ঝিনাইদহ শৈলকুপায় বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ভাঙচুর করা হয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়িঘর। রোববার উপজেলার সারুটিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সোমবার (১৯ মে) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শৈলকূপা থানার ওসি মাছুম খান।
সরেজমিনে সারুটিয়া গ্রামে গিয়ে জানা যায়, সারুটিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের সঙ্গে একই গ্রামের মাহবুব হোসেনের দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। রোববার সকালে নজরুল ইসলাম ও মাহবুবের মধ্যে একই বিষয় নিয়ে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে বিকেলে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন। ভাঙচুর করা হয় বেশ কয়েকটি বাড়িঘর।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে শৈলকূপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
নজরুল ইসলাম জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রেজাউল করিম আলাল বিশ্বাসের সমর্থক এবং মাহবুব হোসেন শৈলকূপা উপজেলা বিএনপির সদস্য নওয়াব আলী লস্করের সমর্থক বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় নজরুল ইসলাম বলেন, প্রতিপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছেন। বাড়িঘর ভাঙচুর করেছেন।
মাহবুব হোসেন বলেন, নজরুল ইসলাম ও তার সমর্থকরা তুচ্ছ ঘটনার জেরে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর করেছেন। আমাদের কয়েকজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এ বিষয়ে শৈলকূপা থানার ওসি মাছুম খান বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গ্রামের অবস্থা এখন শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি। কোনো মামলাও হয়নি। তবে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
আরটিভি/এমকে/এআর