ইউপি সদস্য ও নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখার ভিডিও ভাইরাল

আরটিভি নিউজ 

রোববার, ০৬ এপ্রিল ২০২৫ , ১১:২০ এএম


ইউপি সদস্য ও নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখার ভিডিও ভাইরাল
ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া।

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় এক জনপ্রতিনিধি ও এক নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখার একটি ভিডিও শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, উপজেলার সলঙ্গা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শরিফুল ইসলাম ও এক নারীকে একই গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে। পাশে কিছু যুবক হৈচৈ করছে।

বিজ্ঞাপন

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, ইউপি সদস্য শরিফুল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে একই ইউনিয়নের পাশের ছোট গোঁজা গ্রামে অনৈতিক কাজের উদ্দেশ্যে এক নারীর ঘরে ঢুকে। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয়রা ওই নারী ও শরিফুল ইসলামকে ধরে নিয়ে এসে বাড়ির পাশের একটি গাছের সঙ্গে দুজনকে একসঙ্গে বেঁধে রাখে। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে।

তবে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ওই নারী তার আত্মীয় এবং তিনি ঘটনার সময় সেখানে দাওয়াত খেতে গিয়েছিলেন। স্থানীয় কিছু ব্যক্তি শত্রুতা করে তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সলঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা উল্লাপাড়া উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা আসাদ বিন রাহত খলিল জানান, শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য শরিফুল ইসলাম ও অজ্ঞাত এক নারীর গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখার ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওটি দেখে তিনি পুলিশের সঙ্গে কথা বলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান। পরে তিনি জানতে পারেন, অর্থের বিনিময়ে সামাজিকভাবে বিষয়টি মিমাংসা হয়েছে।

আরও পড়ুন

ইউপি প্রশাসক আরও জানান, যেভাবেই সামাজিকভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হোক না কেন, তিনি খতিয়ে দেখে বিধি মোতাবেক অভিযুক্ত ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলামের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, ঘটনার সময় তিনি তার আত্মীয় বাড়িতে দাওয়াত খেতে গিয়েছিলেন। শত্রুতাবশত কিছু লোক সামাজিকভাবে সম্মানহানি ও হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে ওই নারীসহ তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখেছিল। সলঙ্গা থানা পুলিশ এসে তাদেরকে মুক্ত করেন। তবে কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের নাম বলেননি তিনি।

শরিফুল ইসলাম আরও বলেন, এ ব্যাপারে তিনি কোনো টাকা দেননি। অন্য কেউ দিলে তা-ও তিনি জানেন না।

সলঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা) মনোজ কুমার নন্দী গণমাধ্যমকে জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শরিফুল ইসলামের ভিডিওটি দেখার পর সংশ্লিষ্ট ইউপি প্রশাসক ও স্থানীয় লোকজন তাকে বিষয়টি অবহিত করেন। রাতেই তিনি ঘটনাস্থলে যান এবং সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য ও নারীকে বাঁধনমুক্ত করেন। পরে স্থানীয় লোকজন ও ইউপি সদস্যরা বিষয়টি মিমাংসা করবেন বলে তাকে জানালে তিনি থানায় ফিরে যান। 

তিনি আরও বলেন, এখনও কেউ শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে পুলিশ আইগত ব্যবস্থা নেবে।

আরটিভি/এএএ

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission