শীতার্তদের মাঝে কম্বল পৌঁছে দিলেন এসিল্যান্ড
হঠাৎ করেই ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীত জেঁকে বসেছে সারা দেশে। শরীয়তপুর জেলার অবস্থা একই রকম। রোদের দেখা মেলে না দিনের কোন সময়। হতদরিদ্র অনেকে মোটা কাপড়ের অভাবে কাজে যেতে পারে না। আবার অনেকে বিকেল হলেই বাড়ি থেকে আর বাইরে বের হচ্ছে না।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাতে এই কনকনে শীতের মধ্যে নড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ পারভেজ বিভিন্ন রাস্তার ছিন্নমূল অসহায়, প্রতিবন্ধী ও উপজেলার বিভিন্ন এতিমখানায় এতিম শিশুদের মাঝে তিনশত কম্বল বিতরণ করেন। রাতে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে অসহায় এসব মানুষকে নিজের হাতে কম্বল দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখন তিনি আলোচনায়।
কম্বল পেয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী সিদ্দিক মোল্লা (৭০) বলেন, আগের বারের চেয়ে, এবার ঠাণ্ডা খুব বেশি পড়ছে। রাতে হইলে কনকনে ঠাণ্ডা পড়ে। ঠাণ্ডার কাপড় নাই বলে আগুন পুয়াই। কাপড় কিনার টাহাও নাই। প্রতিবন্ধী ভাতার টাহা দিয়ে খুব কষ্টে দিন যায়। এত দিন এই শীতে অনেক কষ্ট করি আছি। আমাগের এসিলেন্ড স্যার একটা কম্বল দিয়ে গেছে। এই কম্বল আমার খুব দরকার ছিল। আল্লাহ স্যারকে অনেক দিন বাচায় রাখুক।
কম্বল পেয়ে শুভ গ্রামের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কালু মিয়া (৬০) মুখে স্বস্তির হাসি দেখা গেল। তিনি বলেন, নদী ভাঙন এলাকায় আমাগের বাড়ি। এই জাড়ে একখান কম্বলের জন্য অনেকের কাছে গেছি। কেউ দেই নাই। আমাগের এসিলেন্ড আসে দিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে নড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ পারভেজ বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে। তিনি সমাজের বিত্তবানরা যারা আছেন তাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন-একটু এগিয়ে এসে অসহায়-গরিব মানুষেরা শীতের হাতে একটি শীতবস্ত্র তুলে দিই। তাহলে এসব মানুষ শীত থেকে রক্ষা পাবে।
আরটিভি/এএএ
মন্তব্য করুন