কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে স্কুল কমিটি নিয়ে সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের হামলায় আশিক খাঁ নামে এক ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২২ মার্চ) দুপুরে উপজেলার মুমুরদিয়া ইউনিয়নের চাতল বাগহাটা স্কুল অ্যান্ড কলেজে কমিটি-সংক্রান্ত সভা চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আশিক খাঁ (২২) মুমুরদিয়া ইউনিয়নের চাতল গ্রামের আরব আলী খাঁর ছেলে এবং মুমুরদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও মালদ্বীপ প্রবাসী।
জানা গেছে, চাতল বাগহাটা স্কুল অ্যান্ড কলেজের এডহক কমিটি নিয়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নুরুজ্জামান চন্দন ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আশিকুজ্জামান নজরুলের লোকজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ পরস্পরকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এ সময় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে নুরুজ্জামান চন্দনের পক্ষের আশিক ও স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকসহ অন্তত চারজন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক আশিককে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় কটিয়াদী উপজেলার ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা মো. আশিক খাঁর মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে কটিয়াদী সরকারি হাসপাতাল থেকে বের হয়ে কটিয়াদী রিক্সামোড়, কলেজ রোড ও উপজেলা রোড হয়ে কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ড পেট্রোল পাম্প পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে মৃতদেহ নিয়ে কটিয়াদী মডেল থানায় নিয়ে যায়। এ সময় নেতাকর্মীরা আশিক হত্যায় জড়িতদের ফাঁসি দাবি করেন।
নিহতের মা রিতা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে যারা অকারণে মেরে ফেলেছে তাদের বিচার আল্লাহর কাছে চাই। আর মামলার করলেতো টাকা দিলেই সব শেষ। বিচার আর হয় না।
বিষয়টি নিয়ে কটিয়াদী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান কাঞ্চন বলেন, এ ঘটনা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির হলেও, যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা অপরাধী। কাজেই অপরাধীর কোনো ক্ষমা নাই, আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই ও অপরাধীর শাস্তি কামনা করছি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হোসেনপুর-কটিয়াদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তোফাজ্জল হোসেন নিহতের বলেন, স্কুল কমিটি নিয়ে সংঘর্ষের সুত্রপাত। এতে আশিক নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি এবং এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরটিভি/কেএইচ-টি