এলাকার এই বাড়ি থেকে ৯০ দশকের আলোচিত সন্ত্রাসী সুব্রতকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনী। এ সময় দুটি পিস্তল, ৪টি ম্যাগাজিন ও ১০ রাউন্ড গুলিসহ সুব্রত বাইনের অন্যতম সহযোগী মোল্লা মাসুদকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ভোর থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত কুষ্টিয়া শহরের কালিপুর শংকরপুর এলাকার একটি তিন তলা বাসার নিচ তলার ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বেশ কিছুদিন আগে ওই বাসার পাশের বাসার এক ব্যাক্তি মোহাম্মদ শাহিন নামে ছাত্রাবাসের নিচ তলার একটি কক্ষ ভাড়া নেন। বলেন আমার এক আত্মীয় থাকবে, টুকটাক ব্যবসা করবে। আজকের অভিযানের সময় থেকে আর শাহীনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। শাহীন কী করেন, তাও কেউ বলতে পারেনি। শাহীনের বাসায় কেউ নেই।
তবে এই অভিযানের বিষয়ে কুষ্টিয়ার পুলিশ ও সেনাবাহিনী কোনো বক্তব্য বা বিবৃতি দেয়নি।
শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের বিরুদ্ধে ঢাকায় কমপক্ষে ৩০টি খুনের মামলা রয়েছে। ২০০৩ পর্যন্ত সুব্রত বাইন ছিলেন ঢাকার অপরাধ জগতের প্রভাবশালী চক্র সেভেন স্টার গ্রুপের প্রধান। ১৯৯১ সালে ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় জাসদ ছাত্রলীগ নেতা মুরাদকে হত্যার মধ্য দিয়ে নামকরা সন্ত্রাসী হিসেবে সুব্রত বাইনের অভিষেক হয়। তিনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।
২০০১ সালে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় যে ২৩ জন শীর্ষ সন্ত্রাসীকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেছিল, সুব্রত বাইন তাদের অন্যতম। পুলিশের হাতে আটক হওয়া এড়াতে তিনি ২০০৩ সালে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান।
আরটিভি/এএএ-টি