ঢাকাসোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২

মাদরাসা ছাত্র হত্যা, ১০ বছর পর দুজনের মৃত্যুদণ্ড

স্টাফ রিপোর্টার (চাঁদপুর), আরটিভি নিউজ

মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫ , ০৪:০৭ পিএম


loading/img
ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুরের কচুয়ায় সম্পত্তিগত বিরোধকে কেন্দ্র করে মাদরাসা ছাত্র মো. মিলন হোসেনকে (১২) হত্যার দশ বছর পর দুজনের মৃত্যুদণ্ড ও একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২) সৈয়দ তাফাজ্জল হোসেন হিরু এ রায় দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সরকার পক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) কামাল উদ্দিন আহমেদ।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, হত্যার শিকার মিলন হোসেন কচুয়া কান্দিরপাড় গ্রামের প্রধানিয়া বাড়ির মো. তাজুল ইসলামের ছেলে। সে স্থানীয় চাপাতলী মাদরাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শামিম হোসেন (২৮) কান্দিরপাড় প্রধানিয়া বাড়ির মো. ইমাম হোসেন ও সোহাগ হোসেন (২৮) পার্শ্ববর্তী পাড়াগাঁও গ্রামের নুর উদ্দিনের ছেলে। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি রাব্বি হোসেন (২৮) কান্দিরপাড় গ্রামের ফরাজি বাড়ির আবুল বাসারের ছেলে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, হত্যার শিকার মিলনের বাবা তাজুল ইসলামের সঙ্গে আসামিদের স্বজনদের সম্পত্তিগত বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধের কারণে ঘটনার দিন ২০১৫ সালের ২৯ জুন দুপুর আনুমানিক ১টার দিকে মাদরাসা ছাত্র মিলন বাড়ি থেকে পাশের রহিমানগর বাজারে যায়। বাজার থেকে বাড়িতে না ফেরায় পরদিন ৩০ জুন কচুয়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তার ভাই মো. রিপন হোসেন (২৫)। এরপর ২ জুলাই স্থানীয়দের মাধ্যমে মিলনের পরিবার জানতে পারে, সম্পত্তিগত বিরোধের জের ধরে আসামি শামিম, সোহাগ ও রাব্বি মিলনকে হত্যার উদ্দেশ্যে কান্দিরপাড়ের ইব্রাহিম খলিলের জমিতে নিয়ে পানিতে ডুবিয়ে এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।

বিজ্ঞাপন

এ ঘটনায় ওই দিনই মিলনের বড় ভাই রিপন হোসেন বাদী হয়ে কচুয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন কচুয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ওয়াজেদ আলী ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে সরকার পক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর মামলা চলাকালীন সময়ে ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। আসামিদের অপরাধ স্বীকার ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে বিচারক তাদের উপস্থিতিতে এই রায় দেন। রায়ে আসামি শামিম হোসেন ও সোহাগ হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড, ১ লাখ টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ১ বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। অপর আসামি রাব্বিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট নুরুল হক কমল।

আরটিভি/এমকে

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |