আসছে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ঢাকার ধামরাইয়ে বিশাল আকৃতির একটি গরু পালন করেছেন ইয়াসিনুর রহমান নামে এক ব্যক্তি। দেখতে কুচকুচে কালো নজরকাড়া এ গরুটির নাম আদর করে রেখেছেন জিল্লু। ফ্রিজিয়ান জাতের এ গরুটির ওজন প্রায় ৩০ মণ, দাম হাঁকা হয়েছে ১৫ লাখ টাকা।
বুধবার (২১ মে) গণমাধ্যমের কাছে এ কথা জানান তিনি।
ইয়াসিনুর রহমান বলেন, দুই বছর আগে ৮ মাস বয়সী কালো রংয়ের ফ্রিজিয়ান জাতের একটি বাছুর কিনে এনেছিলাম ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা দিয়ে। তারপর থেকে গরুটিকে লালন-পালন করি এবং শখ করে নাম রাখি জিল্লু। তাকে প্রতিদিন খাদ্য দিতে হয় এ্যাংকর, ভুট্টা, ভুসি, ক্ষুদের ভাত ইত্যাদি।
তিনি আরও বলেন, আমি লোক দেখানো আপেল কমলা, কলা খাওয়াই না। একটি গরুর যা স্বাভাবিক খাবার, তাই খাওয়াই। আমরা স্বামী-স্ত্রী ও আমার ভাগ্নে প্রতিদিন গরুটিকে যত্ন করি। এবারের কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য গরুটিকে প্রস্তুত করেছি। এর দাম ধরেছি ১৫ লাখ টাকা। আলোচনাসাপেক্ষে এদিক-সেদিক হতে পারে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার সদর ইউনিয়নের ইকুরিয়া গ্রামের এই খামারি দুই বছর ধরে গরুটিকে নিজের সন্তানের মতো লালন-পালন করেছেন। দিনরাত ২৪ ঘণ্টা গোয়াল ঘরে ফ্যান চলতে দেখা যায়। গোসল করানো হয় দিনে ৩ থেকে ৪ বার।
ধামরাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্র জানায়, এ বছর ধামরাইয়ে কোরবানির চাহিদা অনুযায়ী গরু ছাগল প্রস্তুত করা রয়েছে। যার মধ্যে- আনুমানিক ষাঁড় গরু ২ লাখ ৯৮ হাজার ৪১টি, গাভী ১ হাজার ২৯৩টি, মহিশ ৩৮টি, ছাগল ১৬৯১২টি, ভেড়া ২ হাজার ৭৫টি।
প্রায় ৫০ হাজার ১৫৯টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এ ছাড়া গ্রামের কৃষকের গরু আছে এবং বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকাররা অর্থাৎ ব্যাপারীরা গরু ছাগল, ভেড়া হাটে নিয়ে আসবেন বিক্রির জন্য।
ধামরাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান বলেন, এবারের কোরবানিতে গরুর সংকট নেই। ৫০ হাজার ১৫৯টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। ধামরাই উপজেলায় ৩৬ হাজার এ ছাড়া উপজেলার গরুর হাটে হাটে পশুস্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আমাদের মেডিকেল টিম রয়েছে। খামারসহ সব গরুর হাটে নিয়মিত তদারকি করছে আমাদের উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর।
আরটিভি/এমকে