গাজীপুরের কালিয়াকৈরে নোটারি পাবলিকের বিয়ে ভুয়া বলে নাদিরা বেগম নামে এক প্রবাসী নারীকে হুমকি দিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (৬ জুলাই) বিকেলে ওই নারী বাদী হয়ে তিন জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।
অভিযুক্তরা হলেন—উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের গায়েনচালা এলাকার জালাল হোসেনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৩৫)। একই গ্রামের মজু হোসেনের ছেলে শামসুল হক (৪৫) ও মজিবুর রহমানের ছেলে সুফি (৪০)।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নাদিরা বেগম দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিল। চার মাস আগে দেশে চলে আসে। এরপর শাহ আলম নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে গত ২১ জানুয়ারি নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিবাহ হয়। এর আগেও ওই নারীর আরও একটি বিবাহ হয়েছিল। সেই ঘরে দুটি সন্তান রয়েছে। আগের স্বামীর নির্যাতনে দুজনের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়। এরপর শাহ আলম নামে ওই ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ওই এলাকার দেলোয়ার, সফি, শামসুল হক লোকজন নিয়ে রাতে ওই নারী বাড়িতে গিয়ে অকাট্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এক পর্যায় ওই নারীকে মারপিট করে। এ সময় স্বামী বাধা দিতে গেলে তাকেও মারপিট করে। এরপর ওই নারী দেলোয়ার কাছে ৪৬ হাজার টাকা দেয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
টাকা নিয়েও সমাধান করে দেয়নি। বরং সমাজ থেকে ওই নারীকে ঘরোয়া করে রেখেছে। ওই নারী এ বিষয়ে দেলোয়ার কাছে বললে উল্টো আরও টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে খুন করার হুমকিও প্রদান করে। বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে তারা মীমাংসার চেষ্টা করে। এতে দেলোয়ারসহ তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। দেলোয়ার, সফি, শামসুল হকের নির্যাতনে নিরুপায় হয়ে নাদিরা বেগম রোববার বিকেলে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।
অভিযুক্ত দেলোয়ার জানান, আমি মারপিট করি নাই। তবে অন্য লোকজন মারপিট করেছে। কিছু টাকা ওই নারীর কাছ থেকে নিয়েছে। আমি নেয়নি।
কালিয়াকৈর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরটিভি/এএএ-টি