প্রবাসে মাঙ্কিপক্সে বাংলাদেশির মৃত্যু, স্বাস্থ্যবিধি মেনে কুমিল্লায় দাফন
সংযুক্ত আরব আমিরাতে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া প্রবাসী কামাল হোসেনের (৩৮) মরদেহ নিজ গ্রাম কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে দাফন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে লাশটি দাফন করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
কামাল হোসেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের মেসতলা গ্রামের নজির আহমেদের ছেলে। এর আগে, বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাতে তার মরদেহ ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। গত ৩ সেপ্টেম্বর আরব আমিরাতে তার মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, প্রায় ৭ বছর আগে কামাল হোসেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাড়ি জমিয়েছিলেন। সেখানে একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন তিনি। মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হওয়ার পর গত ৩০ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ শহরের একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। কামাল হোসেনের দুই মেয়ে রয়েছে।
কামাল হোসেনের বাবা বলেন, প্রশাসনের নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ঢাকা থেকে আজ সকাল ৭টা ২০ মিনিটে মরদেহ বাড়িতে এসে পৌঁছায়। পরে প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী সকাল আটটায় গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে লাশ দাফন হয়েছে। ছেলেটাকে এভাবে বিদায় দিতে হবে কখনো ভাবেননি।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া কামাল হোসেনের মরদেহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী দাফন করা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত থেকে সার্বিক বিষয়ে খেয়াল রাখা হয়েছে কেউ যেন স্বাস্থ্যবিধি অমান্য না করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া বলেন, মাঙ্কিপক্স একটি ভাইরাসজনিত ছোঁয়াছে রোগ। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি। কামাল হোসেনের পরিবারের আট সদস্যকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ টি এম আক্তার উজ জামান বলেন, কামাল হোসেনের মরদেহ দাফনের বিষয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী কঠোর নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই দাফন করা হয়েছে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ছাড়াও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরটিভি/এমএ/এআর
মন্তব্য করুন