বাংলাদেশের গণমাধ্যম খাতে মাত্র দুই বছরের অনন্য জায়গা করে নিয়েছে কালবেলা। প্রিন্ট পত্রিকার জনপ্রিয়তার পাশাপাশি অনলাইন ও ডিজিটাল মিডিয়ায় সংবাদপত্রের মধ্যে বাংলাদেশে শীর্ষ অবস্থানে গণমাধ্যমটি। কালবেলা ১৯৯১ সালের ২৫ জানুয়ারি প্রথম প্রকাশনা শুরু করে। তবে ২০২২ সালে পত্রিকাটির মালিকানা পরিবর্তন হয়। একই বছরের ১৬ অক্টোবর সন্তোষ শর্মার সম্পাদনা ও প্রকাশনায় ‘আধার পেরিয়ে’ শীর্ষক নতুন স্লোগানে নতুনভাবে বাজারে আসে গণমাধ্যমটি।
বাজারে আসার পর থেকেই সাহসী সাংবাদিকতার দৃষ্টান্ত দেখাতে শুরু করে কালবেলা। ক্ষমতাসীনদের দিকে আঙ্গুল তুলে একাধিক মন্ত্রীর দুর্নীতি প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি। ফলে প্রিন্ট পত্রিকার জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে ব্যাপকভাবে। মাত্র এক বছরের মধ্যে কালবেলা প্রিন্টের সার্কুলেশনে দেশের তৃতীয় অবস্থানে উঠে আসে।
তবে প্রিন্টের চেয়ে তুমুল জনপ্রিয়তা পায় কালবেলার অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়া। প্রিন্ট ও অনলাইন ২০২২ সালে শুরু হলেও ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অনলাইনের সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন পলাশ মাহমুদ। তার যোগ দেওয়ার দুই বছরের মধ্যে দুই বিলিয়ন পাঠক-দর্শকের মাইল ফলকে পৌঁছে যায় কালবেলার অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়া।
গত মার্চ মাসে কালবেলার অনলাইন প্লাটফর্মে পাঠকরা সংবাদ পড়েছে ও দেখেছে মোট ২১০ কোটি বার বা ২ দশমিক ১৫ বিলিয়ন বার। যা বাংলাদেশের সংবাদপত্রে ইতিহাসে পত্রিকা ও অনলাইনের মধ্যে একমাসে সর্বোচ্চ। যা বাংলাদেশের সংবাদপত্রের ইতিমধ্যে এক মাসে সর্বোচ্চ। এপ্রিল মাসে এই সংখ্যা ছিল ১৭৫ কোটি বার বা ১ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন।
২০২৫ সালে আবারো পরিবর্তন আসে কালবেলায়। কালবেলা মিডিয়া লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও পত্রিকাটির প্রকাশকের দায়িত্ব নেন জনাব মিয়া নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু। তবে সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন সন্তোষ শর্মা ও অনলাইনের সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন পলাশ মাহমুদ।
পত্রিকাটির খবর কাভারেজ জাতীয়, আন্তর্জাতিক, রাজনীতি, প্রযুক্তি, মফস্বল, খেলাধুলা, বিনোদন, শিক্ষাসহ নানা ক্ষেত্রে বিস্তৃত। রিপোর্টিংয়ে রয়েছে গভীরতা, বিশ্লেষণ ও গবেষণার ছাপ, যা পাঠককে শুধু তথ্য দেয় না, বরং একটি দিকনির্দেশনাও দেয়। কালবেলা তার সাহসী সাংবাদিকতার জন্য বহু আলোচিত ও আলোড়ন তোলা অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে রয়েছে ব্যতিক্রমী অর্জন। ইউটিউবে পেয়েছে ৫টি সিলভার প্লে বাটন এবং ১টি গোল্ডেন প্লে বাটন। মাত্র দুই বছরে বাংলাদেশে কোনো সংবাদমাধ্যম ইউটিউবে এতটা সাফল্য ইতিপূর্বে দেখাতে পারেনি। ২০২৩ সালের শেষে কালবেলায় যুক্ত হয় নতুন মাত্রা। প্রতিষ্ঠানটি নাটক নির্মাণ শুরু করেছে।
স্বল্প সময়ের মধ্যে কালবেলা এন্টারটেইনমেন্টও দারুণ সাফল্য দেখিয়েছে। এন্টারটেইনমেন্টের জন্য কালবেলার রয়েছে ফেসবুকে আলাদা পেজ ও ইউটিউবে আলাদা চ্যানেল। ফেসবুক পেজে কালবেলা এন্টারটেইনমেন্টের ফলোয়ার ২২ লাখ ছাড়িয়েছে। ইউটিউবে ছাড়িয়েছে ৬ লাখ সাবস্ক্রাইবার।
অন্যদিকে কালবেলার ফেসবুকের সবগুলো পেজ মিলিয়ে ফলোয়ারের সংখ্যা কোটি ছুঁই ছুঁই। ইউটিউবে সাবস্ক্রাইবার প্রায় ৫০ লাখ।
কালবেলার প্রিন্ট পত্রিকায় প্রতিদিন প্রায় ১০০ নিউজ ছাপা হয়। এছাড়া অনলাইনে (www.kalbela.com) দুই শতাধিক নিউজ প্রকাশ হয়। মাল্টিমিডিয়ায় দৈনিক প্রায় ৮০টি ভিডিও আপলোড হয়।