নকলে বাধা দেওয়ায় শিক্ষকের মাথায় পচা ডিম ভেঙে লাঞ্ছিত
পরীক্ষার হলে নকল করতে না দেওয়ায় মাথায় পচা ডিম ভেঙে গোপালগঞ্জের সরকারি শেখ ফজিলাতুন্নেছা মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মৃণাল বিশ্বাসকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ ক্যাম্পাসে লাঞ্ছিত করার এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মোহাম্মদ আনিছুর রহমান।
জানা যায়, এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই ৪ পরীক্ষার্থীকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন সহকারী অধ্যাপক মৃণাল বিশ্বাস।
এ দিকে শিক্ষক লাঞ্ছিতের এমন ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও এতে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন জেলার শিক্ষক সমাজ ও শিক্ষার্থীরা।
ভুক্তভোগী সহকারী অধ্যাপক মৃণাল বিশ্বাস বলেন, ‘সেদিন সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের শিক্ষার্থীদের অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। গত ১২ জুন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা চলাকালে ৪০৮ নম্বর কক্ষের পরীক্ষার্থী আল মামুন মুন্সী, মো. হাফিজুর রহমান মিনা, লিটন মোল্লা ও নজরুল ইসলাম দেখাদেখি ও কথা বলাবলি করে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। তখন আমি তাদের বারবার সতর্ক করি। এতে ওই শিক্ষার্থীরা আমার সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এবং পরীক্ষা শেষের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন আমাকে।’
মৃণাল বিশ্বাস আরও বলেন, ‘১ জুলাই শেষ হয় চতুর্থ বর্ষের অনার্স পরীক্ষা। পরীক্ষার দায়িত্ব পালন শেষে শহরের উদয়ন রোডের বাসায় যাচ্ছিলেন। বঙ্গবন্ধু কলেজ ক্যাম্পাস অডিটোরিয়াম সড়কে পৌঁছানো মাত্র তাকে পেছন থেকে আঘাত করে মাথায় পচা ডিম ভেঙে লাঞ্ছিত করে ওই পরীক্ষার্থীরা।’
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ শেখ বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি করছি।’
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনিছুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার দিন রাতে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা সেটিকে আমলে নিয়ে রাতেই অভিযান চালিয়েছিলাম। এটি একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা। দ্রুতই আমরা দোষীদের গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
মন্তব্য করুন