• ঢাকা শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১
logo
নড়াইলে গলায় ফাঁস নিয়ে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা
স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ, পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার 
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার ইলিয়াসাবাদ ইউনিয়নের বিলদুড়িয়া গ্রামের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এসআই আশিকুজ্জামানের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী শনিবার রাত ৮টার দিকে নড়াইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাবরিনা চৌধুরীর কাছে ২২ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন।  রোববার (৮ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালিয়া থানার ওসি রাশিদুল ইসলাম। ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, গত ২৭ অক্টোবর অষ্টম শ্রেণির স্কুলছাত্রী অপহৃত হয়। এ ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে ওই এলাকার মানিক হোসেনের বিরুদ্ধে ওইদিন কালিয়া থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কালিয়া এসআই আশিকুজ্জামান গত ৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ঢাকার আশুলিয়া থেকে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেন। এরপর এসআই আশিকুজ্জামান কালিয়া থানায় না এনে নিজের বাড়ি গোপালগঞ্জে নিয়ে যান ভুক্তভোগী ছাত্রীকে। বৃহস্পতিবার রাতে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে এসআই আশিকুজ্জামান নিজের বাড়িতে রেখে তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।  এ অভিযোগ অস্বীকার করে এসআই আশিকুজ্জামান বলেন, ‘আমার চাচাতো ভাই মারা যাওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি নিয়ে ভুক্তভোগীকে গাড়িতে রেখে জানাজা শেষ করে শুক্রবার কালিয়া থানায় নিয়ে আসি। গাড়িতে নারী পুলিশসহ অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।’ এ বিষয়ে কালিয়া থানার ওসি রাশিদুল ইসলাম বলেন, ‘এসআই আশিকুজ্জামানকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’ আরটিভি/এমকে
ব্যারিকেড ভেঙে পালানোর চেষ্টা, যুবকের কারাদণ্ড
ছাত্র-জনতার ওপর হামলাকারীদের বিচার করতে হবে: রেজাউল করীম
১২ ডিসেম্বরের মধ্যে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগে ব্যাপক আন্দোলনের প্রস্তুতি  
সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে আরও এক মামলা
নড়াইলে জেলা বিএনপির বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত
নড়াইল জেলা বিএনপির বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা বিএনপির আয়োজনে শহরের চৌরাস্তায় দলীয় কার্যালয়ে এ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জুলফিকার আলী মন্ডল, আসাদুজ্জামান জামান, যুগ্ম সম্পাদক আলী হাসান, সৈয়দ মোর্শেদ তৌহিদ সোহেল, অ্যাডভোকেট মাহবুব মোর্শেদ জাপল, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার রিজভি জর্জ, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আজিজার রহমান, সদস্য সচিব রেজাউল খবির রেজা, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক নবীর হোসেন, জেলা যুবদলের সভাপতি মশিয়ার রহমান, সাধারণ সম্পাদক সায়দাত কবীর রুবেল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক খন্দকার ফসিয়ার রহমান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ফরিদ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাহমুদুল হাসান সনি প্রমুখ।  এ সময় জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আরটিভি/এমকে
নড়াইলে সর্বধর্মীয় সম্প্রীতি সভা অনুষ্ঠিত 
নড়াইলে ঊষার আলো ফাউন্ডেশনের আয়োজনে সর্বধর্মীয় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত এ সভায় একই মঞ্চে হাতে হাত রেখে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সংহতি প্রকাশ করেন ইসলাম ধর্মের ইমাম, হিন্দু সম্প্রদায়ের পুরোহিত ও খ্রিস্টান পাদ্রিরা।  আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এসব ধর্মের গুরুরা। অনুষ্ঠানে ধর্মীয় গুরুদের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (চরমোনাই), খেলাফত মজলিস, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ, ছাত্রদল, ছাত্রশিবিরসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা ঐক্য ও সংহতি প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, একজন ধার্মিক মানুষ কখনও কোনো উপাসনালয়ে আঘাত করতে পারেনা। কেউ যদি আঘাত করে তাহলে বুঝতে হবে তার কোনো ধর্ম নেই। এমন নিকৃষ্ট কাজ কেউ করলে তাকে ধরে প্রশাসনের হাতে সোপর্দ করতে হবে। এ বিষয়ে সকল রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংগঠনগুলো সজাগ রয়েছে।  অনুষ্ঠানে ঊষার আলো ফাউন্ডেশন, নড়াইলের সভাপতি মিনহাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাফায়াত উল্লাহ’র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান, নড়াইল জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান বাচ্চু ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা ওবায়দুল্লাহ কায়সার, নড়াইল জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অশোক কুমার কুণ্ডু, বর্তমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবু লাল ভট্টাচার্য, নড়াইল জেলা হেফাজতে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি হাফেজ মাওলানা মহসিন উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের (চরমোনাই) নড়াইল জেলা সভাপতি মাওলানা খায়রুজ্জামান ও সেক্রেটারি ডা. এস এম নাসির উদ্দিন।  এ ছাড়াও ধর্মীয় গুরুদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুরোহিত মলয় কুমার ভট্টাচার্য ও চঞ্চল চক্রবর্তী, খ্রিস্টান পাদ্রি স্টিভেন পরিমল বিশ্বাস ও সমির বিশ্বাস, ইমাম মাওলানা মো. তানবীরুল ইসলাম, মাওলানা হেদায়েত হোসাইন ও মাওলানা শামীম আহমাদ।  আরও উপস্থিত ছিলেন ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব হামিদুল হক তনু, ছাত্রদল নেতা তানভির রহমান তামিম, ছাত্রশিবির নেতা আল-শাহরিয়া আমিন, ঊষার আলো ফাউন্ডেশনের নেতা রাফায়েতুল হক তমাল, এবিএম সিয়াম, রিমন মোল্লা, আবু ঈসা, মনোয়ার হোসাইন আসিফ, লাবিব খান, হাসিব, নাহিদ হাসান মুন্না, রায়হান, মহিউদ্দিন প্রমুখ। আরটিভি/এমকে
বয়ানে সালমান-মানিকের সমালোচনা করায় চাকরি গেল ইমামের
জুমার খুতবায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিল্প ও বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক বিচারক শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের সমালোচনা করায় নড়াইলে এক ইমামকে বরখাস্তের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভুক্তভোগী ইমাম মুফতি হেদায়েত হোসাইন এ অভিযোগ করেন। তিনি নড়াইল পৌরসভার উজিরপুর দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের ইমাম ছিলেন। একই সঙ্গে উজিরপুর ইসলামিয়া নুরানি মাদরাসার শিক্ষক ছিলেন।  মুফতি হেদায়েত নড়াইল সদর উপজেলার হবখালী ইউনিয়নের কাগজীপাড়া গ্রামের আবদুল গফফার মোল্যার ছেলে। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) তাকে বরখাস্তের পর মসজিদ থেকে বাড়িতে চলে যান তিনি। অভিযোগ উঠেছে, নড়াইল পৌরসভার উজিরপুর মসজিদ কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উজিরপুর ইসলামিয়া নুরানি মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমানের নির্দেশে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। আনিসুর রহমান নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলুর ব্যক্তিগত সহকারী ছিলেন। এ ছাড়া তিনি আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা। জানা গেছে, ভুক্তভোগী ইমাম মুফতি এম হেদায়েত হোসাইন নড়াইল সদর উপজেলার হবখালী ইউনিয়নের কাগজীপাড়া গ্রামের আব্দুল গফফার মোল্যার ছেলে। মুফতি এম হেদায়েত হোসাইন নড়াইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার জন্য অর্থ সংগ্রহ করেন। তখন থেকেই তাকে চাপ দিতে থাকে মসজিদ কমিটির লোকজন। এরপর আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিন গত ৫ আগস্ট মসজিদের মুসল্লিদের মিষ্টিমুখ করান তিনি। সবশেষ শুক্রবার (৩০ আগস্ট) জুমার খুতবায় দুর্নীতিবাজ মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে বিশেষত ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিল্প ও বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক বিচারক শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের সমালোচনা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আনিসুর রহমান। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত রোববার ইমাম হেদায়েত হোসাইনকে মসজিদ ও মাদরাসার দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করেন কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান। এরপর সকাল ১০টার দিকে মসজিদ ছেড়ে চলে যান ওই শিক্ষক। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ইমাম মুফতি হেদায়েত হোসাইন বলেন, ‘আমার ওপর অর্পিত ইমামতি ও মাদরাসার শিক্ষকতার দায়িত্ব আমি যথাযথভাবে পালন করেছি। ছুটি ছাড়া একদিনও একটা ক্লাস বাদ দিইনি। নিয়মিত নামাজ পড়িয়েছি। কিন্তু বিচারক মানিক ও সালমান এফ রহমানের সমালোচনা করে জুমার খুতবায় বক্তব্য রাখায় আমাকে চাকরিচ্যুত করা হলো।’ মুফতি হেদায়েত বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আহত হওয়া শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার জন্য আমি অর্থ সংগ্রহ করেছিলাম। তখন থেকেই মসজিদ কমিটির আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হই আমি। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে আনিসুর রহমান বলেন, ‘আমাদের মসজিদে চার বছর ধরে আব্দুল গাফফার নামে একজন ইমামতি করতেন। তিনি চলে যাবার পর মুফতি এম হেদায়েত হোসাইনকে ইমাম ও নুরানি মাদরাসার শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় কমিটির সম্মতিক্রমে। ইমাম হিসেবে ভালো আলোচনা করলেও নুরানি মাদরাসায় পাঠদানের ক্ষেত্রে অভিভাবকরা তার প্রতি সন্তষ্ট নন। সে কারণে কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত মাসের ১৫ তারিখে ওই শিক্ষককে রাখা হবে না বলে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়।’ স্থানীয় মুসল্লি ও সাবেক কাউন্সিলর রজিবুল ইসলাম বলেন, ‘ওই মসজিদের অধিকাংশ মুসল্লি আওয়ামী লীগ সমর্থিত। যে কারণে এ বিষয়টি নিয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে পারেনি। ইমামকে এভাবে বাদ দেওয়া ঠিক হয়নি।’
নড়াইলে ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষ, যুবক নিহত
নড়াইল সদর উপজেলার যশোর-কালনা মহাসড়কে ট্রাক-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে তাজিম হোসাইন (২০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে সদর উপজেলার যশোর-কালনা মহাসড়কের দত্তপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তুলরামপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত তাজিম হোসাইন নড়াইল সদর উপজেলার দুর্গাপুর এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে এবং লোহাগড়া উপজেলার একটি কওমি মাদরাসার ছাত্র ছিলেন। স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তাজিম হোসাইন নামে ওই যুবক মোটরসাইকেল চালিয়ে নড়াইল থেকে লোহাগড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে সদর উপজেলার যশোর-কালনা মহাসড়কের দত্তপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে তার মোটরসাইকেলটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাজিমের মৃত্যু হয়। এ সময় তার মোটরসাইকেলটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এ বিষয়ে তুলরামপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় এক যুবক নিহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। এ ছাড়া এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন, নড়াইলের মেয়রের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করায় নড়াইল পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরার নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।  মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) মামলার এজাহারসহ দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের উপপরিচালক মো. আল আমিন নড়াইল জজ আদালতের বিচারকের নিকট হস্তান্তর করেন। এর আগে ২৯ জুলাই যশোর স্পেশাল জজ আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়।    বুধবার (৩১ জুলাই) মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের উপপরিচালক মো. আল আমিন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৩২ লাখ ১৮ হাজার ৯৯৯ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন এবং অবৈধভাবে ১৪ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনপূর্বক নিজ ভোগ দখলে রাখায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারার শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। আরও জানা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট আঞ্জুমান আরা ১৯৮৭ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি লাভ করে ধারাবাহিকভাবে ২০০০ সালে প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি প্রাপ্ত হন এবং ডিসেম্বর ২০১৫ সালে স্বেচ্ছায় অবসরে যান। পরবর্তীতে আঞ্জুমান আরা ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি নড়াইল পৌরসভার মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করে এখন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করছেন। দুর্নীতি দমন কমিশন ২০২৩ সালের ২৫ জানুয়ারি পৌর মেয়র আজুমান আরার প্রতি সম্পদ বিবরণী নোটিশ ফরম জারি করে।  সম্পদ বিবরণী ফরম পূরণ করে তিনি ওই বছরের ১৯ মার্চ দুদকে দাখিল করেন। দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে আঞ্জুমান আরা নিজ নামে ৪টি দলিলমূলে ক্রয় করা নড়াইল সদর উপজেলা এলাকায় মোট ১২৭ দশমিক ৫ শতক ডাঙ্গা/ধানী জমি, ১২০০ বর্গফুটের দ্বিতল বাড়িসহ মোট ৫৩ লাখ ৩৯ হাজার ৫০০ টাকার স্থাবর সম্পদ থাকার তথ্য এবং অস্থাবর সম্পদ হিসেবে ৫টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে গচ্ছিত ৭ লাখ ১৭ হাজার ৭১২ টাকা ও সঞ্চয়পত্র ২৩ লাখ টাকা এবং মোট ৩০ লাখ ১৭ হাজার ৭১২ টাকার অস্থাবরসহ সর্বমোট ৮৩ লাখ ৫৭ হাজার ২১২ টাকার সম্পদ থাকার তথা ঘোষণা করেন।  অভিযোগটি যাচাইকালে তার নামে ৫৩ লাখ ৩৯ হাজার ৫০০ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ৬২ লাখ ৩৬ হাজার ৪১০ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ সর্বমোট ১ কোটি ১৫ লাখ ৭৫ হাজার ৯১০ টাকার সম্পদ থাকার তথ্য পায় দুদক। বিবরণীতে দুদক আরও উল্লেখ করে, কমিশন থেকে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট আঞ্জুমান আরার নামে সম্পদ বিবরণী নোটিশ জারির দিনই অর্থাৎ ২০২৩ সালের ২৫ জানুয়ারি তারিখে তিনি ফাস্ট সিভিয়ারিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, নড়াইল শাখায় পরিচালিত তার নামীয় হিসাব নং  থেকে একটি চেকের মাধ্যমে নিজে ২৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা নগদে উত্তোলন করেন এবং ২০২২-২০২৩ করবর্ষে দাখিল করা আয়কর রিটার্নে ব্যবসা বহির্ভূত অর্থ সম্পদ হিসেবে ৩৩ লাখ ১ হাজার ৬০১ টাকা দেখিয়ে জমা দেন।  ওই টাকার মধ্যে তিনি ২০২৩-২০২৪ করবর্ষে দাখিল করা আয়কর রিটার্নে ব্যবসার পুঁজি ২৭ লাখ ৬২ হাজার ৫৯৭ টাকা দেখিয়ে দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে গোপন করেন। এ ছাড়া আঞ্জুমান আরা তার দুইটি ব্যাংক হিসাবে ১ লাখ ২৬ হাজার ১০১ টাকা ও আসবাবপত্র-ইলেক্ট্রনিক্স বাবদ ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা সর্বমোট ৩২ লাখ ১৮ হাজার ৬৯৮ টাকার তথ্য দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান করে দুনীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেন বলে জানায় সংস্থাটি। দুদকের হিসেবে অভিযুক্ত মেয়র আঞ্জুমান আরার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের (অবৈধ সম্পদ) পরিমাণ দাঁড়ায় ১৪ লাখ ৮৮ হাজার ৫৩৪ টাকা। ২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোর এর উপ-পরিচালক নাজমুস সাদাতের নেতৃত্বে একটি দল নড়াইল সদর পৌরসভায় বিভিন্ন খাত থেকে আদায় করা অর্থ ও এডিপি (বার্ষিক উন্নয়ন ফান্ড) এর মোট ৭৭টি চেকের মাধ্যমে ৩ কোটি ৩৫ লাখ ৩ হাজার ৬৭৭ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রথম অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযোগের বিষয়ে নড়াইল পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা বলেন, ‘তথ্য বিবরণীতে আমি সম্পদের কোনো তথ্যই গোপন করিনি। আর আমার অবৈধ অর্জিত কোনো সম্পদও নেই। তারপরও এমন মামলা কেন করছে আমার বোধগম্য নয়। আমি আইনি প্রক্রিয়ায় আগাবো।’
নড়াইলে ২ মাদক ব্যবসায়ীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড 
নড়াইলে ২ মাদক ব্যবসায়ীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের পৃথক মামলায় নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ আকরাম হোসেন ও মো. সাইফুল আলম এ দণ্ডাদেশ দেন।  দণ্ডপ্রাপ্ত হলেন- যশোর কতোয়ালি থানার কচুয়া মোল্যাপাড়া এলাকার সলেমান শেখের ছেলে মফিজুর রহমান ও খুলনা শহরের খানজাহান আলী থানাধীন পাড়িয়াডাঙ্গা এলাকার আফসার শেখের ছেলে মো. হজরত শেখ।  দণ্ডপ্রাপ্ত হজরত শেখ পলাতক থাকায় তার অনুপস্থিতিতেই আদালত এ রায় দেন।   আদালত সূত্রে জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত মফিজুর ২০১৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর নড়াইল-যশোর মহাসড়কে নড়াইল সদর উপজেলার সিতারাপপুর এলাকায় ২৩ বোতল ফেনসিডিলসহ ডিবি পুলিশের হাতে আটক করা হয়। এ দিকে দণ্ডপ্রাপ্ত হজরত শেখও ধরা পড়ে ২৩ বোতল ফেনসিডিলসহ। তাকে একই উপজেলার চাঁচড়া এলাকায় বাসে তল্লাশির সময় মো. আব্দুল বাবু নামে তার এক সহযোগীসহ ডিবি ২০১২ সালে আটক করে। উভয় ঘটনায় সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়।  মামলার বিচারকাজ চলাকালে একপর্যায়ে জামিনে মুক্ত হয়ে আসামি হজরত শেখ পালিয়ে যায় এবং তার সহযোগী আব্দুল বাবু মারা যায়। আদালত পরে বাবুকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। দুটি মামলার স্বাক্ষ্য প্রমাণে একটিতে আসামি মফিজুর রহমান দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা আনাদায়ে ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। এ ছাড়াও অন্য একটি মামলায় আসামি হজরত শেখকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।