গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বাড়ি ফাঁকা পেয়ে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা ও নারী অভিভাবকদের বিভিন্ন সময় স্কুল কক্ষে ডেকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন গ্রামবাসী।
বুধবার (৫ জুন) সকালে উপজেলার খলিশাজানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গনে স্থানীয় গ্রামবাসী এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন।
মানববন্ধন সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ মে সকাল ১০টায় ওই এলাকায় এক গৃহবধূকে স্কুল চলাকালে লোক মারফত ডেকে কক্ষের ভেতরে নিয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে হাত ধরে টানাহেঁচড়া করার চেষ্টা করেন। এ সময় কক্ষ থেকে বের হয়ে ওই গৃহবধূ বাড়িতে চলে যান। ফের ২৩ মে বিকেলে ওই শিক্ষক গৃহবধূর বাড়িতে যান। বাড়ি ফাঁকা পেয়ে ঘরের ভেতরে ঢুকে ধর্ষণ করার উদ্দেশ্যে ধস্তাধস্তি শুরু করেন। একপর্যায়ে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। তার চিৎকারে আশেপাশের লোক ছুটে আসলে ততক্ষণে ওই গৃহবধূকে হত্যার হুমকি দিয়ে শিক্ষক ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যান। এর আগেও তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে জানান গ্রামবাসী। ওই ঘটনায় গৃহবধূ শিউলি আক্তার বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
খলিশাজানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল আলিম জানান, ওই গৃহবধূ আমার স্কুলের কোনো অভিভাবক নন। এবং আমি তাকে কুপ্রস্তাব দেইনি। আমাকে হেয় করার জন্য এ অভিযোগ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে কালিয়াকৈর থানা অধীনস্থ ফুলবাড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সোহেল মোল্লা জানান, ওই ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ সময় মানববন্ধন বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় দুলাল মিয়া, সবুজ মিয়া, মিলন মাহমুদসহ প্রমুখ। বক্তারা শিক্ষককে ওই স্কুল থেকে অবিলম্বে বহিষ্কার করার দাবি জানান।