চুন্নুর মতো জাতীয় বেঈমানদের সামাজিকভাবে বর্জন করার আহ্বান জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) করিমগঞ্জ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে গণঅধিকার পরিষদ ও করিমগঞ্জ উপজেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান সফল না হলে আজকে এভাবে আমরা ইফতার মাহফিল করতে পারতাম কি না, সন্দেহ রয়েছে। বিগত সময়ে আপনারা দেখেছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো যেখানেই ইফতার মাহফিল করেছে সেখানেই স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ হামলা করেছে। ছাত্র জনতার আন্দোলনের সফলতার ফলে আজকে আমরা এক হতে পেরেছি, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঐক্য আমাদের ধরে রাখতে হবে। এই করিমগঞ্জ থেকে বিগত সময়ে এমপি হয়েছিল মজিবুল হক চুন্নু, কখনও বিনা ভোটে, কখনও রাতের ভোটে কখনও ডামি ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এই চুন্নুর মতো জাতীয় বেঈমানদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে। এরা দেশের শত্রু, জনগণের শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু। এরা দেশ ও জাতির কখনও ভালো চায় না।
আবু হানিফ বলেন, চুন্নুরা বিগত সময়ে ফ্যাসিবাদকে দীর্ঘায়িত করতে হাসিনাকে সহযোগিতা করেছে। এদের বিচার হওয়া উচিত। করিমগঞ্জের মানুষের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে আপনারা জাতীয় বেঈমানদের সামাজিকভাবে বর্জন করুন। ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন এই দেশে তরুণদের রাজনৈতিকভাবে সচেতন করেছে। তরুণদেরকে রাজনীতিতে আকৃষ্ট করেছিল সেই কোটা সংস্কার আন্দোলন। অধিকারের বিষয়ে তরুণদের সম্পৃক্ত করেছিলো সেই কোটা সংস্কার আন্দোলন। ১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর শুধু এই দেশে নয় বিশ্বের নজিরবিহীন ছাত্রদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলন হয়েছিল। আমরা সেই তরুণদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। তরুণরা ঐক্যবদ্ধ হলে দেশের জন্য মঙ্গল। এই ঐক্যবদ্ধ তরুণরা ২৪ সালে দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করেছে। তাই দেশের রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন করতে হলে রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে।
তিনি আরও বলেন, রাজনীতিতে মেধাবী তরুণদের যুক্ত হতে হবে। তবেই আগামীর সংসদ তরুণদের হবে। জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের পর দেশ একটা ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়েছিল। ড. ইউনূস সরকার যখন দায়িত্ব নেন তখন প্রশাসন বলতে কিছুই ছিলো না। সকল রাষ্ট্রযন্ত্র অচল ছিলো। সেই অবস্থা থেকে গত কয়েক মাসে নিরলসভাবে কাজ করে একটা ধ্বংসস্তূপ থেকে দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন ড. ইউনুস। ইতোমধ্যে অর্থনীতির অবস্থা ভালো হতে শুরু করেছে। সামনে আরও এগিয়ে যাবে। সবার উচিত এই সরকারকে সহযোগিতা করা।
ইফতার ও দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন গণঅধিকার পরিষদ করিমগঞ্জ উপজেলার আহ্বায়ক অধ্যক্ষ সামছুল ইসলাম, সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলাম। এ সময় বক্তব্য রাখেন যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক সুমন তালুকদার, গণঅধিকার পরিষদ কিশোরগঞ্জ জেলার সাবেক যুগ্ম আহবায়ক শফিকুল ইসলাম, অভি চৌধুরী, কিশোরগঞ্জ জেলা যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি সোহাগ মিয়া, জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল, ঢাকা মহানগর ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরাফাত হোসেন প্রমুখ।
আরটিভি/এমকে