ঢাকাশনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫, ১৫ চৈত্র ১৪৩১

ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে খুলে দেওয়া হলো ৪ লেন

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫ , ০৮:৩৯ পিএম


loading/img
ছবি: আরটিভি

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো হচ্ছে মানুষ। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ আস্তে বাড়তে শুরু করছে। তবে এবারের ঈদযাত্রায় কিছুটা স্বস্তির খবর এসেছে এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পূর্ব পর্যন্ত সাড়ে ১৩ কিলোমিটার সড়কে। 

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৪ মার্চ) বিকেল থেকে এ সড়কটির চারটি লেনই খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে যানজট কমার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সাধারণ সময়ে এ মহাসড়কে প্রতিদিন ১৮ থেকে ২০ হাজার যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু ঈদের সময় এ সংখ্যা তিনগুণে গিয়ে দাঁড়ায়। উত্তরাঞ্চলের ২২ জেলার মানুষ এ সড়ক ব্যবহার করে তাদের গন্তব্যে পৌঁছে। 

বিজ্ঞাপন

ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী অরিন পরিবহনের যাত্রী লাবণী বলেন, গাড়ির চাপ এড়াতে আগেই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি। পরিবার নিয়ে ভোগান্তি এড়াতে আগেভাগে যাওয়াই ভালো মনে করছি।

একই পরিবহনের যাত্রী রাকিব বলেন, প্রতি বছর টাঙ্গাইল থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত পুরনো দুই লেনে তীব্র যানজট হতো। এবার নতুন লেন চালু হওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পারব বলে আশা করছি। 

রংপুরগামী একতা পরিবহনের যাত্রী নাসির বলেন, প্রতিবার ঈদের সময় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির কারণ হতো এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পূর্ব পর্যন্ত সাড়ে ১৩ কিলোমিটার রাস্তা। এবার এর দুই লেন খুলে দেওয়ায় যানজট কিছুটা কমবে বলে আশা করছি।

বিজ্ঞাপন

তবে অনেক যাত্রী অতিরিক্ত ভাড়ার অভিযোগ করছেন। এসআই পরিবহনের যাত্রী মো. শাহাদত হোসেন বলেন, সাধারণ সময়ে যেখানে ভাড়া ২০০ টাকা, সেখানে এখন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। প্রতিবাদ করলে বলে, যেতে চাইলে যান, না গেলে না যান।

প্রতিবারই ঈদযাত্রায় গলার কাটা হয়ে দাঁড়ায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পূর্ব পর্যন্ত সাড়ে ১৩ কিলোমিটার। তবে এবার যেন স্বস্তির নিশ্বাস ছাড়তে যাচ্ছে উত্তরের যাত্রীরা। এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পূর্ব পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্তকরণ কাজের একপাশ ইতিমধ্যে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এতে যানজট কিছুটা কমবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

এ দিকে চালকরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের আশঙ্কা, চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত চার লেন সড়কে যানজট না থাকলেও এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত এই সাড়ে ১৩ কিলোমিটারে যানজটে ভোগান্তি পোহাতে হয়। সেইসঙ্গে টোলের ধীরগতি এবং চার লেনের সড়কের দুই লেন সেতু। সেক্ষেত্রে যানজট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাবেল বলেন, ঈদ আসলে এ সেতু দিয়ে ৫৫ থেকে ৬০ হাজার যানবাহন পারাপার হয়। এতো গাড়ির চাপ সামাল দিতে দরকার ৮ লেনের সড়ক। আগে এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত দুইলেনে যানবাহন চলাচল করলেও এবার চার লেনে চলাচল করছে। সেতুতে চারটি মোটরসাইকেল বুথসহ ১৮টি বুথে টোল আদায় করা হবে। 

এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মো. শরিফ হোসেন বলেন, ঈদযাত্রাকে নির্বিঘ্ন করতে সাড়ে ৭০০ পুলিশ সদস্য কাজ করছে। যানজট এড়াতে এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত চার লেন চালু করা হয়েছে। যদি যানবাহনের চাপ আরও বাড়ে, তবে ঢাকামুখী গাড়িগুলোকে যমুনা সেতু পূর্ব গোলচত্বর থেকে গোবিন্দাসী-ভূঞাপুর আঞ্চলিক সড়কে পাঠানো হবে।

আরটিভি/এমকে-টি

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |