মেঘনায় মিলল নিখোঁজ চালকের হাত-পা বাঁধা মরদেহ
নরসিংদীর রায়পুরায় নিখোঁজের ৫ দিন পর হাবি মিয়া (৪৫) নামে এক ট্রলার চালকের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ-পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার নিলক্ষা ইউনিয়নের মেঘনা নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করে সদর উপজেলা করিমপুর নৌ ফাঁড়ি পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন করিমপুর নৌ-ফাঁড়ির ইনচার্জ সুব্রত কুমার পোদ্দার।
নিহত হাবি মিয়া (৪৫) নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের মুরাদনগর গ্রামের মালেক মিয়ার ছেলে এবং পেশায় একজন ট্রলার চালক ছিলেন।
এর আগে, গত ২১ জানুয়ারি নরসিংদী সদর থানায় হাবি মিয়ার নিখোঁজের বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ভুক্তভোগীর মামাতো ভাই নায়েব আলী মিয়া।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ জানুয়ারি সকালে ট্রলার নিয়ে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয় হাবি মিয়া। ওই দিন তার ব্যবহৃত ট্রলারটি পাওয়া গেলেও তিনি নিখোঁজ ছিলেন। ৫ দিন পর সোমবার সন্ধ্যায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় নিলক্ষা গ্রাম-সংলগ্ন মেঘনা নদীতে তার মরদেহ ভেসে ওঠে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করার পর পরিবারের সদস্যরা তাকে শনাক্ত করেন। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
ভুক্তভোগীর মামাতো ভাই নায়েব আলী মিয়া বলেন, গত ৫ আগস্টের পর আওয়ামী দোসররা প্রশাসনের হাত থেকে বাঁচার জন্য এলাকা ছেড়ে চলে যায়। আমি আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক পদে আছি। আমার সঙ্গে রাজনৈতিক মতবিরোধের ফলে আমার ভাইকে খুন করে থাকতে পারে। আমরা আশাবাদী, পুলিশ হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে বিচার নিশ্চিত করবে।
করিমপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সুব্রত কুমার পোদ্দার মুঠোফোনে বলেন, মরদেহটি পায়ে রশি দিয়ে বাঁধা ছিল, মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি একটি হত্যাকাণ্ড বলে মনে হয়েছে। ভুক্তভোগীর পরিবার এখনও থানায় মামলা দায়ের করেনি। মামলা দায়েরের পর পরবর্তী প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
আরটিভি/এমকে/এস
মন্তব্য করুন