নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বারদী ইউনিয়নের মসলেন্দপুর গ্রামে ইউপি সদস্য ওমর ফারুক ও তার এক সহযোগীর বিরুদ্ধে বিচার সালিশে দুই যুবককে চুরির দায়ে পাইপ দিয়ে পিটিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার বিকেলে মসলেন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দুই যুবককে নির্যাতন করা হয়। চুরির প্রমাণ পেয়েও থানা পুলিশে না দিয়ে নিজেরাই পিটিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠে তাদের বিরুদ্ধে।
সোমবার (১৬ জুন) এ ঘটনায় একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
নির্যাতিত যুবক বারদী ইউনিয়নের মসলন্দপুর গ্রামের নবী হোসেনের ছেলে আল আমিন ও একই গ্রামের জামান মিয়ার ছেলে পারভেজ।
জানা যায়, উপজেলার বারদী ইউনিয়নের মছলন্দপুর এলাকার এভারগ্রিন কিন্ডারগার্টেন নামের একটি স্কুল থেকে গত সোমবার রাতে ৯টি ফ্যান ও বৈদ্যুতিক মোটর চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে পার্শ্ববর্তী আড়াইহাজার উপজেলার জাঙ্গালিয়া এলাকায় ৯ জুন দুপুরে ফ্যান ও মোটর বিক্রি করতে গেলে জনতার হাতে ধরা পড়ে আল আমিন ও পারভেজ নামের দুই যুবক। এ সময় তাদের ধরে গণধোলাই দেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওই দুই যুবককে শনিবার বিকেলে মসলন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাদের বিরুদ্ধে একটি বিচার সালিশের আয়োজন করা হয়। সেই সালিশে বারদী ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ওমর ফারুকসহ শতাধিক লোক উপস্থিত ছিলেন। এ সময় চুরির দায়ে দুই যুবককে পিটিয়ে নির্যাতন করা হয়। বিচার সালিশে ইউপি সদস্য ওমর ফারুক ও মসলন্দপুর গ্রামের নুর মোহাম্মদ ওরফে নুরা পাগলা নিজেই প্লাস্টিকের পানির পাইপ দিয়ে উপস্থিত লোকজনের সামনে দুই যুবককে প্রায় অসংখ্যবার আঘাত করে। এক পর্যায়ে ইউপি সদস্য যুবকের গলায় পা দিয়ে চেপে ধরেন।
অভিযুক্ত বারদী ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড সদস্য ওমর ফারুক বলেন, তাদের বিচার করতে করতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছি। বিচার সালিশে এলাকার গণ্যমান্য অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
যদিও পুলিশে দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো উত্তর দেননি।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মফিজুর রহমান বলেন, দুই যুবককে হাত বেঁধে নির্যাতনের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরটিভি/এমকে