আলু চাষের জন্য খেলার মাঠ প্রস্তুত করলেন মাদরাসা সুপার

আরটিভি নিউজ

সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ , ০২:১৪ পিএম


আলু চাষের জন্য খেলার মাঠ প্রস্তুত করলেন মাদরাসা সুপার

ভোলার চরফ্যাশনে ওসমানগঞ্জ ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা মাঠে আলু চাষের অভিযোগ উঠেছে ওই মাদরাসা সুপার মাওলানা আবদুল বাতেন ও জমিদাতার ছেলে গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে। খেলার মাঠে আলু চাষের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জেলাজুড়ে এ ঘটনায় নিন্দার ঝড় ওঠে। 

সম্প্রতি সময়ে ট্রাক্টর দিয়ে ওই মাদরাসা মাঠে আলু চাষের জন্য প্রস্তুত করা হলে গ্রামজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। তার মনগড়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ। মাদরাসা মাঠে আলু চাষ করায় খেলাধুলা বঞ্চিত হচ্ছে ওই মাদরাসার অধ্যয়নরত প্রায় পাচঁশত শিক্ষার্থী।

বিজ্ঞাপন

বর্তমানে প্রায় ৫ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করছেন মাদরাসাটিতে। গত বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে অধ্যক্ষ আব্দুল বাতেন মাদরাসার খেলার মাঠটি ট্রাক্টর দিয়ে আলু চাষের উদ্দেশ্যে প্রস্তুত করেছেন। এতে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওসমানগঞ্জ আইডিয়াল দাখিল মাদরাসার কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের মাদরাসার সুপার (অধ্যক্ষ) এখানে নিজের মন মতো যা ইচ্ছে তাই করেন। এখন কোথাও খেলার মাঠ নেই। আমাদের মাদরাসার এতো সুন্দর মাঠটি উনি ট্রাক্টর দিয়ে নষ্ট করেছেন। শুনেছি আলু চাষের জন্য এমনটি করা হয়েছে। এখন আমাদের খেলার মাঠ নেই।

স্থানীয় বাসিন্ধরা জানান, প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ নিয়ে তিনি ব্যবসা করেন। এই মাঠে বর্ষার সিজনে ধান চাষ করা হয়েছে। এখন আলু চাষ করার জন্য ট্রাক্টর দিয়ে মাঠে চাষ দেওয়া হয়েছে। শিশু শিক্ষার্থীসহ ক্রীড়া প্রেমীদের খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত করার জন্যই মাদরাসার সুপার মাওলানা আবদুল বাতেন ও দাতা সদস্যের ছেলে গিয়াস উদ্দিন মাদরাসার মাঠে আলু চাষের সিদ্ধান্ত নেন। বিষয়টি স্থানীয় মানুষের দৃষ্টিতে পড়লে চাষ আবাদ বন্ধ করে দিবেন বলে জানান তিনি।

জমিদাতার ছেলে গিয়াস উদ্দিন জানান, মাঠের চার দিকে কিছু সৌন্দর্য বর্ধন গাছ লাগানো হয়েছে। বাহিরাগত ছেলেরা মাদরাসার খেলাধুলা করতে এসে গাছগুলো নষ্ট করে দেয়। তাই তারা গাছগুলো রক্ষা করতে মাঠটিতে মাটি খুড়েছেন। যাতে গরু ছাগল ও বহিরাগতরা এসে গাছগুলো নষ্ট করতে না পারে।

বিজ্ঞাপন

এই বিষয়ে ওসমানগঞ্জ ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা আবদুল বাতেন জানান, শিক্ষার্থীরা যাতে মাঠে খেলাধুলা না করতে পারে তাই মাঠ ট্রাক্টর দিয়ে চাষ দিয়েছে। তবে আলু চাষাবাদ করার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন জানান, মাদরাসা সুপার প্রতিষ্ঠানের মাঠে চাষ দিতে পারেন না। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আবুল হাছনাত জানান, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে কি কারণে প্রতিষ্ঠান সুপার খেলার মাঠ চাষ দিয়েছে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করলে জানা যাবে। 

আরটিভি/এফআই/এস

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission | powered by TechnoNext Software Limited.