বিশাল আকৃতির ব্ল্যাক ডায়মন্ডের মূল্য ১২ লাখ

আরটিভি নিউজ

রোববার, ১৮ মে ২০২৫ , ১১:৩৩ পিএম


বিশাল আকৃতির ব্ল্যাক ডায়মন্ডের মূল্য ১২ লাখ
ছবি: সংগৃহীত

নড়াইল সদর উপজেলায় ফ্রিজিয়ান জাতের বিশাল আকৃতির একটি ষাঁড়ের নাম ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’ রাখা হয়েছে। আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৩৫ মণ ওজনের এ ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টিকে। নড়াইলের মিলটন হোসেন সিকদারের চিত্রা এগ্রো ফার্মে এ ষাঁড়টি লালন পালন করা হচ্ছে। 

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৮ মে) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যত্ন আর পরিচর্যায় সন্তানের মতো লালন করা ওই ষাঁড়টির গায়ের রং কালো। সুঠাম দেহের অধিকারী ষাঁড়টির উচ্চতা ৬ ফুট ও লম্বায় প্রায় ১১ ফুট। তাই মালিক ষাঁড়টির নাম দিয়েছেন ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’। ষাঁড়টি বিক্রির জন্য ১২ লাখ টাকা দাম হাঁকা হচ্ছে। এরই মধ্যে ষাঁড়টি দেখতে খামারে আশপাশের এলাকা থেকে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা। 

জানা যায়, চিত্রা এগ্রো ফার্মে কোরবানির জন্য ৫৭টি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় ব্ল্যাক ডায়মন্ড। ফার্মের এক পাশে আলাদাভাবে পরিচর্যা করা হয় তাকে। সারা দিন ফার্মের ভেতর দিন কাটে তার। ২৪ ঘণ্টা চালিয়ে রাখতে হয় ফ্যান ও লাইট। ডায়মন্ডের খাদ্য তালিকায় রয়েছে শুকনো খড়। তাছাড়া ভুট্টা, খেসারি ও জবের সংমিশ্রণে তৈরি ভুসি খাওয়ানো হয়। তার খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন কাঁচা ঘাসও রয়েছে। গরমের মধ্যে শ্যাম্পু ও সাবান দিয়ে গোসল করানো হয় দিনে দুই থেকে তিনবার।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে খামারি মিলটন হোসেন সিকদার বলেন, প্রায় চার বছর ধরে ব্ল্যাক ডায়মন্ডকে আমি সন্তানের মতো লালনপালন করেছি। সাড়ে ৪ বছর বয়সী ব্ল্যাক ডায়মন্ডের ৬টি দাঁত রয়েছে। এবার ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে বিক্রির জন্য তাকে প্রস্তুত করছি। ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে এটি আমি বিক্রি করতে চাই। ব্ল্যাক ডায়মন্ডের ওজন ৩৫ মণ। এটি ফ্রিজিয়ান জাতের গরু।

তিনি বলেন, আমি এটিকে বিক্রির জন্য ১২ লাখ টাকা দাম চাচ্ছি। আমার ইচ্ছা ভালো ক্রেতা পেলে বাড়ি থেকে দাম কম-বেশি করে বিক্রি করে দেব।

ষাঁড়টি দেখতে এসে সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান বলেন, খবরটি শুনে আমিও গরুটি দেখতে এসেছি। এত বড় গরু এর আগে আমি কখনো দেখিনি।

বিজ্ঞাপন

নড়াইল জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সিদ্ধিকুর রহমান বলেন, মিলটনের গরুটি বেশ বড়। তিনি ৪ বছর ধরে লালন-পালন করে গরুটিকে বড় করেছেন। তাকে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জেলায় ৯টি পশুর হাট রয়েছে। প্রতিটি হাটে আমাদের মেডিকেল টিম রয়েছে। আমাদের ৫টি মেডিকেল টিম আছে। মেডিকেল টিমের মূল কাজ হলো হাটে গরু এসে যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে তাদের চিকিৎসা দেওয়া। এ ছাড়া যদি কোনো খামারি অবৈধ উপায়ে গরুকে মোটাতাজা করেন তাহলে সেটি চিহ্নিত করে বাদ দেওয়া।

বিজ্ঞাপন

আরটিভি/এমকে

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission