দীর্ঘ সতেরো বছর ধরে চরম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা। সেই সময়ে যারা সংগঠনের পাশে ছিলেন না, বরং ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে থেকে ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে আঁতাত করে নিরাপদে ছিলেন—তাদের এখনকার আচরণে ক্ষুব্ধ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
শনিবার (১৪ জুন) বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার চিংড়াখালীতে অনুষ্ঠিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন নেতাকর্মীরা।
নেতারা অভিযোগ করে বলেন, গত ৫ আগস্টের ঘটনার পর যারা হঠাৎ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে, ছবি পোস্ট করে বড় নেতা সাজতে চাইছে—তাদের আমরা ‘অতিথি পাখি’ বলেই দেখি। এমন নেতাদের বিএনপির প্রকৃত ত্যাগী কর্মীরা কখনোই মেনে নেবে না।
তারা বলেন, তৃণমূলের দুঃসময়ে পাশে না থেকে এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে আলোচনায় আসার চেষ্টা করছে কিছু ব্যক্তি। তারা যেন কোনোভাবে বিএনপির কর্মসূচিতে ঢুকে সংগঠনের ক্ষতি না করে—সেই বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কাজী খায়রুজ্জামান শিপন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মোরেলগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল হক বাবুল, সদস্যসচিব আব্দুল জব্বার মোল্লা, পৌর বিএনপির সভাপতি শিকদার ফরিদুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল আল ইসলাম, আফজাল হোসেন জোমাদ্দার, চিংড়াখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাস্টার ছোবাহান, সাধারণ সম্পাদক মামুন খাঁ, মালয়েশিয়া প্রবাসী বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন ও খেলাফত হোসেন খসরু।
এর আগে, দলীয় নেতারা পুলিখালী এলাকায় মরহুম হাফেজ জামাল উদ্দীন এবং ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদকের কবর জিয়ারত করেন। পরে বাজারে গণসংযোগ এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় বিশেষ দোয়া ও তবারক বিতরণ করা হয়।
আরটিভি/এএএ/এস