কিশোরগঞ্জের ইটনায় আব্দুল হামিদ সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলেজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় কলেজ শাখা ছাত্রদলের এক কর্মীর পায়ের রগ কর্তন করে অপরপক্ষের লোকজন।
মঙ্গলবার (৬ মে) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নিজেও আহত হয়েছেন বলে জানান ইটনা কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাজিব ইসলাম রাজু।
ঘটনায় পায়ের রগ কেটে আহত রোহান মিয়া একই কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ও কলেজ শাখা ছাত্রদল কমিটির আহ্বায়ক রাজিব ইসলাম রাজুর চাচাতো ভাই।
জানা গেছে, গত ২ মে কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. মারুফ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ নেভিন স্বাক্ষরিত ইটনা সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের ৫ সদস্যের একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ কমিটি নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। নবগঠিত কমিটির সদস্যরা আনন্দ মিছিল করার প্রস্ততির সময় অপরপক্ষের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে কলেজ শাখা ছাত্রদলের কর্মী একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী রোহান মিয়ার (১৯) পায়ের রগ কেটে দেন। এ সময় কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আহত হন।
ইটনা কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাজিব ইসলাম রাজু বলেন, মঙ্গলবার নবগঠিত কলেজ কমিটির পক্ষ থেকে আনন্দ মিছিল আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এমন সময় উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আজমানুর রহমান সুজন আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। এ হামলায় কলেজ শাখা ছাত্রদলের কর্মী একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী রোহান মিয়ার ডান পায়ের গোড়ালির রগ কর্তন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, হামলায় আমি নিজেও আহত হয়েছি। আহত রোহান মিয়া ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনা থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে এবং মামলা দায়ের করা হবে।
ইটনা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আজমানুর রহমান সুজন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটা আমার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র। কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাজুকে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মারুফ ভাইকে বলে আমিই আহ্বায়ক বানিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, পায়ের রগ কর্তনের ঘটনা কলেজ কমিটির এই সংঘর্ষের বিষয়ে নয়। এটি কলেজের বাইরের স্কুলের সামনে অন্য একটি ঘটনায় রোহানের পা কেটে গেছে। ৫ সদস্যের কলেজ কমিটির দুপক্ষের সংঘর্ষের খবর পাওয়ার পর কলেজে গিয়ে দেখি ঝামেলা শেষ। যারা ছিলো তাদেরকে বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি। এ ছাড়াও ঘটনা সম্পর্কে ওসিকে জানিয়েছি।
তবে ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাফর ইকবাল বলেন, এই বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। তাছাড়া আমার কাছে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি।
আরটিভি/এমকে/আইএম